শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:২৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
দরপতনে কমেছে ৩০৩ টি কোম্পানির লেনদেন খান ব্রাদার্স লেনদেনের শীর্ষে ইউসিবি দর বৃদ্ধির শীর্ষে সিএপিএম বিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড দরপতনের শীর্ষে জীবননগর সীমান্তে ফেন্সিডিলসহ যুবক আটক চুয়াডাঙ্গায় জেলা প্রশাসকের বিদ্যালয় ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শন: শিক্ষার মানোন্নয়ন ও স্বাস্থ্যসেবার পরিধি বৃদ্ধির নির্দেশনা ইসলামী ব্যাংক রাজশাহী জোনের ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন অনুষ্ঠিত ছাত্রছাত্রীদের এআই শেখাতে এগিয়ে আসলো রবি ও টেন মিনিট স্কুল ইউনিয়ন ব্যাংকের আমানত হিসাব ও সঞ্চয় প্রকল্পে আপনাকে স্বাগতম শারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠুভাবে উদযাপনে চুয়াডাঙ্গায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে

চট্টগ্রামে র‌্যাব-৭, সিপিসি-৩ এর অবৈধ অভিযান নিয়ে আইএইচআরসি’র সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রামে “র‌্যাব-৭, সিপিসি-৩ এর অবৈধ অভিযান, সাজানো ইয়াবা মামলা ও ২০ লক্ষ ৫৬ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাতের প্রতিবাদ করলে শত শত মিথ্যা মামলা দিয়ে আজীবন আটক রাখাসহ ক্রস ফায়ারের হুমকির প্রতিবাদ ও আত্মসাৎকৃত টাকা ফেরত এবং সংশ্লিষ্ট র‌্যাব সদস্যদের শাস্তির দাবিতে ১৭ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ইং, বুধবার, বেলা ২:৩০ মিনিটে ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন (আইএইচআরসি)’র উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন (আইএইচআরসি) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সভাপতি, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস ও সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের পক্ষে করা মামলার বাদী সাবেক ছাত্রনেতা এম এ হাশেম রাজু বলেন, আমাদের প্রতিটি নাগরিকের ন্যায় বিচার পাওয়ার সাংবিধানিক অধিকার বিদ্যমান, সেই অধিকার থেকে যারা বিভিন্ন ভাবে বঞ্চিত হবে তাদের পক্ষে আমাদের এই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন সারা পৃথিবী ব্যাপী অধিকার নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে আসছে। ফ্যাসিস্ট ধারাবাহিকতায় এই অধিকার বঞ্চিত পরিবারের পক্ষে বাংলাদেশের র‌্যাব-৭, সিপিসি-৩ চট্টগ্রামের বিরুদ্ধে আজকের এই সংবাদ সম্মেলন। এই র‌্যাব বিগত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজের সাথে জড়িত ছিল। তাদেরকে আন্তর্জাতিক ভাবে একটি অপরাধী সংস্থা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। সেই সন্ত্রাসী র‌্যাব কর্তৃক কি কি ভাবে নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছি তা আপনাদের সামনে আজ তুলে ধরছি একজন নিরপরাধ, প্রবাস ফেরত, সাধারণ ব্যবসায়ীর উপর ঘটে যাওয়া এক ভয়ংকর, অমানবিক এবং অন্যায় অপারেশনের পূর্ণ বিবরণ। এই আর্তনাদ—চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানার ধর্মপুর এলাকার একজন নিরীহ মানুষ আইয়ুব আলীর। তিনি দীর্ঘ দুবাই প্রবাস জীবন শেষে বৈধ পথে দেশে ফিরে, কক্সবাজারে মাছের ব্যবসা করে আসছেন। সম্মান নিয়ে, সৎভাবে জীবনযাপন করছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই—১২ই জুন ২০২৫, এক বিভীষিকাময় দিন হয়ে আসে তাঁর জীবনে। সন্ধ্যা তখন ঘনিয়ে। হঠাৎ করে র‌্যাব-৭, সিপিসি-৩ এর একটি দল, চান্দগাঁও ক্যাম্পের দায়িত্বরত লেফটেন্যান্ট কমান্ডার তাওহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে কোনো প্রকার তল্লাশি পরোয়ানা বা আদালতের আদেশ ছাড়াই, সাতাকানিয়া থানার একটি ওয়ারেন্ট এর মোবাইল কপি নিয়ে আইয়ুব আলীর বাকলিয়া কল্পলোক আবাসিকের বাসায় যায় এবং একটি মিথ্যা মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে আইয়ুবকে গ্রেফতার করার অভিযান চালায়। বিকাল ৩ টা থেকে শুরু করেন সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত তল্লাশি অভিযানের নামে তান্ডব চালায়। প্রথমে র‌্যাব সদস্যরা বাসায় প্রবেশ করে আইয়ুব ও তার স্ত্রীকে হ্যান্ডক্যাপ পরিয়ে দেন এবং বাসার এক কোণে নিয়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে বসিয়ে রাখে। আইয়ুবের স্ত্রীর কোলে ছিল দুই বছরের শিশু সন্তান, তারা আইয়ুবকে একটি জননিরাপত্তা আইনের মামলার আসামি হিসেবে গ্রেফতার করতে গেলেও কিন্তু তাদের আচার-আচরণ বাচনভঙ্গি ছিল আইয়ুব আলী যেন একজন মাফিয়া ডন দেশখ্যাত শীর্ষ সন্ত্রাসী। সেই ভাবেই তিনটি সাঁজোয়া গাড়ী নিয়ে আইয়ুবকে গ্রেফতার করার নামে বাসায় ঢুকে আইয়ুবকে গ্রেফতার করেন। র‌্যাব-৭, সিপিসি-৩ এর টিম আইয়ুবের বাসা পুরোপুরি ভাবে তাদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন। একজন নিরীহ সাধারণ মানুষের বাসাকে আতংকিত বাসা হিসেবে আখ্যায়িত করে তারা যে নাটকীয় ভঙ্গিতে অভিযান চালিয়েছে তা অমানবিক ও দুঃখ জনক বটে।

তিনি বলেন, তল্লাশি চলাকালীন সময়েও কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন না, যা ছিল একেবারেই অবৈধ ও প্রচলিত আইন পরিপন্থী। তাদের হাতে শুধু ছিলো অস্ত্র শক্তি আর প্রভাব। তারা শুধু ভেতরে ঢুকেই ক্ষান্ত হয়নি—ঘরের জিনিসপত্র তছনছ করে, আশপাশের লোকজন ও  পরিবারের সদস্যদের আতঙ্কিত করে তোলে এবং ঘরে রক্ষিত ৩৩ লক্ষ টাকা থেকে লুট করে নেয় ২০ লক্ষ ৫৬ হাজার ৫০০ শত টাকা। কিন্তু কাগজে-কলমে, জব্দ তালিকায় তারা দেখায় মাত্র ১২ লক্ষ ৪৩ হাজার ৫০০ শত  টাকা। বাকি অর্থ কোথায়? কোথায় গেল প্রমাণ? কোনো ভিডিও নেই, নেই স্বাক্ষর, নেই উপস্থিত সাক্ষী। তাদের হাতে শুধু ছিলো একটি গায়েবি মামলা। পরের দিন ১৩ জুন, দায়ের হয় বাকলিয়া থানার মামলা নম্বর-২৩, যেখানে বলা হয়, নাকি ২২৩ পিস ইয়াবা পাওয়া গেছে আইয়ুব আলীর কাছ থেকে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ দেখেনি সেই ইয়াবা, নেই কোনো জব্দ তালিকা, নেই কোনো ভিডিও ফুটেজ—শুধু মুখের কথা এবং পরিকল্পিত একটি সাজানো নাটক। আরো ভয়ংকর বিষয় হলো- এই ঘটনা শুধু আইয়ুব আলীর বিরুদ্ধে নয়, বরং তার স্ত্রীকেও হেনস্তা করে র‌্যাব সদস্যরা। পুরুষ সদস্যরা মহিলা পুলিশ ছাড়াই অশোভন আচরণ করে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে। এটা কি কোনো সভ্য দেশে সম্ভব? এইসবের পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। আইয়ুব আলী নিজে সরাসরি অভিযোগ করেছেন সাতকানিয়ার স্থানীয় যুবলীগ নেতা মো. আবু তৈয়ব, তার ভাই শহিদুল ইসলাম বাবু (সিনিয়র সহ-সভাপতি, উত্তর সাতকানিয়া সাংগঠনিক উপজেলা, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ) এবং স্ত্রী মুন মুন র‌্যাব সদস্যদের প্রভাবিত করে এ ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করেছেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল পারিবারিক জমির বিরোধ ও রাজনৈতিক শত্রুতা থেকে প্রতিশোধ নেওয়া। এতেই শেষ নয়। আইয়ুব আলীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হয় একটি ফেইসবুক চ্যানেলে সি প্লাস-চট্টগ্রাম। আজ সেই আইয়ুব আলী ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন। তাঁর আশঙ্কা—এভাবে চলতে থাকলে তাকে “ক্রসফায়ার” বা আরেকটি ভুয়া মামলায় ফাঁসানো হতে পারে। তাই তিনি তাঁর সর্বশেষ আশ্রয় হিসেবে দ্বারস্থ হয়েছেন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে।

তাঁর আবেদন—
১. ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত।
২. আত্মসাৎ করা ২০,৫৬,৫০০ টাকা ফেরত।
৩. সাজানো মামলার প্রত্যাহার।
৪. স্ত্রীর সাথে অমানবিক আচরণের বিচার।
৫. ভবিষ্যতে যেন এমন অভিযান না হয়-সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা।
৬. নিজ ও পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

এম এ হাশেম রাজু আরো বলেন, এই র‌্যাব-৭, সিপিসি-৩ এর অপকর্মের বিরুদ্ধে তাদের বিচার দাবী করে আইয়ুব আলী বাদী হয়ে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইজিপি, র‌্যাব মহাপরিচালক, দুদক চেয়ারম্যান, সিএমপি পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পাশাপাশি র‌্যাব-৭, সিপিসি-৩ এর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন, স্পেশাল মামলার নং-০৫/২০২৫, তারিখ-১৩/০৮/২০২৫ইং। মামলাটি গত ০৭/০৯/২০২৫ইং তারিখে চট্টগ্রাম জেলা জজের বদলি জনিত কারণে খারিজ করে দেন। আইয়ুব আলী এই খারিজের বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্টে আপিলসহ রিট মামলা দায়ের প্রস্তুতি নিয়েছেন, মহামান্য হাইকোর্ট বন্ধ থাকায় সুনির্দিষ্ট সময়ে মহামান্য হাইকোর্টে আপিল ও রিট মামলা দায়ের করা সম্ভব হয়নি। মহামান্য হাইকোর্ট চালু হলে ইনশাআল্লাহ যথানিয়মে মামলাটি হাইকোর্টে দায়ের করা হবে।

তিনি বলেন, কে সেই বাবু? যিনি আইয়ুব আলীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেন- “বাবু নামের ভয়—যুবলীগের অর্থের ছায়ায় লুকিয়ে থাকা মিথ্যার কারিগর” সাতকানিয়ার ধর্মপুর—এক সময় যেখানে ছিল সবুজ, সরলতা, সৌহার্দ্য, আজ সেখানে গা-ছমছমে এক অন্ধকার নেমে এসেছে। যার পেছনে রয়েছে এক নাম—শহিদুল ইসলাম বাবু। নামটি এখন আর শুধুই একটি ব্যক্তি নয়, বরং ক্ষমতা, লোভ, এবং মিথ্যার এক ভয়াবহ প্রতিচ্ছবি। বাবু স্থানীয়ভাবে পরিচিত একজন স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা। তবে রাজনৈতিক পদ-পদবির আড়ালে তার আসল পরিচয় হলো—সন্ত্রাসের লালনকারী, অর্থ পাচারের কুশলী ও সমাজে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করা এক চিহ্নিত দুর্বৃত্ত। রাজনৈতিক প্রভাব, ধর্মীয় ব্যবসা, এবং অবৈধ অর্থ উপার্জনের অদ্ভুত এক ত্রিভুজ তৈরি করে সে বহুদিন ধরে জাল বিস্তার করে রেখেছে। অপরদিকে আইয়ুব আলী একজন সৎ ও সাধারণ মানুষ। তার অপরাধ একটাই সে বাবুর প্রতিবেশী এবং তার সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এই বিরোধের রেশ ধরেই বাবু শুরু করেন এক পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। আইয়ুব আলীকে সমাজ থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে বাবু ব্যবহার করেন—
১. মিথ্যা মামলা,
২. র‌্যাবের কিছু অসাধু সদস্যের সহায়তা,
৩. পলাতক সাবেক স্ত্রী মেহেরুন নেছা লাভনীকে হাতিয়ার হিসেবে।
এই লাভনী, এক সময় আইয়ুব আলীর সহধর্মিণী ছিলেন, কিন্তু পরকীয়ার জালে জড়িয়ে সে আজ জাপানে। সেখান থেকে বাবুর সাথে তার গোপন যোগাযোগ যেন হয়ে উঠেছে এক ছায়াযুদ্ধ—যার টার্গেট শুধুই আইয়ুব আলী।

এ বিষয়ে আইয়ুব আলী বলেন- “আমার অপরাধ আমি প্রতিবাদ করেছি। আমি মাথা নত করিনি, জায়গা ছেড়ে দিইনি, সত্যের পাশে থেকেছি। সেই কারণেই আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। বাবু টাকা দিয়ে র‌্যাবের কয়েকজন অসাধু সদস্যকে হাত করে আমার বিরুদ্ধে এমন একটি নাটক সাজিয়েছে, যা আইনকেও কলঙ্কিত করে।”

বাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে—
১. ওমরাহ ও হজ এজেন্সির আড়ালে কোটি কোটি টাকা পাচার,
২. ওমরা হজ্জ উমরাহ নামে রোহিঙ্গা পাচার.
৩. মাদক (বিশেষ করে ইয়াবা) ব্যবসায় জড়িত থাকা,
৪. স্থানীয় দালাল ও গুন্ডাদের পৃষ্ঠপোষকতা করা,
৫. রাজনৈতিক দলের নাম ব্যবহার করে এলাকায় আধিপত্য বজায় রাখা।

প্রশ্ন হলো—এই বাবুর মতো লোক কিভাবে আজ এত ক্ষমতাশালী? কারণ সে একজন “রাজনৈতিক অর্থদাতা”। আওয়ামী লীগের কিছু সুবিধাভোগী নেতার ছত্রছায়ায় থেকে সে হয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। তবে এখন সময় এসেছে তার মুখোশ খুলে দেওয়ার। এই সমাজের প্রতিটি সচেতন মানুষের প্রশ্ন হওয়া উচিত— কতদিন আমরা এমন সন্ত্রাসীর কাছে জিম্মি থাকব? কবে র‌্যাবের সৎ ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা এদের মিথ্যা তথ্যের ফাঁদে পা না দিয়ে প্রকৃত সত্য অনুসন্ধান করবেন? কেন একজন সৎ নাগরিক আইয়ুব আলী বারবার ভিকটিম হচ্ছেন?

আমরা দাবি জানাই:
১. শহিদুল ইসলাম বাবুর বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্ত হোক।
২. আইয়ুব আলীর বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা হোক।
৩. র‌্যাব সদস্যদের যদি কেউ বাবুর সঙ্গে আঁতাত করে থাকে, তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।
৪. লাভনী নামের পলাতক নারী ও তার পরকীয়া সঙ্গীকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হোক।
আজ সমাজ দাঁড়িয়ে আছে এক সন্ধিক্ষণে। যদি আমরা সত্য ও নির্যাতিত মানুষের পক্ষে না দাঁড়াই, তাহলে বাবুর মতো চরিত্ররা আজ নয়, কাল আমাদের দরজায়ও কড়া নাড়বে। এখনই সময় প্রতিবাদ করার, মুখ খুলে বলার— “মিথ্যার সাম্রাজ্য যতই বড় হোক, সত্য একদিন তার ভিত কাঁপিয়ে দেয়।” আজ এই সংবাদ সম্মেলনে  মাধ্যমে আমরা সেই আবেদন পৌঁছে দিতে চাই মানুষের কানে, সমাজের বিবেকের কাছে এবং সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের উদ্দেশ্যে।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে এম এ হাশেম রাজু বলেন, এই দেশে যদি ন্যায়বিচার বেঁচে থাকে, এই রাষ্ট্র যদি মানবাধিকার রক্ষা করতে চায়, তবে প্রবাসফেরত আইয়ুব আলীর জীবন যেন বিচারের অপেক্ষায় শেষ না হয়ে যায়। আমরা চাই, আইয়ুব আলীর কণ্ঠস্বর আজ দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ুক।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন (আইএইচআরসি) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের আইনী সহায়তা সেলের প্রধান আইনজ্ঞ মোঃ আব্দুল মোমেন চৌধুরী, মানবাধিকার কর্মী সংগঠক প্রফেসর ড. মালেক কাজী, প্রফেসর ড. ফেরদৌস আরা খান, এস এম ফরিদ, মোঃ কামাল উদ্দিন প্রমুখ। এছাড়াও ভুক্তভোগী আইয়ুব আলী, তার স্ত্রী লুৎফুন্নেছা গোলাপ ও বড় সন্তান মোঃ তারিকুল ইসলাম ফয়সাল উপস্থিত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS