সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৩১ অপরাহ্ন

হানিফ বাংলাদেশীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সীমান্ত হত্যাও আগ্রাসন বন্ধের দাবীতে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে শুরু হওয়া লাশের মিছিল ২৫ ফেব্রুয়ারী দুপুর ২ টায় হানিফ বাংলাদেশীর নেতৃতে রাজশাহী সাহেব বাজারে আসলে পুলিশে বাধা দিয়ে প্রতিকী লাশ পেষ্টুন ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে বিকাল ৪ টায় সাহেব বাজার ভূবন মোহন পার্ক থেকে হানিফ বাংলাদেশীসহ ৩ জনকে আটক করে বোয়ালিয়া থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। জিগাসাবাদ শেষে ৬ ঘন্টা পর রাত ১০.৩০ মিনিটে ছেড়ে দেওয়া হয়।

গত ১৬ ফেব্রয়ারী কক্সবাজার টেকনাফ থেকে শুরু হওয়া লাশের মিছিল বাংলাদেশের সাথে সীমান্ত আছে এমন সব জেলা উপজেলা প্রদক্ষিণ করে যশোরের বেনাপোল উপজেলায় গিয়ে শেষ হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু রাজশাহীতে পুলিশের বাধায় কর্মসূচি বিরতি ঘোষণা করছেন হানিফ বাংলাদেশী। কয়েকদিন পরে আবার লাশের মিছিল শুরু করবেন। 

কর্মসূচী সম্পর্কে হানিফ বাংলাদেশী বলেন বাংলাদেশের প্রতিবেশি দুইটা দেশ ভারত ও মিয়ানমার সব সময় বাংলাদেশের উপর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে, ভারত সব সময় সীমান্তে নিরিহ মানুষকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করছে, কিছুদিন আগে বাংলাদেশের একজন বিজিবি  সদস্যকে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করেছে, গত ৪ মাসে ভারত সীমান্তে ২১ জন বাংলাদেশী বি এস এফ এর গুলিতে নিহত হয়েছে। বিভিন্ন মানবাধিকারের অধিকারের হিসেবে ২০১০ সাল থেকে প্রায় ১২৭৬ জন বাংলাদেশীকে বি এস এফ হত্যা করেছে, ১১৮৩ জন আহত হয়েছে।  আরেক প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমার তাদের ১২ লাখ রহিঙ্গাকে অত্যাচার করে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। গত ৫ফেব্রুয়ারী মিয়ানমারের আভ্যন্তরিন যুদ্ধে মর্টারসেলে দুজন বাংলাদেশী নাগরিক নিহত হয়েছে। সীমান্ত আগ্রসনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালেও আমি প্রতিকী লাশ কাঁধে নিয়ে ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম ফেলানীদের বাড়ী পর্যন্ত পদযাত্রা করেছি।   

হানিফ বাংলাদেশী আরো বলেন বাংলদেশের জনগন সব সময় প্রতিবেশি ও বন্ধু দেশ গুলোর সাথে ভালো সম্পর্ক রাখতে চায় কিন্তু প্রতিবেশী দেশ দুইটি বাংলাদেশের সাথে সব সময় বৈরি আচরণ করে। সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যার পরে বলা হয় এরা গরু চোর চোরাকারবারি ,হতে পারে এরা গরু চোর চোরাকারবারি এদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক গুলি করে হত্যা করবে কেন? ভারত যদি তাদের দেশের পাচারকারিদের দমন করে তাহলে বাংলাদেশের পাচারকারিরা এমনিতে বন্ধ হয়ে যাবে।   

হানিফ বাংলাদেশী আরো বলেন স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যখন যে দলই এসেছে, সে দলই দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশের মানুষের আর্ত মর্যাদা বিসর্জন দিয়ে বিদেশিদের দ্বারস্থ হয়েছে। শাসকদের এই দুর্বল নতজানুর কারনে ভারত ও মিয়ানমার সব সময়  বাংলাদেশের উপর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে, বিদেশী অন্য দেশ গুলো বাংলাদেশের অভ্যন্তরিন বিষয়ের উপর খবরদারি করার সাহস পাচ্ছে। ৩০ লক্ষ শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন দেশের মানুষ কখনও কোন দেশের আগ্রাসন দাদাগিরি মেনে নেয়নি নতুন প্রজন্ম ও কোন দেশের আগ্রাসন মেনে  নেবেনা। বাংলাদেশের মানুষ আর্ত মর্যাদা নিয়ে বিশ্বের দরবারে মাথা উচ্ছু করে বাঁচতে চায়।

হানিফ বাংলাদেশী বলেন এই কর্মসূচিতে আমারা দেশবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি। দেশের সচেতন মানুষদের এই কর্মসূচী অংশ গ্রহণ করার আহবান জানাচ্ছি। যেদিন যে জেলা উপজেলায় এই মিছিল যাবে সেখানে যেকোনো দল, সংগঠনকে আমাদের সাথে সংহতি জানানোর আহ্বান জানাচ্ছি। কর্মসূচিতে অন্য ৩ জন হলেন এনইউ আহমেদ, সৌরভ হোসেন বেলাল, মো আরিফ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS