নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের মতামত নিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হবে। এই ক্ষেত্রে প্রশাসনিক অখণ্ডতাকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
মো. আলমগীর বলেছেন, পরিসংখ্যান ব্যুরো থেকে জনসংখ্যার চূড়ান্ত রিপোর্ট আমরা এখনও পাইনি। আমাদের অপেক্ষা করা একটু কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আমাদের কাজ শুরু করতে হবে।
তিনি বলেন, সীমানা পুনর্নির্ধারণের ক্ষেত্রে জনসংখ্যা হচ্ছে তিন নম্বর গুরুত্ব। প্রথম গুরুত্ব হচ্ছে প্রশাসনিক- যদি কোনো প্রশাসনিক পরিবর্তন না হয়ে থাকে, তাহলে তো আামদের পরিবর্তন করার প্রয়োজন নাই। যদি কোনো ভৌগলিক পরিবর্তন না হয়ে থাকে, তাহলেও করার প্রয়োজন নাই। শুধু একটাই ফ্যাক্টর আছে, সেটা হলো জনসংখ্যার কারণে। এখন জনসংখ্যার জন্য মাইগ্রেশনের কাছে যে পরিবর্তনটা আসে। সেই ক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন আসে। জনসংখ্যাটাকে তো আর সমবণ্টন করা যায় না। একটা মিলাতে গেলে আরেকটি মেলে না। আপনি যদি প্রশাসনিক অখণ্ডতা ঠিক রাখেন। তাহলে দেখা যায় যে, প্রশাসনিক ও ভৌগলিক অখণ্ডতা ঠিক রাখলে জনসংখ্যা মিলানো কঠিন হয়ে যায়। কারণ এটা কখনোই মিলানো সম্ভব না। এমনকি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেখবেন কোথাও কোথাও পৌনে তিন লাখ লোক আছে। আবার কোথাও কোথাও প্রায় ১১-১২ লাখ লোকও আছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি যে সভাটি করছি, ওই সভায় আমাদের প্রিন্সিপালগুলো কি হবে তা ঠিক করা হবে।
আগামী জুনের মধ্যে সীমানা পুননির্ধারণ চূড়ান্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply