ব্যক্তির পরিচয় বহন করে তার নাম। ইসলামে সুন্দর নাম সন্তানের অধিকার। এ অধিকার আদায় করতে হয় অভিভাবককে। মানুষ নিজের নামেই পরিচিত হয়। এ নামেই তাকে ডাকা হয়। মৃত্যুর পরও তার নাম রয়ে যায়। ওই নামেই মানুষ তাকে স্মরণ করে। হাদিসে আছে কেয়ামতের দিনও মানুষকে তার নাম ধরে ডাকা হবে।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) ও আয়েশা (রা.) বর্ণিত হাদিসে নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘সন্তানের সুন্দর নাম রাখা ও তার উত্তম তরবিয়তের ব্যবস্থা করা বাবার ওপর সন্তানের হক।’ (মুসনাদে বাজজার: ৮৫৪০)
শিশুর জন্মের সপ্তম দিন নাম রাখা ভালো। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘জন্মের সপ্তম দিন নবজাতকের নাম রাখো।’ (তিরমিজি: ২৮৩২)। আগে-পরে হলেও কোনো ক্ষতি নেই। জন্মের আগেও নাম নির্ধারণে বাধা নেই। (আবু দাউদ: ২/৪৪৬)
শিশুর সুন্দর অর্থবহ নাম রাখতে হয়। নাম রাখার দায়িত্ব হচ্ছে মা-বাবা, দাদা-দাদি, নানা-নানি, ভাই-বোন, ফুফু-খালা, চাচা-মামা ও আত্মীয়-স্বজনের ওপর। যে কেউ নামের প্রস্তাব বা পরামর্শ দিতে পারে। অভিজ্ঞ আলেম বা বিজ্ঞ ব্যক্তি প্রস্তাবিত নামের অর্থ, গুণাগুণ ও তাৎপর্য অনুসারে এর প্রাধান্য ব্যাখ্যা করবেন। সন্তানের অভিভাবকরা নাম গ্রহণে সিদ্ধান্ত নেবেন।
প্রত্যেক শিশুর নাম অর্থবহ, সুন্দর, শ্রুতিমধুর হওয়া বাঞ্ছনীয়। নামের প্রভাব মানুষের সত্তা ও গুণাগুণের ওপরও পড়ে। আর হাশরের ময়দানে প্রত্যেককে তার নামেই ডাকা হবে। (আবু দাউদ: ২/৬৭৬)
কারও নাম ভালো অর্থবহ না হলে তা পরিবর্তন করে রাখা যায়। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিভিন্ন সাহাবির এরূপ নাম পরিবর্তন করে রেখেছিলেন। (তিরমিজি: ২/১১১)
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply