ঈমানের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল নামাজ। রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর পক্ষ থেকে বার বার নামাজের তাগিদ পেয়েছেন।
এমন কিছু সময় আছে, যেসব সময় ফরজ, ওয়াজিব ও নফল কোনো ধরনের নামাজ আদায় করা জায়েজ নেই। এমনকি কাজা নামাজও পড়া যাবে না। সেগুলো হলো এক. সূর্যোদয়ের সময়, অতএব সূর্য পুরোপুরি উদয় হওয়ার আগ পর্যন্ত নামাজ পড়া যাবে না। (বুখারি ১৫২৩)
দুই. সূর্য মধ্যাকাশে অবস্থানের সময়। সূর্য ঢলে পড়লে পুনরায় নামাজ পড়ার বৈধ সময় শুরু হয়। (মুসলিম ১৩৭৩)। তিন. সূর্য যখন হলুদ বর্ণ ধারণ করে, তখন থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত। তবে কারও যদি আসর নামাজ পড়তে দেরি হয়ে যায়, তাহলে সে ব্যক্তি সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত আদায় করতে পারবে। (বুখারি ৫৪৫)
এর বাহিরেও এমন কিছু সময় রয়েছে যে সময়ে নামাজ পড়া মাকরুহ। কোরআন ও হাদিস অনুসারে যা অপছন্দনীয় করা হয়েছে তাকে মাকরুহ বলে। তাই সেসব সময়ে নামাজ পড়া থেকে বিরত থাকতে হয়। নিচে নামাজের মাকরুহ সময়গুলো তুলে ধরা হলো।
এক. ফজরের সময় হওয়ার পর ফজরের দুই রাকাত সুন্নত ব্যতীত আর কোনো নামাজ পড়া মাকরুহ। (মুসলিম ১১৮৫)
দুই. ফজর নামাজের পর সূর্য উদয় হওয়া পর্যন্ত নামাজ পড়া মাকরুহ। (বুখারি ৫৫১)
তিন. আসরের নামাজ আদায়ের পর সূর্যাস্ত পর্যন্ত নামাজ পড়া মাকরুহ। (বুখারি ৫৫১)
চার. ইকামতের সময় নামাজ পড়া মাকরুহ। (মুসলিম ১১৬০)
পাঁচ. ঈদের নামাজের আগে ঈদগাহে কোনো নামাজ পড়া মাকরুহ। (বুখারি ৯৬৪, মুসলিম ৮৮৪, আল-মাজমু ৫/১৭, আলমুগনি ২/২৭৯)
ছয়. ঈদের নামাজের পরে ঘরেও কোনো নামাজ নেই, ঈদগাহেও নেই। (ইবনে মাজাহ ১২৮৩)
সাত. সময় যদি এত কম হয় যে সুন্নত পড়তে গেলে ফরজ নামাজের সময় শেষ হয়ে যাবে, এমন সময় নামাজ পড়া মাকরুহ।
আট. খুব ক্ষুধা ও খানার প্রতি তীব্র চাহিদা হলে সে সময় নামাজ পড়া মাকরুহ। এর ফলে খানার সঙ্গেই মন লেগে থাকবে, নামাজের সঙ্গে নয়। (মুসলিম ৮৬৯)
নয়. প্রস্রাব-পায়খানার বেগ নিয়ে নামাজ পড়া মাকরুহ। (মুসলিম ৮৬৯)
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply