শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৬ অপরাহ্ন

কক্সবাজারে মার্কিন সৈন্য – তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সিপিবি(এম)

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

আজ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শুক্রবার এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-সিপিবি(এম) এর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কমরেড এম এ সামাদ ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাহিদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে মার্কিন-বাংলাদেশ যৌথ মহড়া ইমিগ্রেশন ছাড়া মার্কিন সেনাদের প্রবেশ, বিমান ঘাটিতে গোপন সভা দেশের সার্বভৌমত্ব মারাত্মক হুমকিতে বলে মনে করে এর জন্য গভীর উদ্দেগ প্রকাশ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় আরও বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে মার্কিন-বাংলাদেশ যৌথ মহড়া, ইমিগ্রেশন ছাড়া মার্কিন সেনাদের প্রবেশ, কক্সবাজার বিমান ঘাটিতে গোপন সভা, বিমান ঘাটি পরিদর্শন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য মারাত্মক হুমকী। গত ১০ সেপ্টেম্বর মাকিন সেনা ও বিমান বাহিনীর ১২০ জন সদস্য ইউএস বিমান বাহিনীর নিজস্ব ১৩০ জি সুপার হারকিউলিস বিমানে বাংলাদেশে আসে এবং ১৪ সেপ্টেম্বর ইউএস বাংলা বিমানে কক্সবাজার যায়। তাদের কারো ইমিগ্রেশন বা পাসপোর্ট পরীক্ষা করা হয়নি। যা দেশের প্রচলিত আইনের পরিপন্থী এবং সার্বভৌমত্বের জন্য মারাত্মক হুমকী।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, বাংলাদেশ থেকে ময়ানমারে করিডোর প্রদান, তুরস্ককে সমরাস্ত্র কারখানার অনুমোদন দেওয়া এবং আরাকান, বান্দরবান, ভারতের মিজোরাম-নাগাল্যান্ড নিয়ে মার্কিনীদের নতুন রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনার কথা বহুল আলোচিত হচ্ছিল তখন মার্কিন সেনাদের এহেন তৎপরতা বাংলাদেশ ও ভূ-রাজনীতির জন্য গভীর উদ্বেগের।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় আরও  বলেন, শুধু তাই নয়, গভীর রাতে কক্সবাজার বিমান ঘাটিতে এক গোপন বৈঠকে তারা মিলিত হয় এবং রাতে বিমান ঘাটি পরিদর্শন ও পরীক্ষা নিরীক্ষা করে। কক্সবাজারে রেডিসন ব্লু নামে যে হোটেলে তারা অবস্থান করে সেখানে আগে থেকেই ৮৫টি কক্ষ বুকিং দিয়ে রাখা হয় অথচ মার্কিন সেনাদের কারো নাম হোটেলের রেজিস্টারে এন্ট্রি করা হয়নি।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় আরও বলেন, এ ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটছে যখন বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শুল্ক বাণিজ্য নিয়ে টানাপোড়ন চলছে। এবং গত ৩১ আগস্ট ঢাকার হোটেল ওয়েস্টিন এ মার্কিন সেনার মৃতদেহ পাওয়া গেছে, যিনি বাংলাদেশের সেনাদের প্রশিক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন। তাছাড়া এই মহড়া দেশের বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি-ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যদিও ইতিপূর্বে আরও দুইটি যৌথ মহড়া ‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল’ ও ‘টাইগার লাইটিং’ নামে পরিচালিত হয়েছে। যার উদ্দেশ্য বলা হয়েছে উভয় দেশের সশস্ত্র বাহিনীর আন্তঃ সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। মার্কিন এই সেনা টিম ২০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়া কথা রয়েছে। সব থেকে উদ্বেগের ব্যাপার হলো বাংলাদেশের সেনা সদর দপ্তর আইএসপিআর এর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোন বক্তব্য দেওয়া হয়নি। আমরা মনে করি একটি স্বাধীন দেশ হিসাবে বাংলাদেশের জন্য একটা হুমকি। এই ঘটনায় আমরা আইএসপিআর এর বক্তব্য দাবি করছি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS