নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজধানীতে আজ শুক্রবার বিএনপিসহ ১৩টি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকের গণমিছিল কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যাত্রাবাড়ীতে কয়েক হাজার নেতা–কর্মী নিয়ে ‘শান্তি সমাবেশ’ করেছে ঢাকা ৪, ৫ ও ৯ সংসদীয় এলাকা এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। এতে দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারাও অংশ নেন।
এই অবস্থান কর্মসূচি থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম বলেন, জামায়াত–বিএনপির সন্ত্রাস–নৈরাজ্যের প্রতিবাদে জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে এ অবস্থান কর্মসূচি। মানুষ দুর্নীতিবাজদের দলের আহ্বানে সাড়া দেয়নি। জনগণ উন্নয়নের পক্ষে, আওয়ামী লীগের পক্ষে। জনগণ আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে সফল করেছে। মানুষের কথা ভেবেই এই শান্তি সমাবেশ।
কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলী সদস্য মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন, বিশেষ অতিথি ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ। ঢাকা–৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম এতে সভাপতিত্ব করেন।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বিএনপি ও তাদের অনুসারীরা মানুষের সুখ–শান্তি পছন্দ করছে না। মেট্রোরেল নিয়ে মানুষের উচ্ছ্বাসও তাদের সহ্য হচ্ছে না। উন্নয়ন নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা। যাদের কিছু করার ক্ষমতা নেই, তাদের মুখে বড় কথা মানায় না। ১৩০ দলের জোট করেও আওয়ামী লীগের কিছু করতে পারবে না তারা।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র খায়রুজ্জামান আরও বলেন, ‘মানুষ কেন রাজপথে আসবে? বিএনপির আন্দোলন, আমাদের উন্নয়ন থামাতে। মানুষ সুখে আছে। একমাত্র রাজপথে আওয়ামী লীগই আন্দোলন করতে পারে। আওয়ামী লীগই আন্দোলনের দল। আওয়ামী লীগ চক্রান্ত মোকাবিলা করে ক্ষমতায় এসেছে।’
প্রধান অতিথি মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিচ্ছেন। নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু করা হয়েছে। ১৫ বছরে ঋণের সব টাকা শোধ হবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রজ্ঞায় দেশ নতুন করে এগোচ্ছে। আরেকবার নির্বাচনে জিতলে দেশ সোনার বাংলায় রূপ নেবে। এ নির্বাচন চ্যালেঞ্জের ও গুরুত্বপূর্ণ।
মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন আরও বলেন, ‘বিএনপি–জামায়াত বলেছে, তারা তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে এনে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসাবে। বাংলার মানুষ তাদের গ্রহণ করেননি। তারা কোথাও কর্মসূচি করতে পারেনি। মিছিল নিয়ে ভয়ে বের হয়নি। আমরা কিছু করব না। শান্তি চাই।’
যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তার কাছের পার্কের সামনে জুমার নামাজ শেষে শুরু হয় আওয়ামী লীগের এ অবস্থান কর্মসূচি। বিকেল পাঁচটার পর তা শেষ হয়।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply