রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৪০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
রবি আজিয়াটা সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পিবিআই এর তদন্তে বাদীই পিতার হত্যাকারী, চুরির নাটক, স্বীকারোক্তি ও আলামত উদ্ধার চুনারুঘাট থানার ওসি মোঃ নুর আলম ক্লোজড আইএফআইসি ব্যাংকে “পরিবর্তনের পরিক্রমায় এক বছর” শীর্ষক টাউন হল সভা অনুষ্ঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতীয় নির্বাচন করার মত সক্ষমতা এখনো অর্জন করতে পারেনি : জাতীয় সংলাপে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ২৪তম টেক্সটাইল সিরিজ অফ এক্সিবিশন্স ২০২৫ এর পর্দা নামলো জাকসুর ভিপি স্বতন্ত্র প্যানেলের আব্দুর রশিদ জিতু, জিএস ছাত্রশিবিরের মাজহার ইসলাম নেপালের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ সুশীলা কার্কির ইসরাইলের হামলায় গাজায় আরও ৫০ জন নিহত

মনে রাখার ক্ষমতা কমে যাচ্ছে?

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৪

মস্তিষ্কের হিপোক্যাম্পাসে আমাদের স্মৃতি জমা হয়। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো থাকলে স্মৃতি ভালো থাকে, এর ব্যতিক্রম হলে স্মৃতি লোপ পায়। আপনাকে যদি বলা হয়, এসএসসিতে আপনার রেজিষ্ট্রেশন নম্বর কত ছিল? উত্তর দিতে পারবেন? হয়তো পারবেন অথবা পারবেন না। আসলে আমরা অনেক কিছু মনে রাখার প্রয়োজনীয়তা হারিয়ে ফেলেছি। প্রযুক্তি নির্ভরতার কারণে মস্তিষ্কের ব্যবহার কমে হয়। এতে দিন দিন আমাদের মস্তিষ্কের ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। মস্তিষ্কের ক্ষমতা কমার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ আছে, চলুন জানা যাক।

গুগল সার্চ: একটি বানানের শুদ্ধতা যাচাইয়ের জন্যও আমরা গুগলের দারস্থ হই। এতে মনে রাখার খুব একটা প্রয়োজনীয়তা বোধ করি না। অথচ আমাদের আগের প্রজন্মের অনেকেই ক্যালকুলেটর ছাড়াই ছোটখাটো হিসাব কষে ফেলেন। তাদের ফোন নম্বর মুখস্থ থাকে। তারা প্রচুর বই পড়ার কারণে তাদের সাধারণ জ্ঞানও বেশ সমৃদ্ধ। আর এই অভ্যাসগুলো মস্তিষ্কের ব্যায়ামের মতো। যা তাদের চিন্তাশক্তি ও স্মরণশক্তিকে দীর্ঘসময় শানিত রেখেছে।প্রযুক্তির উপর এই অতিরিক্ত নির্ভরশীলতার কারণে আমাদের ব্রেইনের নিজস্ব ক্ষমতা কমে গিয়েছে। স্মৃতি ও চিন্তাশক্তি দুর্বল হয়ে পড়েছে। মস্তিষ্ক শাণিত করতে সবকিছু গুগল সার্চ না করে মনে রাখতে চেষ্টা করার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা। সেই সঙ্গে শব্দ-জট খেলা বিভিন্ন ধরনের পাজল মেলানো, সুডোকু ইত্যাদি ব্রেইন অ্যাকটিভিটির খেলা খেলতে পারেন।

হেডফোন ব্যবহার করা বা উচ্চ শব্দে গান শোনা: শ্রবণশক্তি একবার ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেটা আর ঠিক করা যায় না। আবার শ্রবণশক্তি কমে গেলেও এর সরাসরি প্রভাব পরে মস্তিষ্কে। হেডফোন বা এয়ারপড ব্যবহার করে গান শোনা শ্রবণশক্তির ক্ষতির কারণ হতে পারে। হেডফোনে গান যদি শুনতেই হয় তাহলে ভলিউম ৬০ শতাংশের চেয়ে বাড়াবেন না। হেডফোন টানা ব্যবহার না করে, এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে করুন। গান শোনার সময় জোরে জোরে মাথা ঝাঁকালে মস্তিষ্কের কোষ মারা যেতে পারে।

সামাজিক না হওয়া: মানুষের সঙ্গে কথা বলা, আড্ডা দেওয়া, গল্প করা এগুলো মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য জরুরি। এতে আমাদের মস্তিষ্ক উদ্দীপ্ত থাকে। কিন্তু একা থাকলে, কথা না বললে বিষণ্নতা ভর করে ডিমেনশিয়া রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তবে হ্যাঁ, ইতিবাচক মানুষের সঙ্গে মিশুন।

নেতিবাচক চিন্তা ও মানুষ: মস্তিষ্কের জন্য সূর্যের আলোর সংস্পর্শ পাওয়া বেশ জরুরি। সুতরাং রোদে বের হোন। গবেষকেরা বলছেন, সূর্যের আলোর সংস্পর্শ না পেলে ডিপ্রেশনের মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে।

অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাস: অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করলে সেটা স্বাস্থ্যকর খাবার হলেও মস্তিষ্কের ক্ষতি করে। গবেষণায় দেখা গেছে অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে মস্তিষ্কের ধমনীগুলোয় কোলেস্টেরল জমে  এবং রক্তপ্রবাহ কমে যায়।  চিন্তাশক্তি লোপ পায়।

Please Share This Post in Your Social Media

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS