সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৩২ অপরাহ্ন

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও ডামি নির্বাচন বাতিলের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল ১০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, নিত্যপণ্যের দাম কমানো রেশনিং পদ্ধতি চালু, জাতীয় মজুরী ন্যূনতম ২৫ হাজার টাকা, অর্থ পাচার দুর্নীতি  লুটপাট বন্ধ, পাচারকৃত অর্থ ফেরত সিন্ডিকেট কালোবাজারি দুর্নীতিবাজ ব্যাংক লুটেরাদের গ্রেফতার ও বিচার, মিয়ানমার সীমান্তে হত্যা অনুপ্রবেশ বন্ধে কঠোর নিরাপত্তা, ড্যামি নির্বাচন বাতিল ও ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন উচ্ছেদের লক্ষ্যে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)’র সভাপতি ও ৫ দলীয় বাম জোটের সমন্বয়ক কমরেড ডা. এম এ সামাদ।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, রোজাকে সামনে রেখে পণ্যের দাম বৃদ্ধির পাঁয়তারা শুরু করেছে সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট অসাধু ব্যবসায়ীরা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও সিন্ডিকেট ভাঙা, সারাদেশে রেশনিং এবং পর্যাপ্ত ন্যায্য মূল্যের দোকান চালু রমজান মাস উপলক্ষে যেন নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করতে না পারে এজন্য ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।

নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হঠাৎ করে চালের দামের ঊর্ধ্বগতিতে খেটে খাওয়া মানুষরা দিশেহারা অবস্থায় পড়েছেন, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট বিভিন্ন সময়ে আকস্মিক ও অযৌক্তিকভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট কেটে নিয়ে যায়, তখন সরকার লোক দেখানো কিছু পদক্ষেপ নেয়। তাতে সমস্যার কোনো সমাধান হয় না। মুক্তবাজারের নামে লুটপাটের অর্থনীতি বহাল রেখে এই অবস্থার পরিবর্তন করা যাবে না। লুটপাটকারীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, নজিরবিহীন ভাবে সরকার নির্বাচনের নামে জনগণের সাথে তামাশা করেছে। ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ভোট ডাকাতির এক তরফা নির্বাচন করে অবৈধ ভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলে রেখেছে। এই সরকারের সাথে জনগণের কোন সম্পর্ক নেই। এটা অবৈধ সরকার। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সরকারের ছত্রছায়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি, লুটপাট, দুর্নীতি, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, ব্যাংক লুট ও বিদেশে অর্থ পাচার করছে। আমরা অবিলম্বে কালো টাকার মালিক, দুর্নীতিবাজ ও অর্থপাচারকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি এবং বিদেশে পাচারকৃত অর্থ অবিলম্বে ফেরত আনার দাবি জানাচ্ছি।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারণে ভারত সীমান্তে বাংলাদেশের নিরীহ মানুষকে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করছে। মিয়ানমার সীমান্তেও হত্যাকান্ড সংঘটিত হচ্ছে, অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘটছে। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার ভারতের আজ্ঞাবহ হওয়ায় কোন প্রতিবাদ করতে পারছে না। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ভারতের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। আমরা এখন স্বাধীন জাতি হিসেবে নিজেদের দাবি করতে পারছি না।

কমরেড বিধান দাস সোশ্যালিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহীন আহমেদ, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (মার্কসবাদী) সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)র কেন্দ্রীয় নেতা সামছুল হক সরকার প্রমুখ। 

সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল প্রেসক্লাব সচিবালয় এলাকা ঘুরে পল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS