বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের বীরগঞ্জের মুরারীপুর দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি ইউএনও ফজলে এলাহী এবং সুপার নুর আহম্মদ যোগসাজশে বিধি লংঘন করে নিয়ম বহির্ভূত অবৈধভাবে মোটা অংকের আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে ৩ টি পদে নিয়োগের প্রতিবাদে ১১ জনকে আসামী করে আদালতে মামলা করেছেন বঞ্চিত প্রার্থী।
মুরারীপুর দাখিল মাদ্রাসার সহ-সুপার, আয়া ও নিরাপত্তা প্রহরী সহ ৩ পদে ৫০ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহন করার গুরুতর অপরাধে নিয়োগ বঞ্চিত প্রার্থী উপজেলার শিবরামপুর ইউনিয়নের দেউলী গ্রামের জয়নাল আবেদীনের পুত্র শরীফ আহম্মদ বাদী হয়ে জেলা দিনাজপুরের বীরগঞ্জ জেলা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে গত ২৯ জানুয়ারী মামলা দায়ের করেন। যার নং- ৮/২০২৫ অন্য।
বাদী শরীফ আহম্মদ ১৯ ফেব্রুয়ারী বুধবার সন্ধ্যায় বীরগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মাদ্রাসার সভাপতি ইউএনও এবং সুপার যোগসাজশে টাকার বিনিময়ে আওয়ামীলীগ এর পরিবারের সদস্যদের প্রতিষ্ঠিত করতে ব্যাস্ত। ঘুসের বিনিময়ে সদ্য নিয়োগকৃত সহ-সুপার গোলাম রসুল শাহীর পিতা শামসুল হক জিহাদী অরফে রকেট মৌলভী শিবরামপুর ইউনিয়ন অলেমালীগের সভাপতি, আয়া পদের নিয়োগকৃত পারভিন সুপার নুর আহম্মদ এর নাতী রিদয় মিয়ার স্ত্রী ও নিরাপত্তা প্রহরী খায়রুল ইসলাম আওয়ামীলীগ পরিবারের সদস্য। আদালতে মামলা করার কারনে তাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, সভাপতি ও বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফজলে এলাহী, তৎসঙ্গে মাদ্রাসা সুপার নুর আহম্মদ ক্ষমতার অপব্যবহার, নীতিমালা অমান্য, বিধিবহির্ভূত, অবৈধভাবে নিয়োগ প্রদানকৃত ৩ জনকে বাতিল এবং সংশ্লিষ্ট ঘুষখোর অপরাধীগনের শাস্তি নিশ্চিত করে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে পুনঃ নিয়োগের জন্য এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। অবৈধ মোটা অংকের ঘুষের দরুন মিথ্যা, বানোয়াট, ভুয়া, কর্তৃত্ববহির্ভুত বানোয়াট, অকার্যকর নিয়োগ বাতিলে চেয়ে অভিযুক্ত সভাপতি ইউএনও বীরগঞ্জ, মাদ্রাসা সুপার, অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্ত ৩ জন সহ সংশ্লিষ্ট ১১ জনের বিরুদ্ধে ঐ মামলা করা হয়েছে।
মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য খাইরুল ইসলাম জানায়, নিয়োগের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছিলো তবে নিয়োগের দিন তাকে জানানো হয়নি। কিন্তু শিবরামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও মুরারীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈমুদ্দিন মাষ্টার তাকে জানায় আয়া পদের নিয়োগকৃত পারভিন এর দাদা শশুর আব্দুল ওহাব তার মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা সুপারকে দিয়েছে।
মামলার বাদীর নিয়োজিত বিজ্ঞ এ্যাডভোকেট হযরত আলী বেলাল জানান, মাদ্রাসা বোর্ড গত ৬ জানুয়ারি মোতাবেক সকল দাখিল মাদ্রাসা সমুহের কমিটি বিলুপ্ত করে এডহক কমিটি গঠন ও আগামী ৬ মাসের মধ্যে নতুন পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি ইউএনও ফজলে এলাহী এবং মাদ্রাসা সুপার নুর আহম্মদ জারিকৃত আদেশ অমান্য করে অন্যায় ও অসৎ উদ্দেশ্যে তড়িঘড়ি ঐ ৩ পদে ২৫ জানুয়ারি তারিখে নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ এবং অবৈধভাবে নিয়োগ প্রদান করেন।
বিজ্ঞ আদালত মামলা আমলে নিয়ে বিবাদীগনকে ইতোমধ্যে সমন ইস্যু করেছেন মর্ম স্বীকার করেছেন সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত সহকারি সুপার গোলাম রসুল শাহী, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জুলফিকার আলী শাহ এবং সংশ্লিষ্টরা।
এ ব্যাপারে সরজমিন গিয়ে অভিযুক্ত মাদ্রাসা সুপার নুর আহম্মদ কে পাওয়া যায়নি। অনেকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেন নাই।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply