শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৭ অপরাহ্ন

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির ২৫ নেতা–কর্মী গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : শনিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১৯২ Time View

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ২৫ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাত থেকে আজ শনিবার ভোর পর্যন্ত জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও থানা-পুলিশ জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের মধ্যে জেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন মাহমুদের ব্যক্তিগত সহকারী মো. মহসিন, গাড়িচালক জুয়েল আহম্মেদ ও দেহরক্ষী লিটন মিয়া এবং কুতুবপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সহসভাপতি ইমরান হোসেন।

এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা এলাকা থেকে চারজন, বন্দর থানা এলাকা থেকে দুজন, সোনারগাঁ মডেল থানা এলাকা থেকে ছয়জন, আড়াইহাজার থানা এলাকা থেকে চারজন ও রূপগঞ্জ থানা এলাকা থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল হক সুপারমার্কেট এলাকা থেকে মো. মহসিন, জুয়েল আহম্মেদ ও লিটন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরে তাঁদের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা-পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। মো. মহসিনের ছোট বোন রুমা আক্তার রাতে থানায় ছুটে যান।

রুমা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা জিডি নেই। তিনি কোনো ভাঙচুর বা নাশকতার সঙ্গে জড়িত নন। তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলেও পুলিশ তা শোনেনি। হয়রানি করার উদ্দেশ্যে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মহাসড়কে অগ্নিসংযোগ ও যানবাহন ভাঙচুরের ঘটনায় ডিবি পুলিশ তিনজনকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করে। এ নিয়ে ওই মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ বানচাল করতে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন জেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন মাহমুদ।

তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঢাকার সমাবেশকে কেন্দ্র করে আটটি গায়েবি মামলায় আসামি করা হয়েছে বিএনপির ৮৯৩ জন নেতা-কর্মীকে। অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার থেকে নেতাদের ব্যক্তিগত লোকজনও বাদ পড়ছে না। আমার ব্যক্তিগত সহকারী, গাড়িচালক ও দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। তাঁরা দলের কোনো পদেও নেই। ব্যক্তিগত লোকজনকে এভাবে হয়রানি করাটা কাম্য নয়।’

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, এ পর্যন্ত নাশকতার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2024 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS