রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হেরেছে ইমরুল কায়েসের দল। ১৭৭ রানের বড় লক্ষ্যে মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের শিষ্যদের ৩৪ রানে হারিয়ে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নরা। বিপিএলের নবম আসরে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের শুরুটা ভালো হল না।
বড় লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করে কুমিল্লা। লিটন দাস ও সৈকত আলি মিলে দলকে দেখে শুনেই এগিয়ে নিচ্ছিলেন। তবে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে রাকিবুল হাসানের বলে হাসান মাহমুদকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন। ১২ বলে ১০ রান করে আউট হন এই ব্যাটার। সঙ্গী হারালেও তিনে নামা ডেভিড মালানের সঙ্গে জুটি বাধেন সৈকত। তবে দলীয় ৫০ পার হওয়ার পরই দুজনই ফিরে যান সাজঘরে। সৈকত ২১ বলে ১৬ ও মালান ৯ বলে ১৭ রান করে আউট হন। তিন উইকেট হারালেও অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ও মোসাদ্দেক হোসেন মিলে দলকে ১০০’র ওপর নিয়ে যান।
নিজেদের মাঝে ৫০ রানের জুটি গড়লেও দলীয় ১১৫ রানে ২৩ বলে ৩৫ রান করে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে আউট হন ইমরুল। এরপর অবশ্য বাকি ব্যাটাররা আসা-যাওয়ার মিছিল ধরেন। ১১৫ থেকে ১৪২ রানের মাঝে ৭ ব্যাটারকে হারিয়ে বসে দলটি। দলটির মিডল ও লোয়ার মিডল অর্ডারে ধ্বস নামান রবিউল হক ও হাসান মাহমুদ। ১৫ থেকে ২০ ওভারের মাঝে ৫ উইকেট শিকার করেন দুজন। হাসান ৩টি, রবিউল ২টি ও রাকিবুল শিকার করেন ২টি উইকেট। ৩৪ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রংপুর।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই হাত খুলে খেলতে থাকেন রংপুরের ওপেনার রনি। তার সঙ্গী নাইম শেখ খানিকটা ধীরগতিতে ব্যাটিং করলেও কুমিল্লার বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন রনি। তাদের ব্যাটে পাওয়ার প্লে’তে কোন উইকেট না হারিয়ে ৬৪ রান স্কোরবোর্ডে তোলে ২০১৭ সালের বিপিএল চ্যাম্পিয়নরা।
পাওয়ার প্লে শেষেও একই গতিতে ব্যাট চালান রনি। তাতে সচল ছিল রংপু্রের রানের চাকা। এদিন বিপিএল ইতিহাসে বাংলাদেশীদের মধ্যে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন রনি। ১৯ বলে ব্যাক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি৯ করার পর মাইলফলকে পৌঁছে দলকে ১০০’র দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। তবে নবম ওভারে খুশদিল শাহকে সামনে এগিয়ে মারতে গিয়ে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন রনি। ১১ রান ও এক ছক্কায় ৩১ বলে ৬৭ রান করে আউট হন এই ওপেনার। সঙ্গী হারানোর পর নাইম শেখ হাত খুলে খেলতে গিয়ে উইকেট ছুঁড়ে দেন। তবে এর আগে নাইম ও শোয়েব মালিকের ব্যাটে দলীয় ১০০ পার করে রংপুর।
দলীয় ১১৫ রানে ফজল হক ফারুকির বাউন্সার উড়িয়ে মারতে গিয়ে মোসাদ্দেকের তালুবন্দি হন নাইম। ৩৪ বলে ২৯ রান করে তিনি ফিরলেও ক্রিজে নেমে মালিককে ভালো সঙ্গ দেন সিকান্দার রাজা। দলীয় ১৩৪ রানে মোসাদ্দেককে উইকেট ছুঁড়ে দেয়ার আগে করেন ১২ রান। তিনি ফিরলেও নুরুল হাসান সোহানকে সঙ্গে নিয়ে দলকে ১৫০’র ঘরে নিয়ে যান মালিক। তবে নুরুলের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে ২৬ বলে ৩৩ রানে রান আউট হন মালিক। সে সময় দলীয় স্কোর ৪ উইকেটে ১৬৩ রান। এরপর ক্রিজে নেমে ৮ রান করলেও মুস্তাফিজকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন হাওয়েল। এরপর শেষ বলে ২ রান নিয়ে দলকে ১৭৬ রানের পুঁজি এনে দেন শেখ মাহেদি। নুরুল অপরাজিত থাকেন ১৯ রানে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply