বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৩০ পূর্বাহ্ন

সেচ্ছাচারিতার, খামখেয়ালিপনা ও অসাংগঠনিক কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে সান্টুসহ ৭ নেতা কর্মীর পদত্যাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : শুক্রবার, ৮ জুলাই, ২০২২
  • ১১৯ Time View

বরিশাল প্রতিনিধি: দেশব্যাপী সাংগঠনিকভাবে বিএনপিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে দলের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা ও সুসংহত করতে বরিশাল জেলা দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক গঠনের পর যত দিন অতিবাহিত হয়েছে ততই বিএনপির কর্মী সমর্থকদের জন্য বুমেরাং হচ্ছে দলের শীর্ষ নেতারা। এক এক করে বেড়িয়ে আসছে তাদের বাণিজ্যিক ও নিজ আধিপত্য বিস্তারের চারিত্রিক বৈশিষ্ট। বরিশাল বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের কতিপয় নেতা একে অপরের বিরাগ ভাজন হয়ে পরস্পর পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বি হয়ে নিজেদের আধিপাত্য ও সামাজ্য বিস্তারে উপেক্ষিত হচ্ছে সাধারণ নেতাকর্মীরা। এরফলে সাংগঠনিক কার্যক্রম ঝিমিয়ে পরার পাশাপাশি বিএনপি’র শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে বিএনপিই। পছন্দমত পদ দেয়ার লোভ দেখিয়ে দলের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে বেপরোয়া চাঁদাবাজী, উপঢৌকন নেয়া ও একে অপরকে দোষারোপের কারণে ক্রমেই সাংগঠনিকভাবে দূর্বল হয়ে পরেছে বরিশাল জেলা দক্ষিণ বিএনপি।

বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির আহবায়ক এ্যাড. মুজিবুর রহমান নান্টু এর সেচ্ছাচারিতার, অমানবিকতা, খামখেয়ালিপনা ও অসাংগঠনিক কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে কমিটির সদস্য পদ থেকে চলমান মাসের ৬ জুলাই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন শাহ আলম মিঞা, মোঃ আহসান কবির নান্না হ্ওালাদার, মোঃ রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ, গোলাম মাহমুদ মাহাবুব মাষ্টার, মোঃ আব্দুস সালাম ও ডেইজি বেগম। পদত্যাগের বিষয়টি তারা অনুলিপি আকারে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিসহ জেলা বিভাগের একাধিক নেতার বরাবর প্রেরণ করেছেন। বরিশাল জেলা (দক্ষিণ) বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য পদ থেকে সিঙ্গাপুরে বসে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য এস সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু। বুধবার (৬ জুলাই) দুপুর ১টার সময় বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে তিনি মুঠোফোনে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন। এ সময় উপজেলা ও পৌর বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এস সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু ভিডিও কনফারেন্সে বলেন, বরিশাল জেলা (দঃ) বিএনপির আহবায়ক কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই আহবায়ক মুজিবুর রহমান নান্টু ও সদস্য সচিব আকতার হোসেন মেবুল উজিরপুর-বানারীপাড়া তথা বরিশাল-২ আসনের বিএনপির বর্তমান নেতৃত্বকে বাদ দিয়ে কিছু আওয়ামী ঘরানার লোক সামনে আনার পাঁয়তারা করছেন। স্বেচ্ছায় তিনসহ ৬ জন একযোগে পদত্যাগ করেছেন বলে মুঠোফোনে সত্যতা স্বীকার করেছেন  মোঃ রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ। 

গত বছর মজিবর রহমান সরোয়ারকে বাদ দিয়ে বরিশাল মহানগর বিএনপির নয়া আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র।  ঘোষিত ওই কমিটির মাধ্যমে বরিশাল বিএনপিতে সাবেক এমপি, মেয়র ও হুইপ মজিবর রহমান সরোয়ারের প্রায় ৩০ বছরের একক আধিপত্যের অবসান হয়েছে। যদিও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব পদে রয়েছেন তিনি। কিন্তু তারপরও চেষ্টা করেছিলেন যুগ্ম মহাসচিবের পাশাপাশি বরিশাল মহানগরের সভাপতি পদটিও ধরে রাখার। কিন্তু এতে ব্যর্থ হন তিনি। সরোয়ার কমিটি থেকে বাদ পরায় তাঁর নতুন প্রেসক্রিপশন ও কূট-কৌশলে বরিশাল জেলা দক্ষিণ বিএনপির বিতর্কিত সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম শাহিন, আহবায়ক এ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান নান্টু ও সদস্য সচিব আকতার হোসেন মেহবুলের নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডের কারণে সাংগঠনিক কর্মকান্ড স্থবির হয়ে পরেছে । সরোয়ার ছাড়া বিএনপি অচল, এমনটাই প্রমাণ করতে চায় এ কমিটির অধিকাংশ নেতা কর্মীরা। কিমিটর কার্যক্রমকে পরিকল্পিতভাবে নিস্কৃয় রেখে  সফলতার কোন কার্যক্রম না আসে তা বোঝাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সরোয়ার পন্থি বিএনপি সমর্থকরা। বিশ্বস্ত এক সূত্র জানায়, বর্তমান কমিটির আহবায়ক মুজিবুর রহমান নান্টুকে বরিশাল জেলা দক্ষিণের সভাপতি করার লক্ষ্যে দলের ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা উপেক্ষা করে গোপনে সরোয়ারের সাথে হাত মিলিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন। দলটির নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, আসন্ন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিলকিস জাহান শিরিন মেয়র প্রার্থী হবেন আর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হবেন সরোয়ার। এক্ষেত্রে কেউ কারো প্রতিপক্ষ নয়। সরোয়ার প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে জেলা বিএনপি তার পক্ষে থাকা জরুরী। দুই পদের অনুকূলে তারা একে অপরের পরিপূরক হয়ে কার্যক্রম সম্পন্ন করবে। 

বিএনপির দুর্গ হিসেবে খ্যাত বরিশালে বিএনপির ত্যাগী, নির্যাতিত ও পরীক্ষিত কর্মীবান্ধব নেতা আলহাজ্ব এবায়েদুল হক চাঁনকে সভাপতি ও শাহীনকে সাধারণ সম্পাদক করে ২০১৪ সালে বরিশাল জেলা দক্ষিণ বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এই কমিটি ২০২১ সাল পর্যন্ত বলবৎ থাকলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে না পারে, সে জন্য শাহীনকে কব্জ করে নেয় সরোয়ার। যার কারণে এবায়েদুল হক চাঁনের একার পক্ষে কোনভাবেই কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। আলোচনায় উঠে এসেছে, কেন্দ্রীয় নেতারা বরিশালে বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের কোনো সভা সমাবেশ করতে পারতেন না শাহীনের প্রতিবন্ধকতার কারণে। এর নেপথ্যে রয়েছে হীন রাজনীতি। দলের এই ভঙ্গুর দশা থেকে উত্তরণে ও দলকে ঢেলে সাজাতে পদক্ষেপ নেয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সরোয়ারকে মাইনাস করে বরিশাল মহানগর ও জেলা দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করেন দলের হাইকমান্ড। মৌন মাইন্ডে হাইকমান্ডের উপর চরমভাবে ক্ষুব্ধ হয় সরোয়ার। কিন্তু সরোয়ারের রোষাণলে পরে দীর্ঘদিন ঘর বন্ধি থাকা নেতাকর্মীরা তারেক রহমানের দেয়া নতুন আহবায়ক কমিটিকে সাধুবাদ জানিয়ে স্বতস্ফুর্তভাবে রাজপথে নেমে যায়। একক আধিপত্য হাত ছাড়া হওয়ায় কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারেনি সরোয়ার। যার ফলশ্রুতিতে বরিশাল জেলা দক্ষিণ ও মহানগর বিএনপির নতুন আহবায়ক কমিটি কার্যক্রম বাঁধাগ্রস্ত করতে সরোয়ার শুরু করেন নানা কূট-কৌশলের অপতৎপরতা। কৌশলে কেন্দ্রীয় বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সংগঠনিক সম্পাদক শিরিনের সাথে আতাঁত করেন সরোয়ার। 

সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে সরোয়ারের অনুসারী বিতর্কিত বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাদক ব্যবসায়ী কথিত সর্বহারা নেতা অহিদুল ইসলাম প্রিন্সসহ সকল নেতাকর্মীরা এখন নতুন করে তরি ভিড়িয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিনের দরবারে। এমনকি শিরিনের দ্বারস্থ হচ্ছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার নিজেও। শিরিন ও সরোয়ারসহ অন্যান্য নেতাদের মধ্যস্ততাকারী হিসেবে ভুমিকা পালন করছেন ছাত্রদলের নেতা শিরিনের সহচর মাসুম।বরিশাল মহানগর বিএনপির কমিটি শক্তিশালী হওয়ায় সেখানে পাত্তা না পেয়ে সরোয়ার ও শিরিনের প্রেসক্রিপশনে আহ্বায়ক মজিবর রহমান নান্টু, সদস্য সচিব আকতার হোসেন মেহবুল ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য আবুল কালাম কালাম শাহীন দলের তৃণমুলের মতাতমতকে উপেক্ষা করে নিজেদের মনগড়া সিদ্ধান্ত দিয়ে উপজেলা ও পৌরসভার কমিটি ভেঙে দিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে গ্রুপিং সৃষ্টি করে দলকে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল করে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। গত ৪ জুলাই বানারীপাড়া গিয়ে বর্তমান কমিটির সাথে সুবিধাবাদী লোক দিয়ে গ্রুপিংয়ের চেষ্টা টের পেয়ে সেখান থেকে স্থানীয় নেতাকর্মীরা তাদের প্রত্যাখ্যান করে বিতারিত করলে রাগে ক্ষোভে সেখানকার পৌর বিএনপির কমিটি ভেঙে দেয়া হয়। বানারীপাড়া পৌর বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা জানান, আহবায়ক কমিটি গঠন না করে বানারীপাড়া পৌর বিএনপির কমিটি ভেঙে দিয়ে প্রমাণ করেছেন সম্পুর্ণ উদ্দেশ্যমূলকভাবে কমিটি ভেঙে দিয়েছেন।  বাকেরগঞ্জ পৌর বিএনপি কমিটির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে সেই কমিটি ভেঙে না দিয়ে আকষ্মিকভাবে বানারীপাড়া পৌর কমিটি ভেঙে দিয়েছে। তারা বলেন, আটটি সাংগঠনিক সাব কমিটি গঠন করা হলেও তাদের তোয়াক্কা না করে আহবায়ক নান্টু, সদস্য সচিব মেহবুল ও আবুল কালাম শাহীন নিজেরাই সকল সিদ্ধান্ত দিয়ে আসছে। তারা আরও বলেন, সব কমিটি একত্রে আহবায়ক কমিটি গঠন করে দিবে। তা না করে স্থানীয় শীর্ষ নেতাদের যারা আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী তাদের কাছে থেকে মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা নেয়ার জন্যই এভাবে সংগঠন পরিপন্থি কাজ করছেন বলে অভিযোগ করে আসছেন ওই এলাকার নেতা কর্মীরা।

দলীয় একাধিক সুত্র জানায়, পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী কাউন্সিলে শাহীন সভাপতি ও মেহবুল সম্পাদক পদে প্রার্থী করে যে কোনো মূল্যে বিজয়ী করার সর্বাত্বক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে সরোয়ার তাদের মাঠে নামিয়ে বিতর্কিত সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহীনকে লেলিয়ে দিয়ে সদস্য সচিব আকতার হোসেন মেহবুলের সাথে জোট করেন। অপরদিকে মুজিবুর রহমান নান্টুকে সভাপতি করার লক্ষ্যে জেলার অধীন সকল উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি যাতে নান্টুর পক্ষ্যে থাকে সেলক্ষ্যে নেপথ্যে কলকাঠি নাড়ছেন শিরিন। 

এদিকে দলের নাম ভাঙিয়ে নেতাকর্মীদের কাছ  অভিযোগ উঠেছে আহবায়ক মজিবুর রহমান নান্টু ও সদস্য সচিব আকতার হোসেন মেহবুল এর বিরুদ্ধে। এই দুই নেতাকে আরও বিতর্কিত করতে নেপথ্যে কলকাঠী নাড়ছেন সরোয়ার অনুসারী শাহিন। এদিকে আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব হওয়ার পর পরই মেহবুলের দৈনন্দিন চলাফেরা ও গেটাপ পরিবর্তনের ছাপ রয়েছে সর্বত্র। তৃণমূল কর্মীরা জানান, ঢাকা-বরিশাল লঞ্চের ডেকের যাত্রী মেহবুল এখন বিমানে যাতায়াত করেন। আগে নিজে মোটরসাইকেল ড্রাইভিং করলেও এখন রয়েছে তার ড্রাইভার। নেতাকর্মীদের প্রশ্ন কি পরিমাণ চাঁদাবাজি করলে রাতারাতি এমন পরিবর্তন হয়? জেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ীকে সদর উপজেলা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার কাছ থেকে উপঢৌকন নেয়া আইফোন হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়ান তিনি। নেতাকর্মীরা আরও বলেন, এক সময়ে আকতার হোসেন মেহবুল একটি ভাঙ্গা ফোন দেখিয়ে বলতেন আমাকে একটা নতুন ফোন কিনে দেয়ার ব্যবস্থা করা যায় ? কমিটি ঘোষণার কিছুদিন যেতে না যেতেই সেই ভাঙ্গা ফোনের বদলে নতুন আই ফোন চলে আসে মেহবুলের হাতে। শুধু ফোন নিয়েই তৃপ্ত নন মেহবুল। মেহবুলের ঢাকা-বরিশাল বিমানের টিকিটসহ যাতায়াত খরচও বহন করতে হয় এক ব্যাবসায়ী নেতাকে। এমনকি বরিশাল জেলা দক্ষিন বিএনপির যতো সাংগঠনিক প্রোগ্রাম সম্পন্ন করার সিংহভাগ খরচই বহন করতে হয় তাকে। এভাবে কিছু সংখ্যক নেতাকে পদ পদবী দেয়ার আশ্বাস দিয়ে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন মুজিবুর রহমান নান্টু ও আকতার হোসেন মেহবুল। কিন্তু ভুক্তোভোগীরা ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। বাকেরগঞ্জের মনির নামে এক বিএনপি নেতা বলেন, প্রতিটি প্রোগ্রামে চাঁদা কালেকশনের ৫০ হাজার টাকা তিনি একাই তুলে দেন আহবায় নান্টু ও সদস্য সচিব মেহবুলের হাতে। আহবায়ক নান্টু ও সদস্য সচিব মেহবুল তাকে এই টাকা উত্তোলনের দায়িত্ব দেন বলে জানান মনির।

এ বিষয়ে  বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীর পদত্যাগের বিষয়ে তাকে কেউ কিছু জানায়নি। বিষয়টি সম্পর্কে ভাল বলতে পারবে বরিশাল জেলা দক্ষিণ বিএনপির নেতৃবৃন্দ।  

কেন্দ্রীয় বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন  জানান, এটা সাংগঠনিক বিষয়। সাংগঠনিকভাবেই সমাধান করা হবে। এছাড়া অন্য কোন বিষয়ে স্বাক্ষাৎকার দিতে রাজি নয়। 

বরিশাল জেলা দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক এ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান নান্টু বলেন, নেতাকর্মীদের পদত্যাগের কোন কাগজপত্র তিনি হাতে পাননি। দেশ নায়ক তারেক রহমান এবং বিএনপির গঠনতন্ত্রের আলোকে সকল কার্যক্রম চলছে। এবং দলীয়ভাবে চলতে থাকবে। এখানে কারো মনগড়া কার্যক্রম করার সুযোগ নেই। প্রতিটি প্রোগ্রামে চাঁদা কালেকশনের বিষয়টি সত্য নয়। এমন কথা এই প্রথম শুনলেন। সরোয়ার ছাড়া বিএনপি অচল, এমনটাই প্রমাণ করতে চায়  অধিকাংশ নেতা কর্মী। তা জানতে চাইলে বলেন, আসলে এটা সঠিক নয়। ২/১ সদস্য আছে তারা তাদের নিজের মত মতামত ব্যক্ত করতেছে। সঠিক হল, দেশ নায়ক তারেক রহমান এবং বিএনপির গঠনতন্ত্রের নিয়মেই চলছে সংগঠনের সকল কার্যক্রম। 

 বরিশাল জেলা দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট আকতার হোসেন মেহবুল বলেন, নেতা-কর্মীর পদত্যাগের কোন কাগজপত্র সাংগঠনিকভাবে হাতে পাইনি। লোকমুখে শুনি এবং ফেসবুকে দেখেছি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2024 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS