শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ০৬:১১ পূর্বাহ্ন

একাধিক বিয়ে ও  চাকুরী করেই অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়েছে সবুজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : সোমবার, ৪ জুলাই, ২০২২

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নগরীর আলেকান্দা রোড লাচিন ভবনের বরিশাল কর অঞ্চল অফিসের  অফিস সহকারী মোঃ আবুল বাসার সবুজ  একাধিক বিয়ে করে কৌশলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রীদের তালাক দিয়ে ভাগিয়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ সব অপকর্মের বর্ণনা তুলে ধরে বরিশালের একাধিক সাংবাদিক সংগঠন ও পত্রিকার অফিস বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন নগরীর বটতলা এলাকার বাসিন্দা মোঃ ছাব্বির রহমান।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বাবুগঞ্জ উপজেলার দোয়ারিকা গ্রামের মৃত করিম মোল্লার ছেলে আবুল বাসার সবুজ। বর্তমানে তিনি নগরীর ২৯ নং ওয়ার্ড কাশিপুর আনসার ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় বসবাস করছেন। পূর্বে আবুল বাসার সবুজ এর পিতা করিম মোল্লা আয় কর অফিসে নাইট গার্ড পদে চাকুরী করতেন। অফিসের দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় তিনি মারা যায়। পরে অফিস কর্মকর্তাদের মানবিক কারণে পিতার চাকুরীর অনুকূলে  সবুজ ওই অফিসে চাকুরী পায়। সেখানে বসেই মোসা: মাহামুদা আক্তার (মনি) কে নিয়ে ফুর্তি করতে গিয়ে স্থানীয়দের রোষানলে পরে সবুজ। নানান ঘটনার অনুকূলে সবুজকে নিয়ে একাধিকবার শালিস-মীমাংসা হয়েছে। পরে মনিকে গত ২৮/০৫/২০০৮ইং তারিখে বিয়ে করতে বাধ্য হয় মোঃ আবুল বাসার সবুজ । যার নং ৯৯/২০০৮।  নগরীর ১০ নং ওয়ার্ড কাজী অফিসে সবুজ ও মনির বিয়ে হয়। তারা নগরীর জর্ডন রোডে ভাড়ার বাসায় সংসার শুরু করে। পরে কৌশলে সবুজ তালাক দেয় মনিকে।

উপরোক্ত বিয়ের ঘটনা গোপন রেখে হিমু নামের এক যুবতীকে বিয়ে করে। বর্তমানে তাদের সংসারে ২টি মেয়ে রয়েছে। নগরীর চাঁদমারী এলাকায় একটি ভাড়ার বাসা নেয়।  এ এলাকায়ও এক নারীর সাথে সবুজ পরকিয়া প্রেমের ফুর্তি করার সময় স্থানীয়দের হাতেনাতে ধরা পরে। উত্তেজিত এলাকাবাসির চাপে সবুজ  চাঁদমারীর ভাড়ার বাসা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। পরে নগরীর পেষ্কার বাড়ি এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নেয়। এবং যৌথ পরিবার নিয়ে বসবাস শুরু করে। এখানে বসেও নগরীর বটতলা এলাকার এক বিধবা নারী সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলেও তা ভেঙ্গে যায়। স্ত্রী ও সন্তান থাকার পরও  স্ত্রী নেই সবুজ এ তথ্য দিয়ে  নগরীর ২৯ নং ওয়ার্ড কাজী অফিসে আরও একটি  বিয়ে করেন। নগরীর কালিবাড়ী রোডের বাসিন্দা বদিউজমান এর মেয়ে মোসা: সেলিনা ওরফে মিলন কে গত ২৪/০৯/২০১৮ইং তারিখে  বিয়ে করেন সবুজ। যার নং ৪৩/২০১৮। বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি মিলনের পরিবার। কারণ মিলনের ছোট জামাইয়ের বয়সী হল সবুজ। হৈ-হুল্লার একপর্যায় পারিবারিক চাপে নাম মাত্র তাদের দু’জনের তালাক হলেও  এখন সম্পর্ক চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে। মিলনের ছোট ভাই বিদেশ থাকার অনুকূলে একাধিক যুবকদের দেশের বাহিরে পাঠাতে পারবে বলে তাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলে। এমকি কৌশলে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয় মিলন। বিয়ে করে টাকা হাতিয়ে নেয়ারও অভিযোগ উঠেছে। মিলনের এ সব কাজের সহযোগিতা করে যাচ্ছে আবুল বাসার সবুজ। চাকুরীর পাশাপাশি একাধিক বিয়ে করার পরই সবুজ গ্রামের বাড়িতে নির্মাণ করেছে দৃষ্টি নজর করা ২য় তলা ভবন, নগরীর কাশিপুর আনসার ক্যাম্প এলাকায় ৫ তলা ভবন, আমানতগঞ্জ এলাকায় ক্রয় করেছে জমি। এছাড়া নামে বে-নামে রয়েছে সম্পত্তি। সকলকে ভাই-বোনের সম্পত্তি বলে জানান দেয় সবুজ।

এ বিষয়ে আবুল বাসার সবুজ জানান, বিয়ের বিষয়গুলো সত্য। যা আমার আত্মীয়-স্বজনরাও জানেন। সম্পদের বিষয়ের বলেন তার দু’ভাই সিঙ্গাপুর ও দুবাই দেশে আছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS