মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৪৯ পূর্বাহ্ন

কনকনে ঠান্ডায় গাইবান্ধার জনজীবন বিপর্যস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : সোমবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কনকনে ঠান্ডা এবং শৈত্যপ্রবাহের কারণে গাইবান্ধার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অসহায় দরিদ্র দুঃস্থ মানুষেরা শীতবস্ত্রের অভাবে চরম দুর্দশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। হিমেল হাওয়া এবং ঠান্ডার কারণে দিনমজুররা কাজে যেতে পারছে না।

অপরদিকে অন্যান্য বছর যেভাবে দরিদ্র অসহায় মানুষদের শীতবস্ত্র দিয়ে সহায়তা দিতে বিভিন্ন এনজিও, সংগঠন এবং সরকারি পর্যায়ে শীতবস্ত্র এবং খাদ্য সহায়তা দেয়া হতো এবারে সেরকম কোন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। ফলে নিরন্ন দিন কাটাচ্ছে অনেকে। বিশেষ করে চর এলাকায় এই অবস্থা চলছে। ফুলছড়ি উপজেলার ফুলছড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর মন্ডল জানান, এ পর্যন্ত সরকারিভাবে ৫শ’ পিস কম্বল পাওয়া গেছে। তা দরিদ্রদের মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।

কয়েক হাজার দরিদ্র মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে চরম দুর্দশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। একই কথা বলেছেন এরেন্ডবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান। তিনি বলেন, সামান্য বরাদ্দকৃত কম্বলে ইউনিয়নের দরিদ্র মানুষের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, তার এলাকায় নদী ভাঙ্গা মানুষের সংখ্যা বেশি। তারা চরম দুদর্শার মধ্যে দিন কাটায়। তার উপর এবারের শীত তাদের আরও কাহিল করে ফেলেছে।

সদর উপজেলার কুন্দেরপাড়া চরের বাসিন্দা দরিদ্র আয়নাল হক জানান, শুনছি সরকার কম্বল দিচে। কিন্তু হামার ভাগ্যে সে কম্বল জোটে নাই। কাক কাক দেয় হামরা টেরও পাই নাই।

বিভিন্ন সুত্র থেকে জানা গেছে, চরাঞ্চলের সার্বিক অবস্থা খুবই ভয়াবহ। কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকায় এবং কোনরূপ খাদ্য সহায়তা না পাওয়ায় তাদের এখন দুর্দশা চরমে পৌছেছে।

অপরদিকে গাইবান্ধার মূলভুমির অবস্থাও শীতের কারণে জবুথবু অবস্থা। রাস্তাঘাট-হাট বাজার এবং শহরে লোক চলাচল কমে গেছে। ব্যবসা-বাণিজ্যে এর প্রভাব পড়েছে। তবে নিম্ন বিত্ত মানুষদের একমাত্র ভরসা গাউন মার্কেটের পুরনো শীতের কাপড়। সেখানে উপচে পড়া মানুষের ভীড়।

অপরদিকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলা হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশু এবং বৃদ্ধ রোগীরা ভর্তি হচ্ছে। শ্বাস কষ্ট, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া জনিত রোগের সংখ্যা বেশি। এব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুল্লাহিল মাফি জানান, গত কয়েকদিনের প্রবল শীতে হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা দশগুণেরও বেশি বেড়ে গেছে। ফলে এসব রোগী নিয়ে চিকিৎসক এবং নার্সরা হিমশিম খাচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS