নিজস্ব প্রতিবেদক: মহোদয়যথাবিহীত সম্মান পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী মোঃ মাসুদ আলম, পিতা-মৃত নুরুল আলম, মাতা-রোকেয়া বেগম, জাতীয় পরিচয়পত্র নং-১৫১৭৪৬৩৭১২০৪০, ঠিকানাঃ সিরাজ সুফীর বাড়ী, পূর্ব কচুখাইন, নোয়াপাড়া, রাউজান, চট্টগ্রাম এই মর্মে আবেদন করিতেছি, বিএনপি’র নামধারী ৩(তিন) জন সন্ত্রাসী যথাক্রমে ১। খোরশেদ (৪০) পিতা মৃত মজু, ঠিকানা-চাঁদমিয়া সদাগরের বাড়ী, পূর্ব কচুখাইন, নোয়াপাড়া, রাউজান, ২। আক্তার (৩৫) পিতা- সমসু, ঠিকানা- মধ্যম পাড়া, মধ্য কচুখাইন, নোয়াপাড়া, রাউজান, ৩। সেকান্দার (৩৫) পিতা-অজ্ঞাত, ঠিকানা-হাজী মীর হোসেন সদাগরের বাড়ী, নোয়াপাড়া, রাউজান।
এই ০৩ জন বিএনপি’র শীষ সন্ত্রাসীরা বিগত জাতীয় নির্বাচনে আমার দোকানে বিএনপি’র পোষ্টার লাগানোতে বাধা দেওয়ার কারণে তাদের সাথে আমার কথাকাটি হয়, তার জের ধরে সন্ত্রাসীরা ও তার দলবল নিয়ে বিভিন্ন ভাবে আমাকে লাঞ্জিত করা শুরু করে ।
আমি আমার দোকান বন্দ করে যাওযার পথে আমার পথরোধ করে সাথে থাকা প্রায় ৩২,০০০/- টাকা বাইসাইকেল ও মোবাইল নিয়ে যায়, সেই রাতেই আমার দোকানে সন্ত্রাসীরা ডাকাতি করে ফ্রিজ সহ প্রায় ২ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। তার পর থেকে সন্ত্রাসীদের অত্যাচারের গতি বারতে থাকে, যে খানে আমাকে দেখে সেই খানেই আমার সাথে থাকা টাকা ও মালামাল নিয়ে যায়। ২০২১ সাথে আমার সিএনজি আটক করে আমার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
আমি তাদের ভয়ে রাউজান থানা জিডি বা মামলা করতে পারি নাই, পরবর্তীতে চট্টগ্রাম আদালতে সাধারণ ডায়েরী করি যারান নং ৬৫/২০২৪ সালে পরবর্তীতে বিএনপি’র উচ্চ পর্যায়ের সন্ত্রাসীদের দাপটে জিডির কারণে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের বাসা বাড়ীতে জোড় পূর্বক প্রবেশ করে আমার পরিবারকে বাসা বাড়ীতে গিয়ে জোড় পূর্বক খুন করার প্রকাশ্যে হুমকী দিয়ে বেরাচ্ছে আমার ভাড়া বাসায় ঢুকে সিটি ব্যাংক, নোয়াপাড়া পথের হাট শাখাার চেক বই, আমার পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র, ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স এর সকল কাগজপত্র, সিএনজি গাড়ীর সকল কাগজপত্র, সিটি ব্যাংক এর এফডিআর, সহ সকল কাগজপত্র নিয়ে যায় এবং নগদ ৮ হাজার টাকা এবং আমার স্ত্রীকে জোড় পূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় আমার পরিবারকে জিম্মি করে (এক লক্ষ) টাকা চাঁদা দাবী করে না হলে খুন করে ঘুম করার প্রকাশ্যে হুমকী দেয়। আমি উপায়ন্ত না পেয়ে চট্টগ্রাম বিজ্ঞ আদালতে ৪৮/২০২৪ নং মামলা দায়ের করি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে।
সন্ত্রাসীদের ভয়ে এলাকার কেউ কথা বলার সাহস পায় না, সন্ত্রাসী হুমকী সকল কথা মোবাইলে রেকর্ড আছে। আমার স্ত্রীকে বাসায় থেকে উঠিয়ে নিয়ে যায়, তাদের কাছে রেখে, যদি আমি যদি মামলা দায়ের করে তাহলে আমার দুই সন্ত্রানকে মেরে ফেলার হুমকী দেয়। আমার স্ত্রী এখনও তাদের কাছে জিম্মি ও বন্ধী জীবন যাবন করছে। বিধায় নিরুপায় হয়ে আমার পরিবার ও আমার জীবন রক্ষার জন্য সবিনয় আবেদন করিতেছি।
অতএব, মহোদয় সমীপে আকুল আবেদন এই যে, চিহ্নিত বিএনপি’র সন্ত্রাসীদের হাত থেকে আমার পরিবারের ও আমার জীবন রক্ষার্থে এবং আমার সিএনজি গাড়ী-চট্টগ্রাম ৩-১২-৩৬৬৮, বাসায় ডাকাতি কৃত মালামালা উদ্ধার করতঃ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে জনাবের সদয় মর্জি হয়।
আমি আজ জীবনের শেষ প্রান্তে এসে পৌঁছে গিয়েছি। আমার মত আর কারো জীবন সংসার যাহাতে নষ্ট না হয় তাহার জন্য মৃত্যুকে হাতে নিয়ে আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানব বন্দন করছি।
জানি না এই মানব বন্দন এর পর আমার জীবন নিয়ে বেচে থাকতে পার কিনা?মুলতঃ চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার ১৩ নং নোয়াপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব কচুখাইন এর ৮নং ওয়ার্ডের ৩ (তিন) জন বিএনপি’র চিহ্নিত সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি’র পোষ্টার আমার দোকানে লাগাতে না দেওয়ার কারণে আজ বিএনপি’র চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের কাছে জিম্মি স্ত্রী সহ পরিবার, সন্ত্রাসীগন হলেন ১। খোরশেদ (৪০) পিতা মৃত মজু, ঠিকানা-চাঁদমিয়া সদাগরের বাড়ী, পূর্ব কচুখাইন, নোয়াপাড়া, রাউজান, ২। আক্তার (৩৫) পিতা- সমসু, ঠিকানা- মধ্যম পাড়া, মধ্য কচুখাইন, নোয়াপাড়া, রাউজান, ৩। সেকান্দার (৩৫) পিতা-অজ্ঞাত, ঠিকানা-হাজী মীর হোসেন সদাগরের বাড়ী, নোয়াপাড়া, রাউজান, চট্টগ্রাম।
এলাকায় গোলাগুলি, হত্যা কান্ডের মতো ঘটনা, অস্ত্র, মাদক, পতিতালয়ের ব্যবসা, জমি দখল, পুকুর দখল গরু চুরি, সি এনজি ডাকাতি, প্রকাশ্যে মানুষকে মারধর, মুক্তিপন আদায়, জাল দলিল বানিয়ে বসত ঘর দখল, হিন্দুদের শাশানকে প্লট বানিয়ে মিথ্যা দলিল সৃষ্টি করে বিক্রি করা অভিনব কায়দায় সাধারণ মানুষের সর্বস্ব লুটে নেওয়া সহ হিন্দু পরিবারের উপর অমানুসিক নির্যাতন করে বীর দাপর্টেএলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে সন্ত্রাসীরা।
খুলনার কুখ্যাত এরশাদ সিকদারের এলাকার চেয়েও ভয়াবহ।আমার অপরাধ আমি কেন তাদের বিএনপি’র পোষ্টার দোকানে লাগাতে দেইনি। যেখানে দেশের উন্নয়নের রূপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র উন্নয়নের কথা কেউ যদি তাদের সামনে বলে তাকেই সন্ত্রাসী চক্র রাতের আধারে হয় ঘুম করে ফেলে না হলে হাত-পা ভেঙ্গে রাস্তায় ফেলে রেখ যায়। তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর মত সাহস কারো নাই।
আজ আমার পরিবার যখন তাদের হাতে জিম্মি হয়ে আছে। আমার জীবনের মত আর কারো জীবন যাহাতে নষ্ট না করতে পারে তাহার জন্য আজ আমি আপনাদের সামনে দাড়ায়েছি।
(মোঃ মাসুদ আলম)
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply