আজ বিকাল ৪টায় জনতা পার্টি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের নির্বাহী চেয়ারম্যান জনাব গোলাম সারোয়ার মিলন। তিনি বলেন—জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে কোন ভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। বিপুল ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে সংঘটিত এই গণ-অভ্যুত্থানকে সফল করতে হলে ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। পিআর ও জুলাই সনদ ইস্যুতে কোনো পক্ষেরই অনড় থাকার সুযোগ নেই। কিছুটা ছাড় দিয়েই হলেও সমঝোতায় পৌঁছাতে হবে। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাও একই আহ্বান জানিয়েছেন।
জনাব মিলন আরও বলেন, রাজনৈতিক দূরদর্শিতার অভাবে যদি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের জনআকাঙ্ক্ষা ব্যর্থ হয় এবং নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে পড়ে, তবে এর ভয়াবহ রাজনৈতিক খেসারত দিতে হবে। তখন শুধু গণতন্ত্রই নয়, দেশের সার্বভৌমত্ব, অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়বে।
তিনি আরও বলেন— দলীয় স্বার্থের সংকীর্ণতা পরিহার করে দেশকে বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া যাবে না। আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে হবে, ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি বাড়াতে হবে, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হবে। সর্বোপরি গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা জরুরি। সভায় সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া এক বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থার পরিচয়দানকারী এনায়েত করিমকে কেন্দ্র করে জনতা পার্টির চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চনকে জড়িয়ে যে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জনপ্রিয় অভিনেতা ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের নিবেদিতপ্রাণ ইলিয়াস কাঞ্চন দল প্রতিষ্ঠার প্রায় সাথে সাথেই চিকিৎসার জন্য লন্ডনে চলে যান এবং বর্তমানে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন। সুতরাং এই অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও তার সম্মানহানির জন্যই করা হয়েছে বলে জনতা পার্টি বাংলাদেশ মনে করে।
তদন্তকারীদের বয়ানে জনতা পার্টি বাংলাদেশ কে অর্থায়নের যে অভিযোগ উপস্থাপিত হয়েছে, এর তীব্র নিন্দা করে মহাসচিব শওকত মাহমুদ বলেন, কথিত ব্যক্তি এই দলের সদস্য নয় এবং দলের জন্য তিনি কোন অর্থ দেননি। আমরা এই অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই । জনতা পার্টি বাংলাদেশ ‘৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গঠিত একটি রাজনৈতিক দল। দলে রয়েছেন দেশের বহু বরেণ্য রাজনীতিবিদ, সাবেক মন্ত্রী, সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক সেনা কর্মকর্তা, সাবেক আমলা, একাধিক বিশিষ্ট আইনজীবী, সাংবাদিক, লেখক, বুদ্ধিজীবী ও অন্যান্য গুণীজন। আমরা আমাদের দলীয় সদস্যদের মাসিক চাঁদার উপর ভিত্তি করে দল পরিচালনা করি। তাই এমন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, অনভিপ্রেত অভিযোগ ও সংবাদকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল হক হাফিজ, ভাইস চেয়ারম্যান সিনিয়র এডভোকেট এ বি এম ওয়ালিউর রহমান খান,এডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মো: আসাদুজ্জামান, যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রফিকুল হক তালুকদার রাজা প্রমুখ ।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply