শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:২৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
ইসমাইল হোসেন আল আমিন হত্যার বিচার এই মাটিতেই হবে: শেখ রবিউল আলম ‘ধর্ম সুরক্ষা আইন’ করুন : মোমিন মেহেদী রাস্তাবিহীন ৫৭ লাখ টাকার সেতু—নয় বছরেও সংযোগ সড়ক নেই, গোবর শুকানোর মাঠে পরিণত ব্রিজ কালিয়ায় ৯ম পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে মাবনবন্ধন সিলেটের রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি! নেপথ্যে যুবলীগ নেতা রাণা ও জুলহাস বাহিনী সাউথইস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন খালিদ মাহমুদ পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ১৬১৩ কোটি টাকা মানিলন্ডারিং-এর মামলা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র বিবৃতি ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা সোলায়মান হোসেনের বিরুদ্ধে মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ বাউলদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতারে সাঁড়াশি অভিযান চলছে: প্রেস সচিব শফিকুল আলম

বাজুস: বছরে ৭৩ হাজার কোটি টাকার সোনা চোরাচালানের মাধ্যমে আসে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২২
  • ৪৩১ Time View

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, বাংলাদেশে বছরে প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকার সোনা অবৈধভাবে চোরাচালানের মাধ্যমে আসছে। এছাড়া সোনা চোরাচালান ও অর্থপাচার বন্ধে একসঙ্গে কাজ করার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাজুস।

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকে সোনা চোরাচালান প্রতিরোধে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও বাজুসের যৌথ কার্যক্রম নেয়ার বিষয়ে আলোচনা সভায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এসময় বাজুসের সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর বলেন, বাজুসের কোনো সদস্য সোনা চোরাচালানে জড়িত থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সোনা চোরাচালান কমিয়ে আনতে সচেতনতা তৈরি করাই আলোচনার মূল লক্ষ্য বলেও জানানো হয়।

সভায় বলা হয়েছে, সোনা চোরাচালান জুয়েলারি শিল্পে বড় ধরনের সংকট ও চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি দুর্নীতিকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি অর্থনৈতিক সংকট বাড়াচ্ছে। বাজুসের ধারণা, প্রবাসী শ্রমিকদের রক্ত ঘামে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার অপব্যবহার করে সারাদেশের জল, স্থল ও আকাশ পথে প্রতিদিন কমপক্ষে প্রায় ২০০ কোটি টাকার অবৈধ সোনার অলংকার ও বার চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসে। যা বার্ষিক হিসাবে দাঁড়ায় প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা।

সোনা চোরাচালান প্রতিরোধে সভায় ৭টি প্রস্তাব দেয়া হয়, সেগুলো হচ্ছে-

১. সোনা চোরাচালান ‍ও অর্থপাচার প্রতিরোধ এবং চোরাকারবারিদের চিহ্নিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বাজুসের সমন্বয়ে যৌথ মনিটরিং সেল গঠন করা;

২. চোরাকারবারিরা যাতে আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে যেতে না পারেন, সেজন্য প্রয়োজনে আইন সংশোধন করে আরও কঠোর আইন প্রণয়ন করা;

৩. সোনা চোরাচালান প্রতিরোধে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেমন বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশের জোরালো অভিযান নিশ্চিত করা;

৪. চোরাচালান প্রতিরোধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সদস্যদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে উদ্ধার হওয়া সোনার মোট পরিমাণের ২৫ শতাংশ সংস্থাগুলোর সদস্যদের পুরস্কার হিসেবে দেয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে;

৫. ব্যাগেজ রুলের আওতায় সোনার বার ও অলংকার আনার সুবিধা অপব্যবহারের কারণে ডলার সংকট, চোরাচালান ও অর্থ পাচারে কী প্রভাব পড়ছে, তা নির্ণয়ে বাজুসকে যুক্ত করে যৌথ সমীক্ষা পরিচালনা করা;

৬. অবৈধ উপায়ে কোনো চোরাকারবারি যেন সোনার বার ও অলংকার দেশে আনাতে এবং বিদেশে পাচার করতে না পারে সে জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেয়া;

৭. জল, স্থল ও আকাশ পথ ব্যবহার করে অবৈধ উপায়ে কেউ যাতে সোনার বার বা অলংকার আনতে না পারে, এরজন্য কঠোর নজরদারীর ব্যবস্থা নেয়া। 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS