বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
অনলাইন প্রতারণার শিকার: চুয়াডাঙ্গায় ৫ লাখ টাকা হারিয়ে উধাও বিকাশ এজেন্ট, এলাকায় তোলপাড় লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছে ওরিয়ন ফার্মা ফ্যামিলিটেক্স দর পতনের শীর্ষে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক দর বৃদ্ধির শীর্ষে সামিট অ্যালায়েন্স লেনদেনের শীর্ষে পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে ফার কেমিক্যাল পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে ওরিয়ন ইনফিউশন মাধবপুরে আওয়ামী লীগ নেতা ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান জয়-কে পুলিশে দিল ছাত্রজনতা স্বাধীনতা থেকে জুলাই চেতনার পালাবদল পেয়েছে: মোমিন মেহেদী আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে জামায়াতের ‘দায়িত্বশীল সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত

এপ্রিলে রেমিট্যান্স এলো ২০৪ কোটি ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২ মে, ২০২৪

সদ্য বিদায়ী এপ্রিল মাসের শেষ দিকে বেড়েছে প্রবাসী আয়। হঠাৎ করেই রেমিট্যান্স বৃদ্ধিকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু ব্যাংক মার্কিন ডলারের বিপরীতে তুলনামূলক বেশি বিনিময় হার দেওয়ার কারণেও রেমিট্যান্স বেড়েছে।

ঈদের আগে সাধারণত দেশের প্রবাসী আয় বেড়ে যায় এবং ঈদের পরে কিছুটা কমে। কিন্তু চলতি বছরের এপ্রিল মাসে এর উল্টো চিত্র দেখা গেছে। ঈদের আগের ১২ দিনে গড়ে ৭ কোটি ৩০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। আর এপ্রিলের শেষ চারদিনে গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৯ কোটি ডলার। আর শুধু মাত্র শেষ দিনেই রেমিট্যান্স এসেছে ১৩ কোটি ডলারের বেশি।

অর্থাৎ সদ্য বিদায়ী এপ্রিল মাসের শেষ দিকে হঠাৎ করেই অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে রেমিট্যান্স। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুযায়ী, সদ্য বিদায়ী এপ্রিল মাসে ২০৪ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। দেশীয় মুদ্রায় প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে যার পরিমাণ প্রায় ২২ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা। আলোচ্য এ মাসে দৈনিক গড়ে এসেছে ৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার।

তথ্য বলছে, এপ্রিলের শেষ চারদিনেই রেমিট্যান্স এসেছে ৩৬ কোটি ডলার। অর্থাৎ শেষ ৪ দিনে গড় রেমিট্যান্স এসেছে ৯ কোটি ডলার করে। অথচ, ঈদের আগের ১২ দিনে দেশে এসেছিলো ৮৭ কোটি ৬ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। সে হিসেবে প্রতিদিন এসেছে ৭ কোটি ৩০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স।

মাসের শেষ হঠাৎ করে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। কারণ একাধিকবার ফোন করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। দ্বিতীয় মাস ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার, মার্চে প্রায় দুই বিলিয়ন এবং এপ্রিলে এলো দুই বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। তারও আগে ২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।

এর আগে ২০২০ সালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল। বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS