সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৫২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
মিলাদ ও দোয়া মাহফিল সেন্টমার্টিন যেতে টিকেট, ট্রাভেল পাস সবই পাচ্ছেন বিডিটিকেটসে অ্যাপার্টমেন্ট কেনার আগে যে পাঁচ বিষয় জানা জরুরি! চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় নিয়ম বহির্ভূত ব্যবসা পরিচালনা করায় দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ডিসেম্বর হলো গৌরবের মাস গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় মিডিয়া আমাদের সহযাত্রী: জেলা প্রশাসক কনা রেজা ইন্টারন্যাশনাল ট্যুরিজম ফেয়ার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির ময়মনসিংহ সিপিএসসি, র‌্যাব-১৪, কর্তৃক চোরাচালান পণ্য সহ চোরাকারবারি গ্রেফতার ২ কেরানীগঞ্জে শাইনিং প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ক্লাস পার্টি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

ডিসেম্বর হলো গৌরবের মাস

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : সোমবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ৫০ Time View

আজ ১ ডিসেম্বর। শুরু হলো মহান বিজয়ের মাস। বাঙালির সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ ঘটনা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ।দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের এক ঐতিহাসিক ঘটনার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির কয়েক হাজার বছরের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বপ্নসাধ পূরণ হয় এ মাসে।৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লাখ বাঙালির আত্মত্যাগ আর কয়েক লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের বিজয়।

বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মুক্তিযুদ্ধের অবিস্মরণীয় গৌরবদীপ্ত চূড়ান্ত বিজয় আসে এ মাসের ১৬ ডিসেম্বর। স্বাধীন জাতি হিসেবে সমগ্র বিশ্বে আত্মপরিচয় লাভ করে বাঙালিরা।ভাষার ভিত্তিতে যে জাতীয়তাবাদ গড়ে উঠেছিল, এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বিজয়ের মাধ্যমে ঘোষিত স্বাধীনতা পূর্ণতা পায় এ দিনে।বেদনাবিধুর এক শোকগাঁথার মাস এ ডিসেম্বর।

এ মাসেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি তাদের সহযোগীদের নিয়ে দেশের মেধাবী, শ্রেষ্ঠ সন্তান-বুদ্ধিজীবী হত্যার নৃশংস হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছিল।সমগ্র জাতিকে মেধাহীন করে দেওয়ার এ ধরনের ঘৃণ্য হত্যাযজ্ঞের দ্বিতীয় কোনো নজির বিশ্বে নেই।
১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা আক্রমণ আর ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর জল, স্থল আর আকাশপথে সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পরাজয়ের খবর চারদিক থেকে ভেসে আসতে থাকে।

মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ১ ডিসেম্বর গুরুত্বপূর্ণ ও ঘটনাবহুল একটি দিন। এদিন দিল্লিতে রাজ্যসভার অধিবেশনে দেওয়া এক বক্তৃতায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী উপমহাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বার্থে বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানি সৈন্য অপসারণের নির্দেশ দেওয়ার জন্য ইয়াহিয়া খানের প্রতি আহ্বান জানান। ইন্দিরা গান্ধী বলেন, বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানি সৈন্য অপসারণই সমস্যার শ্রেষ্ঠ সমাধান। ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের জনসাধারণকে প্রস্তুত থাকতে হবে।

এ দিনই যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের ভেতরে গেরিলা আক্রমণ অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তাদের নির্দেশে সেনাবাহিনী আরও ভয়াবহভাবে নিরীহ জনগণের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। বুড়িগঙ্গা নদীর অপর পারে জিঞ্জিরায় সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে একদিনেই হত্যা করা হয় ৮৭ জনকে। বাঙালির জন্মভূমি শত্রুমুক্ত করার লড়াইকে আড়ালে রাখতে পাক-ভারত যুদ্ধ শুরু হয়েছে বলে বেতারে ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান।

কিন্তু সেদিন তাদের কোনো ষড়যন্ত্রই বাঙালিকে বিজয় অর্জন থেকে পিছিয়ে দিতে পারেনি।ধীরে ধীরে মুক্তিকামী মানুষ বিজয়রে স্বাদ পেতে শুরু করে। অন্যদিকে পাকিস্তানি বাহিনীও শেষ মুহূর্তে শুরু করে হত্যাযজ্ঞ। শেষ কামড় দিতে মরিয়া হয়ে ওঠে পাকিস্তানি বাহিনী। তবে, হত্যাযজ্ঞে বীর বাঙালিকে দমিয়ে রাখা যায়নি। অকুতোভয় মুক্তিকামী মানুষ ১৬ ডিসেম্বর পায় বিজয়ের আনন্দ।

প্রাণ বাঁচাতে পাকিস্তানি হানাদাররা বীর বাঙালির কাছে আত্মসমর্পণের পথ খুঁজতে থাকে। বাংলাদেশ দ্রুত মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের দিকে এগিয়ে যায়। ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।

আর এরই মাধ্যমে বাংলাদেশ অর্জন করে নিজস্ব ভূখণ্ড আর সবুজের বুকে লাল সূর্য খচিত নিজস্ব জাতীয় পতাকা।

প্রতি বছরের মতো এবারও বিজয়ের মাস নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদযাপিত হতে যাচ্ছে।বিজয়ের এ মাসে বিজয়ের আনন্দে উদ্ভাসিত হোক প্রাণের বাংলাদেশ!

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS