চোখে মায়াবী চাহনী। দেখলেই আপন মনে হয়। ববি, মানুষ না হলেও মানুষের মতোই তার চলাফেরা। ও পৃথিবীর সব থেকে বয়স্ক কুকুর। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড-এ রেকর্ড করা ববি মারা গেছে।
মানুষের হিসেবে বয়স খুবই কম হলেও, একটি কুকুরের বিবেচনায় প্রায় ৩২ বছরের দীর্ঘ এক জীবনের দেখা পেয়েছিলো ববি। এ যাবৎকালে পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশিদিন বেঁচে থাকা কুকুর সে। তবে প্রিয়জনদের কাছে তার এই ১১ হাজার ৪৭৮ দিনের জীবনটা যেন নিতান্তই কম।
এই তো কিছুদিন আগের কথা! ফেব্রুয়ারি তে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস এ পৃথিবীতে বেঁচে থাকা সবচেয়ে বয়স্ক কুকুরের খেতাব অর্জন করে কুকুরটি। এ মাসের ২১ অক্টোবর ৩১ বছর ১৬৫ দিন বয়সে পর্তূগালে নিজ আবাসস্থলে মারা যায় ববি।
১৯৯২ সালের ১১মে জন্ম কুকুরটির। ববি তার পুরো জীবন কাটায় লিওনেল কস্তা ও তার পুরো পরিবারের সাথে। পর্তুগালের এক গ্রামে গ্রামীণ পরিবেশে বেড়ে ওঠা ববির সাথে জন্ম হয়েছিল তার আরও তিনটি কুকুরের। ববির যখন জন্ম হয় তখন লিওনেল কস্তার বয়স ছিল মাত্র ৮। তার বাবা মা বাসায় অনেক বেশি পশুর বসবাস থাকায় ববিকে আর অন্য তিনটি কুকুরকে কষ্ট না দিয়ে মৃত্যুর ব্যবস্থা করতে বাধ্য হয়।
কিন্তু ছোট্ট কুকুর ববি পালিয়ে যায়। মি. কস্তা ও তার ভাইয়েরা কুকুরটির অস্তিত্ব তাদের মা-বাবার কাছ থেকে গোপন রেখেছিলেন। তারা যা খেত তাই খেতে দিত ববিকে। একসময় পরিবারের একজন হয়ে ওঠে ববি। কুকুরটি এতটাই বিশ্বস্ত ছিল যে তাকে কখনওই বেঁধে রাখা হতনা।
শান্ত, গ্রামীণ পরিবেশ খুব পছন্দ ছিল ববির। পুরোটা জীবনই সে কাটিয়েছে শহর থেকে দূরে। সাধারনত এসব কুকুরেরা ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সেই মারা যায়। তবে সবাইকে অবাক করে দেয় ববি। ধারণা করা হয় ববির এত দীর্ঘায়ুর পাওয়ার পেছনে ভূমিকা থাকতে পারে তার শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করা।
কেননা মি. কস্তার বাড়িতেই ববির মা ১৮ বছর বেঁচে ছিল এবং পরিবারের আরেকটি কুকুর ২২ বছর বয়সে মারা যায়। পুরো জীবনে একবার শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হওয়া ছাড়া কখনোই অসুস্থ হয়নি ববি। শান্তিপূর্ণ গ্রামীণ জীবনে শান্তিতেই কেটেছিল তার জীবন।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply