মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন জলবায়ু বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ফেডারেল সংস্থাগুলোর বাজেট কাটছাঁট করছেন, ঠিক তখনই যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় এ বছরের সবচেয়ে বড় দাবানল ‘মাদ্রে ফায়ার’ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ৩০০ জনেরও বেশি দমকলকর্মী এই বিশাল দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো লড়াই করছেন। খবর এএফপির।
বুধবার (২ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত সান লুইস ওবিস্পো কাউন্টিতে ‘মাদ্রে ফায়ার’ নামের এই দাবানলটি ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় ২০০ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দাবানলের কারণে কয়েক ডজন ভবন আগুনের ঝুঁকিতে রয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়া ফায়ার সার্ভিস (ক্যাল ফায়ার) জানিয়েছে, আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। মাত্র ২৪ ঘণ্টায় এটি ৫২ হাজার একর (২১ হাজার হেক্টর) এরও বেশি জমি পুড়িয়ে দিয়েছে। রাজ্যের সতর্কতা ব্যবস্থা থেকে প্রকাশিত ছবিতে পাহাড়ি ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাহাড়ের ওপর কালো ধোঁয়ার ঘন স্তম্ভ দেখা গেছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ আরও সৈন্য মোতায়েনের ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, রাজ্য সর্বদা সব সম্প্রদায়কে রক্ষা করার জন্য উপস্থিত থাকবে— আগুন যেখান থেকেই শুরু হোক না কেন।
‘মাদ্রে ফায়ার’ ছাড়াও সম্প্রতি আরও বেশ কয়েকটি দাবানল হয়েছে। এর আগে জানুয়ারিতে ৩০ জন নিহতের ঘটনায় রাজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, যা এই গ্রীষ্মে আরও কঠিন পরিস্থিতির আশঙ্কা তৈরি করেছে।
ইউসিএলএ-এর জলবায়ু ঘটনা বিশেষজ্ঞ ড্যানিয়েল সোয়েন একটি ব্লগ পোস্টে উল্লেখ করেছেন, দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় অস্বাভাবিক শুষ্ক শীত ও বসন্ত ছিল, যার ফলে গাছপালা ইতিমধ্যেই শুকিয়ে গেছে। এই গ্রীষ্মের শেষের দিকে আরও তীব্র ও ব্যাপক তাপের প্রত্যাশার পরিপ্রেক্ষিতে এই মৌসুমের শেষের দিকে গাছপালা শুকিয়ে যাওয়ার অতিরিক্ত দুই মাস পরিস্থিতির ওপর আরও ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।
ভয়াবহ দাবানলের ছড়িয়ে পড়ার আগে বুধবার ট্রাম্প ফরেস্ট সার্ভিস, ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া সমন্বয়কারী ফেডারেল সংস্থা ফেমা’র বাজেট এবং কর্মী কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
গভর্নর নিউসম ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত দাবানল প্রতিরোধ প্রকল্পে অর্থায়ন না করার অভিযোগ করেছেন। নিউসম এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমাদের সম্পদের সমতুল্য প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন— বাগাড়ম্বর নয়। এই রাজ্যের ৫৭ শতাংশ জমি ফেডারেল সরকারের এখতিয়ারাধীন।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply