বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ০২:১২ অপরাহ্ন

অবশেষে গাজায় যুদ্ধবিরতি, রোববার থেকে কার্যকর

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২৫

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ১৫ মাসের যুদ্ধ এবং শত সহস্র প্রাণ ঝরে যাওয়ার পর অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি ঐতিহাসিক চুক্তি হয়েছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) কাতারের রাজধানী দোহায় দু’পক্ষের প্রতিনিধিরা এ চুক্তিতে সই করেন।

চুক্তির মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ছিল কাতার ও যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিনিধি সরাসরি উপস্থিত থেকে দুই পক্ষকে চুক্তির দিকে এগিয়ে নিয়েছেন। এর মাধ্যমে ১৫ মাস ধরে চলা সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাণঘাতী লড়াইয়ের অবসান হতে যাচ্ছে।

চুক্তি হওয়ার পরপরই সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে জিম্মি মুক্তিতে একটি চুক্তি হয়েছে। তারা শিগগিরই মুক্তি পাবে।

কয়েক মাস ধরে একটি যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনা চলছিল। বারবার চূড়ান্ত পর্যায়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত চুক্তি করা যাচ্ছিল না। গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা ও ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের অঙ্গীকার করেন। নির্বাচিত হওয়ার পর সে অনুযায়ী তিনি দূত পাঠিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে চুক্তির চেষ্টা চালিয়ে যান। এ প্রেক্ষাপটে দুই পক্ষ চুক্তিতে পৌঁছাল।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে হামাস। জিম্মি করে ইসরায়েলের ২৫০ বাসিন্দাকে। এর জেরে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এতে ৪৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হন। আহত হয়েছেন এক লাখেরও বেশি। হতাহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। গাজায় ২৩ লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় সবাই বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েন। ৮০ শতাংশ বাড়িঘর স্থাপনা ধ্বংস করা হয়। হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স, স্কুল, আশ্রয়কেন্দ্র– সব জায়গায় বেপরোয়া হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যা করে ইসরায়েল।
শুরুর দিকে যুদ্ধবিরতিতে শতাধিক জিম্মিকে মুক্তি দেয় ইসরায়েল। তবে শেষ পর্যন্ত ৯৪ জন জিম্মি হামাসের হাতে ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩৪ জন মারা গেছেন বলেই ধরে নেওয়া হয়। চুক্তির ফলে তাদের মুক্তি দেওয়া হবে।

বিবিসির রুশদি আব্দুল রউফ বলেন, এ চুক্তির কারণে লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি তাদের তাদের নিজ গ্রাম, শহর ও বাড়িতে ফিরে যেতে পারবেন। এ চুক্তির অধিনে ৬০০ ট্রাক ত্রাণ গাজায় সরবরাহের অনুমোদন রয়েছে। এগুলোতে চিকিৎসা সামগ্রিও যাবে। এছাড়া জ্বালানিবাহী ৫০টি লরিও গাজায় পাঠানো হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS