নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফটোগ্রাফিকে নিখুঁত এবং প্রাণবন্ত করে তুলতে স্মার্টফোনে টেলিফটো প্রযুক্তি নিয়ে আসছে গ্লোবাল স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভো। এক্স২০০ এর মাধ্যমে আবারও ফিরছে ভিভোর এক্স সিরিজের নতুন
ফ্ল্যাগশিপ। এতে থাকছে বিশ্বখ্যাত লেন্স নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জাইস এর লেন্স। জাইস এর সাথে যৌথভাবে তৈরি অত্যাধুনিক উদ্ভাবনী সংযোজন এই জাইস টেলিফটো ক্যামেরা বদলে দেবে ফটোগ্রাফির সংজ্ঞাই।
চলছে বেড়ানোর মৌসুম। পাহাড় বা সাগর যাই সামনাসামনি দেখা হোক না কেন ক্যামেরায় তা ধারণ করা চাই। আবার মন মতো পোর্ট্রেটও দরকার। দূরত্বের এই হেরফেরের কারণে ফটোতে ডিটেইল আর শার্পনেস রাখাটা একটা চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ দূর করে দিচ্ছে জাইস টেলিফটো ক্যামেরা। দূরত্ব যতই হোক ছবিটা আসবে প্রাণবন্ত ও বাস্তব।
কেবল প্রফেশনাল ফটোগ্রাফারদের জন্য নয়; শখের ফটোগ্রাফার থেকে শুরু করে যারা স্মৃতি ধরে রাখতে চান, সবার জন্যই টেলিফটো প্রযুক্তি এক দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা। টেলিফটো প্রযুক্তির আরেকটি বিশেষ দিক হলো, এটি পোর্ট্রেট এবং ম্যাক্রো ফটোগ্রাফিতে অসাধারণ। টেলিফটো পোর্ট্রেট ফিচার দিয়ে সাবজেক্টের ওপর ফোকাস
রেখে ব্যাকগ্রাউন্ডকে ব্লার বা ঝাপসা করা যায়, যা ছবিকে ডিএসএলআর-এর মতো নিখুঁত করে তোলে। টেলিফটো ম্যাক্রো ফিচার দিয়ে ক্ষুদ্র বিষয়গুলোও স্পষ্টভাবে তুলে আনা যায়। এবার এই টেলিফটো প্রযুক্তিকে বাংলাদেশে নিয়ে আসছে ভিভোর ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন এক্স২০০।
ভিভো এক্স২০০ স্মার্টফোনে থাকা ৫০ মেগাপিক্সেল জাইস টেলিফটো ক্যামেরা, ভিসিএস ট্রু কালার মেইন ক্যামেরা এবং ১০০ গুণ হাইপারজুম স্মার্টফোন ফটোগ্রাফিতে দেবে দারুণ অভিজ্ঞতা। শুধু ক্যামেরা নয়, ভিভো এক্স২০০ স্মার্টফোনে আছে ৫৮০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্লুভোল্ট ব্যাটারি, ৯০ ওয়াট ফ্ল্যাশ চার্জ এবং কোয়াড কার্ভড ডিসপ্লে ।
ভিভো বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানা গেছে, শিগগিরই ভিভোর এক্স সিরিজের নতুন ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন এক্স২০০ বাংলাদেশে নেচারাল গ্রিন এবং কসমস ব্ল্যাক দুইটি রঙে পাওয়া যাবে।
ভিভো প্রসঙ্গে
ভিভো একটি প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান যা মানুষের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে স্মার্ট ডিভাইস ও ইন্টেলিজেন্ট সার্ভিসের মাধ্যমে পণ্য উৎপাদন করে। মানুষ আর ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করাই প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য। অনন্য সৃজনশীলতার মাধ্যমে ভিভো ব্যবহারকারীদের হাতে যথোপযুক্ত স্মার্টফোন ও ডিজিটাল আনুষাঙ্গিক তুলে দিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের মূল্যবোধকে অনুসরণ করে ভিভো টেকসই উন্নয়ন কৌশল বাস্তবায়ন করেছে; সমৃদ্ধ ও দীর্ঘস্থায়ী বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান হওয়াই যার ভিশন।
স্থানীয় মেধাবী কর্মীদের নিয়োগ ও উন্নয়নের মাধ্যমে শেনজেন, ডনগান, নানজিং, বেজিং, হংঝু, সাংহাই, জিয়ান, তাইপে, টোকিও এবং সান ডিয়াগো এই ১০টি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রে (আরএন্ডডি) কাজ করছে ভিভো। যা স্টেট-অফ-দ্য-আর্ট কনজ্যুমার টেকনোলজির উন্নয়ন, ফাইভজি, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন, ফটোগ্রাফি এবং আসন্ন প্রযুক্তির ওপর কাজ করে যাচ্ছে। চীন, দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় ভিভোর পাঁচটি প্রোডাকশন হাব আছে (ব্র্যান্ড অথোরাইজড ম্যানুফ্যাকচারিং সেন্টারসহ) যেখানে বছরে প্রায় ২০০ মিলিয়ন স্মার্টফোন বানানোর সামর্থ্য আছে। এখন পর্যন্ত ৬০টিরও বেশি দেশে বিক্রয়ের নেটওয়ার্ক আছে ভিভোর এবং বিশ্বজুড়ে ৪০০ মিলিয়নের বেশি ভিভো স্মার্টফোন ব্যবহারকারী রয়েছে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply