ছোট লক্ষ্যে শুরুতে উইকেট হারালেও সিলেট স্ট্রাইকার্সকে বিপদে পড়তে দেননি জাকির হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্ত। ৯০ রানের লক্ষ্যে কোন ঝুঁকি না নিয়ে, মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে হেসে-খেলে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। মিরপুর শের-এ-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে সিলেট।
৯০ রানের মামুলি লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে কলিন অ্যাকারম্যানকে হারিয়ে বসে সিলেট। ৫ বলে এক রান করে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর শিকার হয়ে তিনি ফিরলেও আরেক ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকির হাসান মিলে দলের হাল ধরেন। তৃতীয় ওভারে উইকেট হারানো দলটিকে টেনে নিতে থাকে এই জুটি। তাদের ব্যাটে দলীয় ৫০ পার করে সিলেট। দুজনই স্কোরবোর্ডে রান যোগ করতে থাকেন। নিজেদের মাঝে ৫০ রানের জুটিও গড়ে তোলেন তারা।তবে দলীয় ৭৫ রানে ২১ বলে ২৭ রান করে মালিন্দা পুশপাকুমারার শিকার হয়ে ফেরেন জাকির।
উইকেট হারালেও মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে এরপর দলের পক্ষে বাকি কাজটা করেন শান্ত। এরপর আর কোন উইকেট না হারিয়ে ৮ উইকেটের সহজ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সিলেট। শান্ত ৪১ বলে ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে ম্যাচটিতে টস ভাগ্য গিয়েছিল সিলেট অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার পক্ষে। প্রতিপক্ষ অধিনায়কের আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দেখেশুনে করলেও দলীয় ১১ রানে প্রথম উইকেট হারিয়ে বসে চট্টগ্রাম। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে মাশরাফির ওভারে জাকির হাসানের সরাসরি থ্রো-তে রান আউট হন ওপেনার মেহেদি মারুফ। ১৪ বলে ১১ রান করে মারুফ ফিরলে পঞ্চম ওভারে আরেক ওপেনার ডারউইশ রাসুলিকে বিদায় করেন মোহাম্মদ আমির। দারুন এক বাউন্সারে তার ক্যাচটি লুফে নেন উইকেটের পেছনে থাকা মুশফিকুর রহিম। ২ উইকেট হারিয়ে বসা দলটিকে আরও বিপদে ফেলেন রেজাউর রহমান রাজা।
চট্টগ্রাম অধিনায়ক শুভাগত হোমকে বিদায় করেন দলীয় ২২ রানে। এক রানে শুভাগত ফিরলে ২২ রানের জুটি গড়েন আল আমিন জুনিয়র ও আফিফ হোসেন। তবে ১০ম ওভারের ঠিক আগে দলীয় ৪৪ রানে আল আমিন ফেরেন কলিন অ্যাকারম্যানকে উইকেট ছুড়ে দিয়ে। ২০ বলে ১৮ রান করে আল আমিন বিদায় নিলে দলীয় ৪৭ রানে পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে উসমান খানকে বিদায় করেন রাজা।এরপর তৃতীয় উইকেট হিসেবে উম্মুক্ত চাদকেও বিদায় করেন সিলেটের এই পেসার। ৬২ রানে ৬ উইকেট হারানো দলটিকে আরও বিপদে ফেলেন মাশরাফি।
নিজের শেষ ওভারে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীকে দলীয় ৬৭ রানে আউট করেন মাশরাফি। বাকিদের আসা-যাওয়ার মিছিলে একপ্রান্তে একাই লড়ছিলেন আফিফ হোসেন। কিন্তু ১৬তম ওভারে মোহাম্মদ আমিরের বলে ২৫ রানে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বসেন তিনি। ৭৪ রানে ৮ উইকেট হারানো দলটির শঙ্কা জাগে ১০০’র আগে গুটিয়ে যাওয়ার। শেষের দিকে নেমে রাজার গতির সামনে দাড়াতে পারেননি নিহাদউজ্জামানও। ইমাদ ওয়াসিমের তালুবন্দি হয়ে তিনি ফেরেন ৮ রানে। ৪ ওভারে ১৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে স্পেল শেষ করেন রাজা।
শেষ ওভারে পেরেরার বিপক্ষে উইকেট না ছুড়ে দলেও স্কোরবোর্ডে বেশি রান যোগ করে পারেননি মালিন্দা পুশপাকুমারাও মেহেদি হাসান রানা। ফলে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ৮৯ রানে থামে চট্টগ্রামের ইনিংস। রাজা ছাড়া ৭ রানে ২ উইকেট নেন মোহাম্মদ আমির।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply