সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
নির্বাচন সামনে রেখে যৌথবাহিনীর অপারেশন শুরুর ঘোষণা—ইসি সানাউল্লাহ দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার আবেদন গ্রহণের সময় বৃদ্ধি হাদি হত্যাকাণ্ড তদন্তে ফয়সালসহ সংশ্লিষ্টদের হিসাবে ১২৭ কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য সাড়ে ২৬ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স এলো প্রবাসীদের কাছ থেকে বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে হস্তক্ষেপ: ৬ কোটি ডলার কিনল বাংলাদেশ ব্যাংক ৫ মাসে শুল্ক ও কর আদায়ে ঘাটতি ২৪ হাজার ৪৭ কোটি টাকা পূর্বাচলে বিএনপির জনসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে উপজেলা তাঁতীদলের প্রস্তুতি সভা চুয়াডাঙ্গায় প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের কর্পোরেট জোন অফিসের শুভ উদ্বোধন ও উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকাকে উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে হলে, তাদের নিজস্ব ভাষায় শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে, এবং জাবারাং এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে এবারও ফ্রিজ, এসি ও টিভিতে দেশসেরা ব্র্যান্ডের গৌরব অর্জন করলো ওয়ালটন

সরকারি মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঘাটতি ৮০%

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ২৬৩ Time View

সদ্য বিদায়ী ২০২২ সালে দেশের ব্যাংক খাত ৭৩ হাজার ১৪৮ কোটি টাকার নিরাপত্তা সঞ্চিতি (প্রভিশন) রাখতে সক্ষম হয়েছে। এই বছরটিতে প্রভিশন সংরক্ষণের কথা ছিলো ৮৪ হাজার ১৫৭ কোটি টাকা। এতে ১১ হাজার ৯ কোটি টাকার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে সরকারি মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঘাটতি ৮০ শতাংশ বা ৮ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে দেশের ব্যাংক খাতে প্রভিশন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঘাটতি ৮ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ মোট প্রভিশন ঘাটতি ৮০ শতাংশই রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর। আর বাকি ২ হাজার ৭৪৬ কোটি টাকা ঘাটতি বেসরকারি ব্যাংকগুলোর।

প্রভিশন ঘাটতিতে থাকা ব্যাংক লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারে না। প্রয়োজনীয় প্রভিশন সংরক্ষণে ব্যর্থ হলে ব্যাংক মূলধন ঘাটতিতে পড়ার শঙ্কা থাকে। এর ফলে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে ব্যাংকের ওপর। একইসঙ্গে আমানতও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তথ্য অনুযায়ী, বিদায়ী ২০২২ সালের জুন প্রান্তিক শেষে ব্যাংক খাতের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিলো ১৩ লাখ ৯৮ হাজার ৫৯২ কোটি টাকা। তখন খেলাপি ঋণ ছিলো ১ লাখ ২৫ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা। আলোচিত এই সময়ের তিন মাস আগে মার্চ শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা। এরআগে ২০২১ সালের জুন প্রান্তিক শেষে খেলাপি ছিল ৯৯ হাজার ২০৫ কোটি টাকা।

এরপরে ডিসেম্বর শেষে দেশের ব্যাংক খাতের মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৭৭৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা। মোট ঋণের ৮ দশমিক ১৬ শতাংশই খেলাপি। একবছর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বর প্রান্তিকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিলো ১ লাখ ৩ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা। সেই সময়ে খেলাপির পরিমাণ ছিলো মোট ঋণের ৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর প্রান্তিক থেকে ডিসেম্বর প্রান্তিকে দেশে ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ৪১ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা। আর খেলাপি ঋণ কমেছে ১৩ হাজার ৭৩৯ কোটি টাকা। আলোচিত সময়ে প্রভিশন (নিরাপত্তা সঞ্চিতি) ঘাটতি কমেছে ২ হাজার ৫২০ কোটি টাকা। এছাড়া খেলাপি ঋণের মধ্যে মন্দ ঋণের পরিমাণ ৮৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ। টাকার অঙ্গে যার পরিমাণ ১ লাখ ৬ হাজার ৯৮২ কোটি টাকা।

এছাড়া দেশের ব্যাংক খাতের মোট খেলাপি ঋণের ৪৬ দশমিক ৭৯ শতাংশই সরকারি মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর। ব্যাংকগুলোর খেলাপির পরিমাণ ৫৬ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা, যা ওই কয়েকটি ব্যাংকের মোট ঋণের ২০ দশমিক ২৮ শতাংশ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS