নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ১০০ জনেরও বেশি নাগরিক সমাজের নেতা ও কর্মী, প্রান্তিক সম্প্রদায়ের নেতা, সাবেক নীতিনির্ধারক এবং সরকারি কর্মকর্তারা আজ ্য়ঁড়ঃ;প্রোমোটিং অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড রাইটস’ কর্মসূচির সমাপণী হোটেল আমারী ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে পার কর্মসূচির দলিত, ঋষি এবং প্রান্তিক যুব ও নারী নেতৃবৃন্দ পার কর্মসূচির বিষয যেমন পরিকল্পিত নগরায়ন, পরিবেশ দূষণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নদী দূষণ প্রতিরোধ এবং উষি ও দলিত সম্প্রদায়ের উন্নয়নে নাগরিক সমাজ, সরকার এবং বেসরকারী খাতের মধ্যে ক্রস-সেক্টরাল অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠায় তাদের নাগরিক-নেতৃত্বাধীন অ্যাডভোকেসি অর্জনগুলি উপস্থাপন করেন সেই সাথে প্রকল শেষে অংশগ্রহণকারীরা তাদের অগ্রগতির ধারাবাহিকতা ধরে রাখার জন্য তাদের পরিকল্পনাসমূহ অবগত করেন।
গত ছয় বছরে, পার বাস্তবায়নকারী অংশীদাররা সফলভাবে ৩০ হাজারেরও অধিক প্রাান্তিক জনগোষ্ঠীর মানু কে অ্যাডভোকেসি কার্যক্রমে যুক্ত করেছে যা বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই উনয়নকে এগিয়ে নেয়ার জন্য স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ, পরিকল্পিত নগরায়ন, ঋষি ও দলিত সম্প্রদায়ের অন্তভ‚ক্তি, নদী দূষণ প্রতিরোধ বিষয়ক সুনির্দিষ্ট সুপারিশসমূহের রোডম্যাপ সাম্প্রতিক সময়ে প্রান্তিক ও নাগরিক সমাজ নীতিনির্ধারকদের নিকট উপস্থাপন করেছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক মো: সাইদুর রহমান বলেন, আমি আপনাদের অর্জনকে সাধুবাদ জানাই এবং বিশ্বাস করি আমাদের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সহায়তা করার জন্য সুশীল সমাজের এরকম আরও অনেক অনুরূপ প্রয়োজন।
এছাড়াও, ইউএসএআইডি বাংলাদেশের ডিআরজি ডিরেক্টর এ্যালেনা তানজি বলেন, প্রকল্পটি শেষ হলেও বিভিন্ন অর্জনের ক্ষেত্রে আমরা যে পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করেছি তা সম্ভবত বাংলাদেশের উন্নয়নে গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য সমবসময়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমি আশা করি আমরা, প্রান্তিক নাগরিক, সুশীল সমাজ, উন্নয়ন সংস্থা, স্থানীয় সরকারকে একত্রিত করার জন্য মানবাধিকার, প্রগতিশীল সংস্কারের পক্ষ্যে এবং সকল মানুষের জন্য বৃহত্তর সমৃদ্ধির পথ প্রশস্ত করার জন্য পারের এই মডেলটি অব্যাহত রাখতে পারবো।
এছাড়াও,সমাপণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত সম্মানিত অতিথি ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এবং ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা পার এর অগ্রাধিকার বিষয়গুলিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে তাদের সুপারিশ তুলে ধরেন।
রুমিন ফারহানা তার বক্তব্যে বলেন,“ অন্যদের শোনার জন্য বৈষম্যের শিকারদের প্রথমে তাদের আওয়াজ তুলতে হবে, বৈষম্যকে নিরুৎসাহিত করে বর্তমান বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এবং বৈষম্য সংক্রান্ত সংবিধানের অনুচ্ছেদগুলোকে অবশ্যই বাস্তবায়ন করতে হবে। শুধু কাগজে কলমে থাকলে চলবে না ।
শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, “ সরকার, সুশীল সমাজ এবং প্রান্তিক মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধনের জন্য ধন্যবাদ। বৈষম্য বিরোধী নতুন খসড়া এবং আইন আমি তৈরি করব, আমাদের বাগানকে ফুলের বাগানে রূপান্তর করতে হবে
সমাপণী বক্তব্যে প্রোমোটিং অ্যাডভোকেসি এন্ড রাইটস কর্মসূচির চিফ অব পার্টি কেটি ক্রোক বলেন, তিনি পার বাস্তবায়নে সেই ২০১৮ সাল থেকে সে সব সংস্থা কাউন্টারপার্টের সাথে থেকে প্রান্তিক মানুষের উন্নয়নে কাজ করেছে তাদের কার্যকরী অবদান ও উদ্যোগ এবং নাগরিক সমাজের এগিয়ে আসা, মিডিয়ায় প্রান্তিক মানুষের সমস্যামূলক প্রতিবেদন ও নীতিনির্ধারকদের অংশগ্রহণ এবং ইউএসএআইডি’র সহযোগিতার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সাল থেকে, ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনাল দ্বারা বাস্তবায়িত পার কর্মসূচিটি, নাগরিক-নেতৃত্বাধীন অগ্রাধিকার এবং নাগরিক অংশগ্রহণ জোরদার করার জন্য বাংলাদেশের সুশীল সমাজ ও উন্নয়ন সংস্থাগুলিকে সহায়তা করছে। প্রান্তিক নাগরিক, ঋষি ও দলিত সম্প্রদায়, সরকার, সুশীল সমাজ এবং বেসরকারী খাতের মধ্যে সক্রিয় সহযোগিতা এবং অংশীদারিত্বের মাধ্যমে, পার- এর অংশীদাররা সফলভাবে ৩০,০০০ এরও বেশি প্রান্তিক সম্প্রদায়ের মানুষকে অ্যাডভোকেসি কার্যক্রমে যুক্ত করেছে যা অন্তভ‚ক্তিমূলক টেকসই উন্নয়নকেকে এগিয়ে নিতে সাম্প্রতিক পলিসি রোডম্যাপ সুপারিশসমূহ স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ের সমস্যা সমাধানে ভুমিকা রাখবে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply