বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন

প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে অনুপস্থিত থেকেও বেতন তুলছেন জাহেদুল

রেজাউল ইসলাম
  • আপডেট : সোমবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি: চাকরীর বয়স প্রায় দুই বছর। বছরে গড়ে এক মাস ও যাননি কর্মস্থলে। তবে কর্মস্থলে নিয়মিত উপস্থিত না থাকলেও বেতন-ভাতা উত্তোলন হয়েছে নিয়মিত। প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগসাজে করে মাসে একবার অফিস কক্ষে গিয়ে স্বাক্ষর করে বেতন তুলছেন। এমন অভিযোগ উঠেছে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দইখাওয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক জাহেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

জানাগেছে, ২০২১ সালের অক্টোবর মাসের ২ তারিখে দইখাওয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ পান জাহেদুল। নিয়োগের পর কয়েক দিন নিয়মিত কর্মস্থলে উপস্থিত ছিলেন। মাস খানেক পার হতে না হতেই বন্ধ করে দেন স্কুলে আসা। প্রভাবশালী পরিবারের ও ওই স্কুলের দাতা সদস্যের পুত্র হওয়ায় কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেননি। প্রায় দুই বছর কর্মস্থলে না গিয়েই তুলেছেন বেতন-ভাতা। জাহিদুলের এমন অনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত রয়েছেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুকুমার রায়। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় অনেক অভিভাবক ও এলাকাবাসী জানিয়েছেন জাহেদুল দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ীভাবে ঢাকার গাজীপুর জেলার সুলতান মার্কেট এলাকার সারদাগঞ্জ ৪ নং ওয়ার্ডের

ভাড়াটে বাসায় বসবাস করে। সেখানকার স্থানীয় হাসান মার্কেটে তার একটি মুরগী বিক্রির দোকান রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। 

গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে ওই স্কুলে গিয়ে দেখা যায় জাহেদুল অনুপস্থিত আছেন এবং এ ঘটনার সত্যতাও স্বীকার করেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। 

শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চাইলে,জাহেদুল নামের কোন অফিস সহায়ককে তারা অনেকে চিনেননা, আবার কেউ কেউ নাম শুনলেও কখনো দেখেননি বলে জানান। এসময় স্কুলে উপস্থিত না থেকে নিয়মিত বেতন উত্তোলনের বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের দাবী করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক জানান, একজন অফিস সহায়ক নিয়োগ হলেও আমরা তাকে পাই না। অনেক সময় স্কুলের শিক্ষকদের সকাল ও বিকেলে ক্লাসরুমের তালা খোলা ও লাগিয়ে দিতে হয়। স্কুলে অফিস সহায়ক উপস্থিত না থাকায় আমাদের অনেক সময় প্রধান শিক্ষকসহ মাধ্যমিক অফিস থেকে কোন অফিসার আসলে আমাদেরকেই চা বানিয়ে খাওয়াতে হয়। সে সময় আমরা শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতে পারি না। এজন্য আমাদের শিক্ষাকার্য্যক্রম ব্যহত হচ্ছে।

বিদ্যালয়ে উপস্থিত না পেয়ে জাহেদুল ইসলামের  কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,

আমি এমাসের ১৭ তারিখে ঢাকায় এসেছি। এখানে  আমার কিছু ব্যবসা আছে এগুলো বিক্রি করে এলাকায় যাবো।

এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুকুমার রায় বলেন বিদ্যালয়ের মাঠের জায়গা সংকট ছিল  অফিস সহায়ক জাহিদুলের নিয়োগের সময় প্রতিষ্ঠানের নামে জমি দেওয়ার কারনে কিছু বিষয় ছাড় দেওয়া হচ্ছে। 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শা্হ মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম বলেন, কোন কর্মচারী যদি প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত না থেকে বেতন ভাতা উত্তোলন  করে তাহলে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS