বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলে গত কয়েক মাস ধরেই চলছিল পরীক্ষা-নিরীক্ষা। বিশেষ করে টপ অর্ডারে। ওপেনিংয়েতো পরিবর্তন এসেছে রীতিমতো ম্যাজিকাল চেয়ারের মতো। যা অব্যাহত ছিল সদ্য সমাপ্ত ত্রিদেশীয় সিরিজেও। তবে চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরুতেই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ দেখা হয়ে গিয়েছে বাংলাদেশের। নেদারল্যান্ডেসের বিপক্ষে জয়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হতাশাজনক হার যেন নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে টিম ম্যানেজম্যান্টকে।
গত অগাস্টে প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোকে টি-টোয়েন্টি দল থেকে সরিয়ে শ্রীরামকে দায়িত্ব দেয়া হয়। মূলত তিনি দলের টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট হলেও প্রধান কোচের ভূমিকা পালন করেন। বাংলাদেশে আসার পর শ্রীরামের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট ছিল এশিয়া কাপ। এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের সেই লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তানের বিপক্ষে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় বাংলাদেশ। এরপর আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজ জিতলেও ছিল না প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স। আর সদ্য সমাপ্ত ত্রিদেশীয় সিরিজে চার ম্যাচের সবকটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ।
এদিকে শ্রীরাম দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশ এখনো পর্যন্ত খেলেছে ১০ ম্যাচ। তাতে জয় সাকূল্যে তিনটি, তাও আবার খর্ব শক্তির সংযুক্ত আরব আমিরাত ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। তবে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে অসহায় আত্মসমর্পণের পর সমালোচনা হচ্ছে বেশ। সর্বশেষ ২০ ম্যাচে জয় ৫ টি। এমন অবস্থায় পাকিস্তানকে হারিয়ে বসা জিম্বাবুয়েকে হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই।
শ্রীরামের আমলে বাংলাদেশ যে কয়টি টি-টোয়েন্টি খেলেছে সেখানে বেশিরভাগ ম্যাচেই ক্রিকেটারদের নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন এই ভারতীয় কোচ। এর বড় একটি কারণ ছিল, সঠিক কম্বিনেশন খুঁজে বের করা। ওপেনিংয়ে বেশ কয়েকটি জুটি বদলে অবশেষে ভরসা করা হয়েছে সৌম্য-শান্ত জুটির ওপর। তাছাড়া মিডল অর্ডারেও এখন সবার ব্যাটিং পজিশন প্রায় নিশ্চিত। লম্বা সময়ের পরিকল্পনা নিয়ে এখন মাঠে নামছে দল।
ব্রিজবেনে সংবাদ সম্মেলনে শ্রীরাম অবশ্য শুনিয়েছেন আশার বানী। তিনি বলেন, আমরা মূলত একটা দল হিসেবে গড়ে ওঠার চেষ্টা করছি। সে দিক থেকে সবকিছু ইতিবাচক। ছেলেদের আত্মবিশ্বাস বাড়ছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য নিজেদের আরও শক্ত করছে, তারা জানে তাদের কোথায় যেতে হবে। অল্প সময়ে আমি মনে করি এসব জিনিস আমরা বেশ ভালোভাবেই করতে পারছি। আমরা আমাদের প্রত্যাশার জায়গায় ঠিকই আছি, ভবিষ্যতের জন্য একটা দল গড়ে তোলা…বেশ সামর্থ্যবান কিছু ক্রিকেটার আছে। আমি বিশ্বাস করি সময় দিলে আমরা ভবিষ্যতে একটা ভালো টি-টোয়েন্টি দল হিসেবে গড়ে উঠবো।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচটিকে পাখির চোখ করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের জয় ভাবনায় রাখতে বাধ্য করছে সাকিববাহিনীকে। শ্রীরাম বলেন, ‘আমরা জিম্বাবুয়েকে সমীহ করছি। তারা পাকিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। ঐ ম্যাচের প্রতিটি বল দেখেছি। যেভাবে তারা পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলল এটা অবিশ্বাস্য। পুরো কৃতিত্ব তাদের দিতে হবে, পুরো সম্মানও।’
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply