সীমান্তে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা বা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সেটি সমাধানের জন্য আইনগত পথ ও পদ্ধতি রয়েছে । কাউকে হত্যা করা কখনও কোনো সমাধান নয়। সীমান্তে হত্যা অবশ্যই বন্ধা হওয়া প্রয়োজ।
ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সীমান্তে হত্যার যে ব্যাপারটি নিয়ে গত বেশ কয়েক বছর ধরে আলোচনা চলছে। এসব হত্যাকাণ্ড কিন্তু একতরফা। যারা সীমান্ত অতিক্রম করে, তারা নিতান্তই সাধারণ লোকজন। আপনাদের রাষ্ট্র দখল করার কোনো ইচ্ছে, পরিকল্পনা বা ক্ষমতা তাদের নেই। তাই তাদেরকে হত্যা করা আসলে একপ্রকার নিষ্ঠুরতা এবং এই নিষ্ঠুরতা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।
সাক্ষাৎকারে দুই দেশের পানিবণ্টন সমস্যা, বিশেষ করে তিস্তা চুক্তি নিয়ে মতপার্থক্য নিয়েও কথা বলেছেন ড. মুহম্মদ ইউনূস । এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, এটি নতুন কোনো ইস্যু নয় বরং অনেক পুরোনো অতীতে অনেক বার অনেক উপলক্ষে আমরা এ ইস্যুতে কথা বলেছি। আমরা চুক্তি চুড়ান্ত করতে চাই, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারও চায়, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের সরকার চায় না। এই ইস্যুটি আমাদের সমাধান করতে হবে।
শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ত্যাগ করতে ভারতে আশ্রয় নেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করার তিন দিন পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়, সেই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হন ড. ইউনূস।
বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার পর গত ১৩ আগস্ট ভারতের একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেন শেখ হাসিনা । সেখানে তিনি বলেছিলেন, আন্দোলনের নামে যারা ‘সন্ত্রাসী’ কার্যক্রম পরিচালিত করেছে, তাদেরকে অবশ্যই তদন্ত ও বিচারের মুখোমুখী করতে হবে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply