রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:২২ অপরাহ্ন

সন্তানের বিরুদ্ধে মায়ের বিআরইউতে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২২
  • ৩০ Time View

বরিশাল প্রতিনিধি: বিধবা বৃদ্ধা মায়ের ভরণ পোষণ ও বয়স্কভাতার টাকা ঠিকমত না দেয়াসহ ছোট ২ সন্তানের সম্পত্তি আত্মাসাতের অভিযোগ এনে বড় ও মেজো ছেলের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে নগরীর মড়ক খোলার পুল সংলগ্ন এলাকার মৃত. শাজাহান ডাকুয়া স্ত্রী মোসাঃ আয়শা বেগম (৬২)।

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১ টায় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ জননী সাহান আরা বেগম স্মৃতি মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন হয়। আয়শা বেগমের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার ছোট ছেলে হাছান ডাকুয়া। 
লিখিত বর্ণনায় উল্লেখ থাকে, তার ৪ ছেলে ১ মেয়ে। বর্তমানে তিনি তার ছোট ছেলে অটো চালক হাছান ডাকুয়ার সংসারে থাকেন। সেজো ছেলে ও একমাত্র মেয়ে তার খোঁজ খবর নিলেও বড় ও মেজো ছেলে কোন খোঁজ খবর নেয় না।


বড় ছেলে মোঃ মোশারেফ ডাকুয়া এবং মেজো ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন ডাকুয়া। এ দু’জন মিলে তারা তাদের ভাই-বোন মো. হাছান ডাকুয়া, রাবেয়া বেগম ও মো. মোজাম্মেল হোসেন ডাকুয়ার নগদ অর্থসহ অর্ধ কোটি টাকার বেশি (পৈতিক) সম্পতি কূটকৌশলে হাতিয়ে নিয়েছে। সর্বশেষ আয়শা বেগমের স্বামী ও তার ৩ বোন অর্থাৎ আয়শার ৩ ননদসহ ৪ ছেলে মিলিত হয়ে স্ট্যাম্প চুক্তিতে পারিবারিক মিমাংশায় বসে।

চুক্তি অনুযায়ী মোশারেফ ও আনোয়ার মিলে ৮ লাখ টাকা মোজাম্মেল ও হাছান কে দিবে। এবং তাদের পিতা শাজাহান ডাকুয়াকে ৩ লাখ দিবে পুত্র মোশারেফ ও আনোয়ার। কিন্ত সেই চুক্তির ওয়াদা রাখেনি মোশারেফ ও আনোয়ার। ২ ভাইকে সম্পতি বুঝিয়ে না দেয়ায় বড় ভাই মোশারেফ ও মেঝো ভাই আনোয়ারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেয় ছোট ভাই হাছান ডাকুয়া।

এরপরই আনোয়ারের স্ত্রী শিউলি বেগম বাদী হয়ে হাছানের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। বিচারক দু’পক্ষের কথা শুনে মামলাটি খারিজ করে দেয়। এরপর মোশারেফ ক্ষিপ্ত হয়ে হাছানের বিরুদ্ধে আদালতে ২টি মামলা দায়ের করে।
মোশারেফ ডাকুয়া কাশিপুর ইউনিয়নের মধ্য শারশী গ্রামের বাড়ির বাগানের গাছ বিক্রি করে প্রায় ৫ লাখ টাকা নিয়েছে। জমি বিক্রি করে প্রায় ১০ লাখ টাকা, নতুন বাজার এলাকায় ৩টি স্টলে ১২ বছর, ৬ বছর ও ৪ বছরে ভাড়া বাবদ প্রায় ২০ লাখ টাকা, ডিপিএস বাবদ ২ লাখ টাকা, সমিতির ২০ হাজার, মোজাম্মেল হোসেন ডাকুয়া ১১ বছর বাহরাই দেশে থাকা অবস্থায় তার বড় ভাই মোশারেফ ডাকুয়ার কাছে নানা ভাবে পাঠিয়েছে ১৮ লাখ টাকা।

কারণ, মোশারেফ কাউনিয়া এলাকায় একটি ফ্লাট দেয়ার কথা ছিল মোজাম্মেলকে। কিন্ত উপরোক্ত সবকিছু মোশারেফ তার ভাই বোনদের ঠকিয়ে নিজে আত্মসাৎ করেছে। এর সাথে হাত মিলিয়েছে ২য় সন্তান মো. আনোয়ার হোসেন ডাকুয়া। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে বড় ও মেজো ছেলে মিলে আমাকে (আয়শা বেগম) একাধিকবার বেদম মারধর করেছে।

তার স্বামী জীবিত থাকা অবস্থায়ও বড় ছেলে প্রতারণা পূর্বক জাল দলিল  তৈরী করে ১১ শতাংশ জমি নেয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্ত ছোট ২ ছেলের কারণে পারেনি। বড় ও মেজো ছেলের সম্পতির আয়ের উৎস কি ? তা জানতে চাইলেই সব রহস্য বেড়িয়ে আসবে। সন্তানদের মধ্যে বড় ছেলেই ছিল শিক্ষিত। আর সেই এমন করল। আমি এর সমাধান চাই। নয়তো মা হয়ে আমি নিজেই অপরাধী ২ সন্তানের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিব। 

 
অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে মোশারফের কাছে জানতে চাইলে, তিনি উল্টো অভিযোগ করে বলেন বাবাকে ফেলে রেখে মা তাবলিকে চলে গিয়েছিল। সেই থেকে দূরত্ব। তবে মা তার সাথে থাকতে চাইলে তিনি রাখবেন। অনিয়ম দুর্নীতির বিষয় প্রশ্ন তুললে মোশারেফ সরাসরি স্বাক্ষাৎ করতে চান বলে ব্যক্ত করেন। 


আনোয়ার এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি রং নম্বর বলে নিজেকে গফুর বলে দাবী করেন। অথচ তার ছোট ভাই হাছান তার মেজো ভাইয়ের মোবাইল নম্বর বলে দাবী করেন। উপস্থিত সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আয়শা বেগমের ভরণ পোষণ ও বয়স্কভাতার টাকা ঠিকমত না পওায়ার তথ্য বেড়িয়ে আসে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2024 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS