প্রকৃতির নিয়মে বছর ঘুরে আসা শীত এভাবেই বদলে দিয়েছে চিরচেনা দেশের চিত্র। বদলে দিয়েছে নাগরিক জীবনের প্রেক্ষাপট। বদলে দিয়েছে বৈচিত্র্যময় প্রাণ-প্রকৃতিও।
রোববার (৮ জানুয়ারি) সকালেও কুয়াশায় মোড়া দেশের আকাশ। তবে গত কয়েকদিনের তুলনায় এদিন কুয়াশার দাপট কিছুটা কম। যদিও শীতের তীব্রতা কমেনি একটুও। হিম বাতাসে সবার অবস্থাই জবুথবু। এরই মধ্যে সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস।
রোববার সূর্যের দেখা মিলতে পারে বলে জানিয়ে আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আপাতত দিনের তাপমাত্রা বাড়ছে। ফলে রোববার থেকেই দিনের কুয়াশা কমে যাবে, দেখা মিলবে সূর্যের। কিন্তু ১০ অথবা ১১ জানুয়ারি থেকে তাপমাত্রা আবার কমতে পারে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, রাজধানীসহ দেশের মানুষ সবাই শীত নিবারণের জন্য একাধিক গরম কাপড় মুড়িয়ে কর্মস্থলের উদ্দেশে ঘরের বাইরে বের হয়েছেন। রোববার সাপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস হওয়ায় রাজধানীর সড়কগুলোতে সকালেই মানুষের উপস্থিতি ছিল বেশি। স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে অফিস সবই খোলা। ফলে বাইরে বেরিয়ে প্রত্যেকেই ভুগছেন শীতের তীব্রতায়।
শীতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষ। দেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে শীত আর কুয়াশার দাপটে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। শহরের ভাসমান মানুষের মধ্যে যারা রাস্তা বা উন্মুক্ত স্থানে থাকেন, তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠেছে। কোথাও কোথাও আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চলছে।
এদিকে, রাজধানীতে শনিবার চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গায় এ মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দিন ও রাতে তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়ায় শীতের অনুভূতি বাড়ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এ অবস্থা আগামী আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে। উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র শীতের অনুভূতি থাকতে পারে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং দেশের কোথাও কোথাও তা দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। নওগাঁ, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply