শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ১২:০৮ অপরাহ্ন

ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : রবিবার, ৯ জুন, ২০২৪

ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ মানেই দর্শকের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। দুদলের ভক্তরা তো আছেই, বিশ্বের কোটি ক্রিকেটপ্রেমীর কাছে এ ম্যাচের আবেদন বিশাল। এমন পরিস্থিতিতে আরও একবার মুখোমুখি ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শনিবার (৮ জুন) ওয়েস্ট ইন্ডিজের বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালের মাহাত্ম্য ছিল আরও এক জায়গায়। ইংল্যান্ড টি-টোয়েন্ট বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। অস্ট্রেলিয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপের রাজা। দুই সেরার লড়াইয়ে শেষ হাসি হেসেছে অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডকে ৩৬ রানে হারিয়ে ‘বি’-গ্রুপের শীর্ষস্থানও নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া।

আগে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে সাত উইকেটে ২০১ রান করে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ২০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানে থামে ইংল্যান্ড। 

বিশাল রান তাড়ায় ইংলিশদের শুরুটা হয়েছে দুরন্ত। অধিনায়ক জস বাটলার ও ফিল সল্টের ওপেনিং জুটিতে আসে ৪৩ বলে ৭৩ রান। অষ্টম ওভারে অ্যাডাম জাম্পার স্পিনে বোকা বনে যান সল্ট। ২৩ বলে ৩৭ রান করে বোল্ড হন। প্যাট কামিন্সের ক্যাচ বানিয়ে বাটলারকেও ফেরান জাম্পা। বাটলারের ব্যাট থেকে ২৮ বলে ৪২ রান আসে। ওয়ানডাউনে নামা উইল জ্যাকসকে বেশিক্ষণ থাকতে দেননি মার্কাস স্টয়নিস। ১০ রান করে স্টয়নিসের বলে প্যাট কামিন্সের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন জ্যাকস।

৯৬ রানে তিন উইকেট হারিয়ে হঠাৎই দিকভ্রান্ত হয়ে পড়ে ইংল্যান্ড। সুযোগ লুফে নিয়ে চ্যাম্পিয়নদের টুঁটি চেপে ধরে অসিরা। সেই যে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় অস্ট্রেলিয়া, বাকি সময় ইংল্যান্ড সেটি ছিনিয়ে নিতে পারেনি। ১৫ বলে মঈন আলীর ২৫, লিভিংস্টোনের ১২ বলে ১৫ এবং হ্যারি ব্রুকের ১৬ বলে অপরাজিত ২০ রানের শুধু হারের ব্যবধান কমেছে। 

অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে চার ওভারে ২৮ রান দিয়ে জাম্পা নেন দুই উইকেট। কামিন্সের শিকারও দুটি, তিনি রান দিয়েছেন চার ওভারে ২৩।

এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচের প্রথম ওভার থেকেই শুরু হয় অসি ব্যাটারদের আগ্রাসন। দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও ট্রাভিস হেড মিলে ওপেনিং জুটিতে পাঁচ ওভারে তোলেন ৭০ রান। এরমধ্যে মার্ক উডের এক ওভারে তিনটি ছক্কা ও একটি চারে ২২ রান নেন ওয়ার্নার। আগ্রাসী ওয়ার্নারকে থামান মঈন আলী। লোয়ার ডেলিভারিতে মিডল স্টাম্প ভাঙেন ওয়ার্নারের। আউট হওয়ার আগে অসি ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে ১৬ বলে ৩৯ রানের ঝড়। 

১৮ বলে ৩৪ রান করা হেডকে বোল্ড করেন জোফরা আর্চার। দুই ওপেনার ফিরলেও থামেনি অস্ট্রেলিয়ার আগ্রাসন। অধিনায়ক মিচেল মার্শের ব্যাট থেকে আসে ২৫ বলে ৩৫ রানের ইনিংস। লিয়াম লিভিংস্টোনের বলে জস বাটলার তাকে স্ট্যাম্পড করেন। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন পুরো আইপিএলে। ইংলিশদের বিপক্ষে অবশ্য রানে ফিরেছেন তিনি। তবে, ২৮ রান করতে খেলেছেন ২৫ বল। ম্যাক্সওয়েলের নামের পাশে যা অনেকটা বেমানান। আদিল রশিদের বলে ডিপ মিড উইকেটে ফিল সল্টের হাতে ধরা পড়েন ম্যাক্স। মাঝে ক্রিস জর্ডানের বলে লিভিংস্টোনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন টিম ডেভিড। আট বলে ১১ রান করেন টিম।

শুরুর মতো শেষেও রানের চাকা সমানতালে সচল রাখে অস্ট্রেলিয়া। মার্কাস স্টয়নিস ও ম্যাথু ওয়েডের ব্যাটে অসিরা একটু একটু করে করে চড়ে রান পাহাড়ে। দুজনে মিলে ১৭ বলে গড়েন ৩২ রানের জুটি। জর্ডানের বলে হ্যারি ব্রুকের ক্যাচ হওয়ার আগে স্টয়নিসের ব্যাট থেকে আসে ১৭ বলে ৩০ রান। এই উইকেটে নিজের শততম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি উইকেট তুলে নেন জর্ডান। ৯ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন ওয়েড।

ইংল্যান্ডের পক্ষে জর্ডান দুটি এবং একটি করে উইকেট নেন মঈন, আর্চার, রশিদ ও লিভিংস্টোন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS