সংকটের মধ্যে ডলার বিক্রি করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে নয় বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছে।
পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা না থাকায় এমনিতেই দুরবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যেও অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে ডলার বিক্রি অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আমদানি পরিস্থিতি ঠিক রাখার পাশাপাশি অন্যান্য প্রয়োজনে বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে চলতি অর্থবছরের ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৯ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবমতে, দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ২৫ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার। যদিও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী, দেশে গ্রস রিজার্ভ এখন ১৯ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার। আর রিজার্ভ থেকে ব্যয়যোগ্য অর্থের পরিমাণ ১৫ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার, যা দিয়ে তিন মাসের আমদানি দায় পরিশোধ সম্ভব।
একই সময়ে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ইসলামী ব্যাংক থেকে ২০০ মিলিয়ন ডলার এবং অন্যান্য ব্যাংক থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এদিকে চলতি বছরের জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স ততটা না এলেও সেটি নতুন করে আশা জাগিয়েছে। প্রথম মাসে ২১০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। দেশীয় মুদ্রায় যা দাঁড়ায় প্রায় ২৩ হাজার ১০০ কোটি টাকা। যেখানে ডিসেম্বরের পুরো সময়ে আসে ১৯৮ কোটি ৯৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার। আর চলতি মাস ফেব্রুয়ারির প্রথম ৯ দিনে এসেছে ৬৩ কোটি ১৭ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। তবে প্রণোদনা ও বাড়তি সুবিধা যে পরিমাণ দেয়া হয়েছে, সে তুলনায় বাড়ছে না প্রবাসী আয়।
বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের আরেক পথ রফতানি খাত। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে দেশে রফতানি আয় হয়েছে ২ হাজার ৭৫৪ কোটি মার্কিন ডলার। যেখানে ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে রফতানি আয় হয়েছিল ২ হাজার ৭৩১ কোটি ১২ লাখ ডলার, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে বেড়েছে শূন্য দশমিক ৮৮ শতাংশ।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply