সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৫:৫৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
ডেবিট কার্ডে লেনদেনে সেরা ১০ জন গ্রাহককে পুরস্কৃত করল আইএফআইসি ব্যাংক ওয়ালটনের প্যাসেঞ্জার কার ব্যাটারি ‘গ্রাভিটন’ উদ্বোধন করলেন কন্ঠশিল্পী তাহসান ইউনিয়ন ব্যাংকে বিনিয়োগ আদায়ে জোর তৎপরতা ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হলেন আদিল চৌধুরী ক্যালিফোর্নিয়ায় ৩০০ কৃষি শ্রমিক পাঠাবে ওয়েদার এন্ড ক্লাইমেট চেইঞ্জ গ্রীন হাউস ইফেক্ট লিমিটেড স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক-এর ১১তম এমটিও ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত বোনাস বিওতে পাঠিয়েছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক স্ত্রীকে শেয়ার উপহার দেবেন ঢাকা ব্যাংকের উদ্যোক্তা ব্লকে ৯ কোটি টাকার লেনদেন দর বৃদ্ধির শীর্ষে দুই কোম্পানি

দুই মাসে দেনা পরিশোধ দেড় বিলিয়ন ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৪

রিজার্ভ থেকে কোনো অর্থ ব্যয় ছাড়াই দুই মাসে দেড় বিলিয়ন ডলার দেনা পরিশোধ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর ফলে পণ্য আমদানিতে অনিশ্চয়তা কাটতে শুরু করেছে। ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে সব দায় মেটানো শেষে আরো ইতিবাচক ধারায় ফিরবে দেশের অর্থনীতি। বিনিয়োগ, প্রবৃদ্ধি নিয়ে এই মুহূর্তে চিন্তা না করে, ধৈর্য্য ধরার পরামর্শ দেন তিনি।

জ্বালানি তেল, গ্যাস, কয়লাসহ যাবতীয় পেট্রোলিয়াম পণ্যের প্রায় পুরোই আমদানি করতে হয় বিভিন্ন উৎস থেকে। যার পেছনে সবশেষ অর্থবছরে ব্যয় হয় প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া, বিদ্যুৎ ও সারের ক্ষেত্রেও নির্ভরতা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। কিন্তু, গেলো বছর দুয়েক ধরে ডলার সঙ্কট শুরু হলে, সেই ব্যয় পরিশোধ করা যায়নি সময়মতো।

এই বাস্তবতায়, আদানি, কাফকোসহ, শেভরন ও বিপিসিকে সরবরাহকারী বেশকিছু বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে বকেয়া পড়ে যায় সোয়া দুই বিলিয়ন ডলারের ওপরে। তবে, গেলো দুই মাসে রিজার্ভে হাত না দিয়েই, সেই বকেয়ার দেড় বিলিয়ন পরিশোধ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাকি অংশও মাস দুয়েকের মধ্যে মিটিয়ে দেয়ার আশা গভর্নরের।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানান, ২.৫ বিলিয়নের মতো অনাদায়ী, অনিষ্পন্ন দায় ছিল সরকারের। সেটা ছিল ডলারের। সেটা আমরা কমিয়ে ৭০০ মিলিয়নে নিয়ে এসেছি। সারের জন্য প্রচুর টাকা দেয়া হয়েছে, বিদ্যুতের জন্য দেয়া হয়েছে, আদানি-শেভরনকে দেয়া হয়েছে। সবার দেনাটা কিছুটা কমিয়ে আনা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য আগামী দুই মাসের মধ্যে দেনা জিরোতে নামিয়ে আনব। তখন বাজারে লিকুইডিটা আরও বাড়বে।

এসব বকেয়া পরিশোধের পর, চাপ কমবে আর্থিক ব্যবস্থাপনায়। যা গতি বাড়াবে সার্বিক কর্মকাণ্ডে। একই সঙ্গে, প্রস্তুতি চলছে বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে আরো প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার ঋণ সংগ্রহের। কিন্তু, বর্তমানে ১০৩ বিলিয়নের বিদেশি ঋণ ও পরিশোধের ধারাবাহিক বাড়তি চাপে কিছুটা চিন্তিত গভর্নর। বলেন, অবস্থা সামাল দিতে ধৈর্য্য ধরতে হবে অন্তত এক বছর।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আরও বলেন, যদি আমি আইএমএফ থেকে ২-৩ বিলিয়ন অতিরিক্ত পাই, এর সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের আরও ২ বিলিয়ন পাই। তাহলে এই ৫ বিলিয়ন নিয়ে দুটো জিনিস করতে হবে। সরকার কিছু ব্যয় বাড়াতে পারবে, এতে করে অর্থনৈতিক কার্যক্রম কিছুটা গতিশীল পাবে। এখনই লম্প-ঝম্প করলে হবে না যে আমার বিনিয়োগ নাই। এখন বিনিয়োগ হবে না, কম হবে, এটাই বাস্তবতা। এখন বিশ্বব্যাংক বলছে আমাদের প্রবৃদ্ধি হয়ত ৪শতাংশে নেমে আসবে। হতে পারে, আমিও মনে করি ৪-৫ মধ্যে হয়ত হবে। হোক তাও সেটা একটা বছরই তো।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS