শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে চার দিন পর বিএনপি নেতারা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : রবিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১৮৪ Time View

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। কার্যালয় ঘুরে দেখেছেন দলটির দফতরের দায়িত্বে থাকা নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। তিনি অভিযোগ করেন, কার্যালয়ে তাণ্ডব চালানো হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র খোয়া গেছে।

রোববার (১১ ডিসেম্বর) কয়েকজন আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান এমরান সালেহ। এরপর তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কার্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষ ঘুরে দেখেন।

এমরান সালেহ সাংবাদিকদের বলেন, দুই দিন আগে নিরাপত্তারক্ষীর কাছে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ফটকের চাবি বুঝিয়ে দেয় পুলিশ। কিন্তু নেতাকর্মীদের কার্যালয়ে ঢুকতে দেয়া হয়নি। তা ছাড়া ঢোকার মতো পরিস্থিতিও ছিল না। আজ (রোববার) তারা ঢুকতে পেরেছেন।

১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশের কর্মসূচি ছিল। তার আগে ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে একজন নিহত হন। আহত হন অনেকে। সংঘর্ষের পরই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে নেতাকর্মীদের আটক করা হয়। তারপর থেকে কেন্দ্রীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ ছিল। গতকাল শনিবার রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ হয়। এ গণসমাবেশের পরদিন রোববার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢুকতে পারেন দলটির নেতাকর্মীরা।

এমরান সালেহ আরও বলেন, ‘প্রায় চার দিন পর আমরা আমাদের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢুকতে পেরেছি। বিএনপির ঢাকার গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার ও তার অনুগত প্রশাসন ৭ ডিসেম্বর আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে। না দেখলে বোঝা যাবে না, কী ধরনের তাণ্ডব এখানে হয়েছে।’

তিনি বলেন, দলীয় চেয়ারপারসনের কক্ষের দরজা ভাঙা। কক্ষে যে জিনিসপত্র ছিল, তা নেই। দলের ভাইস চেয়ারম্যানের দফতরে তারা স্কাইপে সভা করেন। স্কাইপের মনিটর, সিপিইউ, ফাইলপত্রসহ কিছু সেখানে নেই। হিসাব বিভাগে কম্পিউটার, সিপিইউসহ কিছু নেই। টাকা রাখার ড্রয়ার ভাঙা। সেখানে টাকা পাওয়া যায়নি। চেক বই পাওয়া যায়নি। কম্পিউটার, সিপিইউ, প্রিন্টার, স্ক্যানার, ল্যাপটপ খোয়া গেছে। ফাইলপত্রগুলো নেই। ছাত্রদল, যুবদল, কৃষক দল, মহিলা দলসহ অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের দফতরগুলোও তছনছ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে এমরান সালেহ বলেন, ‘সরকার দেশকে লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। একইভাবে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ও তারা লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। আমাদের চলমান আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতে তারা এই কাজ করেছে।’

গুরুত্বপূর্ণ নথি ও যন্ত্র খোয়া যাওয়ায় আইনগত ব্যবস্থার বিষয়ে সৈয়দ এমরান সালেহ বলেন, কী কী জিনিস খোয়া গেছে, তার তালিকা করবেন তারা। এরপর দলের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।

তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশ ককটেল রেখে নাটক মঞ্চস্থ করেছিল। তারা এখনও জানেন না, তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশ কী কী রেখে গেছে। এটা নিয়ে তারা নিরাপত্তাহীনতায় আছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2024 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS