নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী)-এর সভাপতি স্বপন কুমার সাহা মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর রাজনৈতিক জীবন ও আদর্শ নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন।
তিনি বলেন, ১৯৪৯ সালের ২৩শে জুন আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন মওলানা ভাসানী। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয় অর্জিত হয়। সেই নির্বাচনের পর শহীদ হোসেন সোহরাওয়ার্দী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। সোহরাওয়ার্দী এক অনুষ্ঠানে তার বক্তব্যে বলেছিলেন যে, পূর্ব পাকিস্তানে ৯৮ ভাগ স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেন মওলানা ভাসানী। যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের একুশ দফা দাবির মধ্যে অন্যতম দাবি ছিল স্বায়ত্তশাসন।
স্বপন কুমার সাহা আরও বলেন, ১৯৫৭ সালের ৮, ৯ ও ১০ ফেব্রুয়ারি তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত কাগমারী সম্মেলনে মওলানা ভাসানী আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করবেন বলে একটি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তিনি মনে করেন, হোসেন সোহরাওয়ার্দী গংরা সব সময় ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করেছেন। সেই কারণেই মওলানা ভাসানী ১৯৫৭ সালের ২৫শে জুলাই আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করেন এবং ২৬ জুলাই ঢাকার রূপমহল সিনেমা হলে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি গঠন করেন।
স্বপন কুমার সাহা দৃঢ়ভাবে বলেন, মওলানা ভাসানী সকল সময়ে কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের নেতা ছিলেন। তিনি গণতন্ত্রের শতাব্দীর মহানায়ক।
ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী) এর উদ্যোগে শনিবার সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ১৯৫৭ সালের ২৬ জুলাই ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি প্রতিষ্ঠিত উপলক্ষে স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী) এর যুগ্ম সম্পাদক মুনসুর রহমান শেখ এর সভাপতিত্বে প্রধান আলোচকছিলেন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী) সিনিয়র সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সোনার বাংলা পর্টির সভাপতি সৈয়দ হারুন অর রশীদ। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ ৭১ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আমিনুল হক ভূঁইয়া আল্ ওসমানী, নৃত্য পরিচালক শেখ বাদশাউদ্দিন মিন্টু, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী) সদস্য তোফাজ্জল হোসেন ভানু। সঞ্চালনা করেন নারী নেত্রী এলিজা রহমান প্রমুখ।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply