শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বন্যার পানিতে নিখোঁজের ১৩ ঘণ্টা পর দুই জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (১৮ জুন) সকাল ৬টায় পৃথক স্থান থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।
মৃতরা হলেন- উপজেলার সদর ইউনিয়নের বৈরাগীপাড়া গ্রামের মৃত নফজ উদ্দিনের ছেলে কৃষক আশরাফ আলী (৬০) ও ধানশাইল ইউনিয়নের বাগেরভিটা গ্রামের শেখ কাদের আলীর ছেলে রাজমিস্ত্রি আবুল কালাম (৩৩)।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রকিব বাদশা জানান, শুক্রবার বিকাল পাঁচটার দিকে বৈরাগীপাড়া গ্রামের কৃষক আশরাফ আলী অসাবধানতায় বন্যার পানিতে পড়ে ভেসে যান। পরে আজ সকাল ১০টার দিকে ওই এলাকার শেষপ্রান্তে পানিতে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
অপরদিকে, ধানশাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম জানান, বিকাল সাড়ে ৫টায় বাগেরভিটা গ্রামের রাজমিস্ত্রি আবুল কালাম হাঁস ধরতে গিয়ে বন্যার পানিতে ভেসে যান। আজ সকাল ৬টার দিকে বাগেরভিটা এলাকার বিল থেকে লাশ উদ্ধার করেন স্বজনরা।
এর আগে শুক্রবার খবর পেয়ে নিখোঁজদের উদ্ধারে বিকাল থেকেই অভিযান চালান ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয়রা। তবে রাত ৮টা পর্যন্ত তাদের না পাওয়ায় উদ্ধারকাজ স্থগিত করা হয়।
ঝিনাইগাতী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক জানান, দুই জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এদিকে ভারী বর্ষণ ও ভারতের পাহাড়ি ঢলের পানিতে দ্বিতীয় দফায় শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশী ও সোমেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাবন দেখা দিয়েছে। ভারতের মেঘালয়ের বিভিন্ন পাহাড়ি নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার সীমান্তবর্তী জেলায় এ বন্যা দেখা দিয়েছে। মহারশী এবং সোমেশ্বরী নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply