সাইফ হাসানের সঙ্গে ৪০ বলে ৬৩ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ার পাশাপাশি তানজিদ হাসান তামিম নিজেও খেলেছিলেন চারটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৩১ বলে ৫২ রানের ইনিংস। এমন ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের জয়ের ভিতটা গড়ে দিয়েছেন বাঁহাতি ওপেনার। আফগানিস্তানের বিপক্ষে পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলার পুরস্কারও পেয়েছেন তানজিদ। আইসিসির টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে ৪ ধাপ এগিয়েছেন তিনি।
এশিয়া কাপে তানজিদের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। হংকং চায়নার বিপক্ষে ১৮ বলে ১৪ রান করেছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। পরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রানের খাতাই খুলতে পারেননি। তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে ছিলেন তানজিদ। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে পেয়েছেন ক্যারিয়ারের সপ্তম টি-টোয়েন্টি হাফসেঞ্চুরিও। এমন পারফরম্যান্সে ৪ ধাপ এগিয়ে ৩৫তম স্থানে উঠে এসেছেন তিনি।
বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে তিনিই এখন সবার উপরে। তানজিদের মতো ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়েছে জাকের আলী অনিকেরও। প্রথম ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নামলেও শূন্য রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। পরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে খেলেছিলেন অপরাজিত ৪১ রানের ইনিংস। ৫৩ রানে পাঁচ উইকেট হারানোর পর এসে এমন ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
পাশাপাশি শামীম হোসেন পাটোয়ারির সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ৮৬ রানের জুটিও গড়েছিলেন জাকের। আফগানিস্তানের বিপক্ষে করেছিলেন ১৩ বলে অপরাজিত ১২ রান। এমন পারফরম্যান্সে ৩ ধাপ এগিয়েছেন তিনি। যার ফলে সাহিবজাদা ফারহান, রিচি বেরিংটনের সঙ্গে ৫৭ নম্বরে আছেন। ব্যাটারদের মধ্যে অবনতি হয়েছে লিটন দাস, পারভেজ হোসেন ইমনের। হংকংয়ের সঙ্গে ৫৯ রান করেছিলেন লিটন।
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ২৮ ও আফগানদের সঙ্গে করেছেন ৯ রান। তবুও এক ধাপ পিছিয়ে ৪২ নম্বরে নেমে গেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। হংকংয়ের সঙ্গে ১৯ রান করার পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আউট হয়েছিলেন রানের খাতা খোলার আগেই। শেষ ম্যাচে বাদ পড়েছেন একাদশ দেখেই। যার ফলে ৮ ধাপ পিছিয়েছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। বর্তমানে ৭৫ নম্বরে আছেন পারভেজ ইমন।
বোলারদের মধ্যে উন্নতি হয়েছে কেবল তানজিম হাসান সাকিবের। হংকংয়ের বিপক্ষে মাত্র ২১ রানে ২ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। পরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ২৩ রানে নিয়েছিলেন এক উইকেট। এমন বোলিংয়ে ৫ ধাপ এগিয়ে ৪২ নম্বরে উঠে এসেছেন তানজিম। আগের মতোই ২৪ নম্বরে আছেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। বাকিদের মধ্যে পিছিয়ে গেছেন মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটি খেললেও শরিফুল প্রত্যাশিতভাবে পারফর্ম করতে পারেননি। তাসকিনও নিজের সেরা ছন্দে বোলিং করতে না পারায় ৫ ধাপ পিছিয়ে ৩০ নম্বরে নেমে গেছেন তাসকিন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেট নিলেও ৪ ধাপ পিছিয়ে গেছেন মুস্তাফিজ। ১৫ নম্বরে আছেন বাঁহাতি এই পেসার। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে মুস্তাফিজই সবার উপরে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply