নিজস্ব প্রতিবেদক: ২৭ আগষ্ট ২০২৫ জাতীয় প্রেসক্লাবের ২য় তলায় বাংলাদেশ সরকার এর প্রধান উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর, সন্ত্রাস চাঁদাবাজ ও ভুমিদস্যুদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে ভুক্তভোগীরা এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, আমরা মুন্সীগঞ্জ জেলার পদ্মা নদী ভাঙ্গনে ভিটামাটি হারিয়ে যৌথভাবে বিক্রমপুর সোসাইটি নামকরণ করিয়া প্রায় ২০০ মুসলিম ও হিন্দু গরীব পরিবার মো: জুলহাস চেয়ারম্যান ও টঙ্গীবাড়ী থানা বালিগাও ইউনিয়ন ও আকতার হোসেন শহীদ রেজা থেকে রেজিষ্ট্রি পাওয়ার নেয়।
যাহা পাওয়ার নং- ২০৭৮, (১২/০৩/২০২০ জুন ২নং শাহানাজ পারভীন (স্বামী-শহীদ রেজা) থেকে আমরা রেজিষ্ট্রি পাওয়ার নিয়েছি। যাহা পাওয়ার নং- ৩৬৭২ (২১/০৪/২০২২)। আনুমানিক ৯৫০ শতাংশ জমি রেজিষ্ট্রি করে নিয়েছি এবং বাকী জমি শহীদ রেজার নামে রয়েছে । পাওয়ার নেওয়ার পর প্রায় ২০০ পরিবার ৪,৫,৬ শতাংশ করে প্লট আকারে আমরা জুলহাস চেয়ারম্যান ও আকতার হোসেন পাওয়ার নেওয়া জমি বিভিন্ন প্লট আকারে ভাগ করে নেই । তারপর আমাদের প্লটে বাউন্ডারী, দেয়াল দিয়ে যার যার নিজ জায়গায় অবস্থান করিতেছি।
এই সম্পত্তি জনাব এম. এ ওহাৰ গং বিগত ২৫/০৪/১৯৯৯ ইং তারিখে বাংলাদেশ পাট মন্ত্রনালয় থেকে টেন্ডারের মাধ্যমে ১৪৫০ শতাংশ জমি খরিদ করেন, যাহার দলিল নং-১৪১৫। ১। পরবর্তীতে শহীদ রেজা, (পিতা: এম. এ ওহাব), মো: হাসান জামিল, ইউসুফ জামিল, আশিকুল জামিল, সায়িদা বেগম হতে রেজিষ্ট্রি পাওয়ার নেই । যাহা পাওয়ার নং-৮১০৪, জমির পরিমান ৩৬২ শতাংশ । ২। শহীদ রেজা, (পিতা: এম. এ ওহাব), নুরুন নাহার বেগম, মাঈনুল হাসান, ডা: মনিরা বেগম, মুনমুন নিগার বর্ন হতে রেজিষ্ট্রি পাওয়ার নেন। পাওয়ার নং-১৮২৮, জমির পরিমান-৩৬২ শতাংশ । ৩। শহীদ রেজা, (পিতা: এম. এ ওহাব), হাসান আহমেদ হতে পাওয়ার নেন । যাহার দলিল নং- ৪০৮৮, জমির পরিমান: ৩৬৪ শতাংশ । ৪ । এম. এ ওহাব এর অংশ ৩৬২ শতাংশ। মোট চারটির পাওয়ার নেওয়া দলিলের পরিমাণ ১৪৫০ শতাংশ। এই জমি গিয়াস উদ্দিন (দলিল লেখক) সং-৭৫৩/১ উইলসন রোড, বন্দর, নারায়নগঞ্জ ।
কাগজ পত্র যাচাই-বাছাই করিয়া আমাদেরকে জমি খরিদ করিয়া দেন এবং দালালি নেন এবং সম্পূর্ণ দলিল সে নিজেই দলিল লেখক এবং সনাক্তকারী হিসেবে নারায়ণগঞ্জ সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে যার যার নামে যতটুকু জমি ততটুকু রেজিষ্ট্রি করিয়া দেন। হঠাৎ করিয়া গত ৩০/০৭/২০২৫ ইং তারিখে আনুমানিক বিকাল ৪ ঘটিকায় ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী লোক নিয়ে রাকিব হাসান নামে বায়নাপত্র সাইবোর্ড নিয়ে আসে।
আমি সাইফুল ইসলাম পিতা: জুলহাস চেয়ারম্যান আমার ম্যানেজার নিয়ে বিক্রমপুর সোসাইটিতে যাই যাওয়ার পর গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর ছেলে রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরীকে উপস্থিত পাইয়া তাকে জিজ্ঞাসা করিলে সে বলে এই আমি হাসান জামিল গং থেকে পাওয়ার নিয়েছি এবং সে পাওয়ার বলে রাকিব হাসানের নিকট বায়না করেছি। রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী পিতা: গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, আমার নিকট ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি দিতে অস্বীকার করায় এই নিয়ে তর্কবিতর্ক হয় এবং আমাকে অশ্রাব্য অশ্লীল ভাষয় গালিগালাজ করে। আমাদের বিভিন্ন প্লটে রাকিব হাসান নামে বায়নাসূত্রে মালিক সাইবোর্ডে লাগিয়া দেয়। আমাদের অফিস থেকে বের করি দিয়ে অফিসে তালা লাগিয়ে দেয়, আমাদের প্লটে বিল্ডিং নির্মাণকাজ চলছিল তা বন্ধ করে নির্মাণ শ্রমিকদের জোর করে বাহিরে করে দেয় এবং হুমকি দেয় এইখানে আসলে জানে মেরে ফেলবো।
ঐ ঘটনার দিন ৩০/০৭/২০২৫ইং তারিখে নারায়নগঞ্জ সদর থানায় উপস্থিত হইয়া আমি সাইফুল ইসলাম ও আকতার হোসেন লিখিত অভিযোগ দায়ের করি এবং এস.পি অফিসেও লিখিত অভিযোগ করিয়াছি। তাদের দাবি সমূহ : ১। অবিলম্বে আমাদের জমির সাইনবোর্ড সরানোর ব্যবস্থা করা হউক। ২।যারা চাঁদা দাবি করেছে ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে তাদের দ্রুত গেস্খপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হউক । ৩। সকল জমি মালিকের নিরাপত্তা নিশ্চত কর হউক।
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ তাদের উপর সংঘটিত অবিচারের দ্রুত প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS