
মোঃ আব্দুল্লাহ হক,চুয়াডাঙ্গা: প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে জীবননগরের সিংনগর বাঁওড়ের বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় ভৈরব নদীতে হঠাৎ করে পানির স্তর অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল সোমবার বিকাল থেকে নদীর তীব্র স্রোত বইতে শুরু করে, যা আশেপাশের গ্রামগুলোতে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে। এই আকস্মিক পানি বৃদ্ধির ফলে মনোহরপুর গ্রামের ইলিশের জোল মাঠ সংলগ্ন ভৈরব নদীর উপর একটি সেতু ভেঙে পড়েছে।
পানির প্রবল স্রোতে ভেসে যাচ্ছে কৃষকদের পাট জাগ এবং নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমি তলিয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ করে নদীর এমন রূপ দেখে স্থানীয়দের মধ্যে কৌতূহল এবং একইসঙ্গে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার সন্তোষপুর ও মনোহরপুর গ্রামের পাশ দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর এমন ভয়াবহ রূপ দেখতে শত শত মানুষ ভিড় করছে নদীর পাড়ে। অনেকে স্রোতের মুখে মাছ ধরার চেষ্টা করছেন। তবে পানির তোড়ে কৃষকদের পাট এবং নিচু এলাকার ফসল ভেসে যাচ্ছে।
হঠাৎ করে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর পাড়ের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। অনেকেই নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মনোহরপুর গ্রামের বাসিন্দা এ আর ডাবলু জানান, “এ বছর অনেক বৃষ্টি হয়েছে, কিন্তু ভৈরব নদীর পানির এমন স্রোত আগে দেখা যায়নি। আজ বিকাল থেকে হঠাৎ করে নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে কৃষকদের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে এবং নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”
সন্তোষপুর গ্রামের সজিব হোসেন বলেন, “আজ দুপুরের দিকেও নদীর পানি স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু বিকাল থেকে পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গিয়ে তীব্র স্রোত সৃষ্টি হয়েছে।”
স্থানীয়দের মতে, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সিংনগর বাঁওড়ের বাঁধ ভেঙে পানি সরাসরি ভৈরব নদীতে প্রবেশ করায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত বাঁধ মেরামত করা হলে ফসলের ক্ষতি এবং প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকি কমানো সম্ভব হবে।
Leave a Reply