নিজস্ব প্রতিবেদকঃ এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোটের নেতৃত্বে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে জাতীয় প্রেসকাবের সামনে এমপি শিক্ষ জাতীয়করণের দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চলছে। সমগ্র দেশ থেকে কয়েক হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর প্রতিনিধি প্রতিদিন অ কর্মসূচিতে গ্রহণ করছে।
অবস্থান কর্মসূচির ৭ম দিনে শিক্ষকরা তাদের বক্তব্যে বলেন, এদেশের শিক্ষা ব্যবহার ৯৭% দারিত্ব সাধন করে বেসরকারি বা এমপিওভুক্ত শিক্ষকরণ আর ৩% দায়িত্ব পালন করে সরকারি শিক্ষক সরকারি শিক্ষণ প্রেষণে শিক্ষা বিভাগে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে বেসরকারিদের উপর নির্যাতন ও অত্যাচার করছে।
যদি সরকারি এবং বেসরকারি শিক্ষার মধ্য থেকে আনুপাতিক হারে শিক্ষা বিভাগে প্রেষণে নিযোগ প্রদান করা হতো তাহলে অনেক পূর্বেই সরকার-বেসরকারি বৈষম্যের অবদান হতো। শিক্ষক মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট দাবি করছে, তিনি যেন অনতিবিলম্বে হয় এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ করেন নতুবা সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বেসরকারি করে দেন। তবেই বন্ধুর বক্তব্য অনুযায়ী সাম্যের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠত হবে।
বর্তমান সরকার টানা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকলেও এমপিওভুক্ত শিক্ষকরণ উৎসব ভাতা ২৫%, বাড়ি ভাড়া নির্ধারিত ১০০০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা পাচ্ছে যা অতীব দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। ১৯৫১ সাল পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ: অন্য কোডে বেতন পেতো।
১৯৯২ সালে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও জেলা শিক্ষা অফিসারগণ সরকারের সাথে আলাপ আলোচনারে নিজেদের বেতন ৬নং কোডে নিয়ে যান। আজ তারা দু’টি টাইমস্কেল পেয়ে ৪নং কোডে বেতন পাচ্ছে। অথচ বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকমণ চাকরি শুরু করে ৭নং গ্রেডে এবং শেষ করে ৭নং গ্রেডেই আবার বেসরকারি হাইস্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল ২৩,০০০ (তেইশ হাজার) টাকা কিন্তু তাদের টাইম স্কেল না থাকায় সহকারি শিক্ষকদের টাইম স্কেল থাকায় সহকারি প্রধান শিক্ষক এবং সহকারি শিক্ষক একই স্কেলে এসে যাচ্ছে। এগুলো দেখার কেউ নেই। এক দেশের দুই নীতি, এগুলো বন্ধের একমাত্র পথ এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ।
জোটের আহব্বায়ক অধ্যক্ষ মোঃ মাইন উদ্দীন ও সদস্য সচিব অসিম উদ্দিন আহমদ বলেন, করোনা এবং ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধকালীন সময়েও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয় সরকারি কোষাগারে জমা নিয়ে এবং নীতিমালার পরিবর্তনের মাধ্যমে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ করা সম্ভব।
জোটের যুগ্ম আহবায়ন-১ অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, যে প্রধানমন্ত্রী এক ঘোষণায় প্রাথমিক বিদ্যালযের লক্ষাধিক শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণ করতে পারেন, তিনি চাইলে এক ঘোষণার মাধ্যমেই এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ করে ইতিহাস রচনা করতে পারেন
সারা দেশ থেকে আসা শিক্ষক ও শিক্ষক নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মো: রফিকুল ইসলাম, আবু রায়হান, মো: শাহ আলম, শেখ জসিম উদ্দিন, শাহিদুল ইসলাम, ল ইসলাম, মতিউর রহমান দুলान, রবিউল ইসলাম, আব্দুল জব্বার, বিপ্লব কান্তি দাস, মেসবাউল ইসলাম প্রিন্স, মোস্তফা কামান, মো: ফরিদ উদ্দিন, বেনী মাধব দেব নাথ, মামুনুর রশিদ, আবু তালেব শেখ, জসিম উদ্দিন শেখ, ফয়েজ আহমেদ, শেখ আব্দুর রহমান, মোঃ রামেন, মো: আব্দুল হাই সিদ্দিকী, মোঃফা কামান, আশরাফুজ্জামান হানিফ, আবু ইউসুফ, রতন কুমার দেব নাথ, আবুল বাশার নাদিম, মোন্নাফি রহমান, মো: ইসমাইল হোসেন, মো: হারুন-অর-রশিদ, মোঃ আলী আহসান, শামসুল আরিফিন, মো: মনিরুল ইসলাম জুলেখা বেগম, ঝর্না বিশ্বাস আফজাল হোসেন তালুকদার, ওয়েদ আলী, আনোয়ারুল ইসলাম নুরুল আমিন হেলালী সহ প্রমূখ।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply