মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫, ১২:৪৩ পূর্বাহ্ন

ফেসবুকে অস্ত্রাগারের ভিডিও, চাকরি হারালেন পুলিশ সুপার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

বহিরাগতদের অস্ত্রাগার পরিদর্শন ও অস্ত্রের বর্ণনা দিয়ে ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচারের সুযোগ করে দেওয়ায় চাকরি হারালেন পুলিশ সুপার মো. শাহেদ ফেরদৌস। গত ৯ এপ্রিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ তাকে বাধ্যতামূলক অবসর দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। 

শাহেদ ফেরদৌস পুলিশের খুলনা রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে নিয়োজিত ছিলেন। এর আগে তিনি ঢাকা এসপিবিএন–১ এ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সে সময় ২০২০ সালের ২৯ আগস্ট তিনি দুজন পুলিশ পরিদর্শক ও তিনজন উপপরিদর্শকের সহায়তায় তিনজন বহিরাগত ব্যক্তিকে অস্ত্রাগার পরিদর্শনের সুযোগ করে দেন। ওই ব্যক্তিরা অস্ত্রাগার পরিদর্শন এবং অস্ত্রের বর্ণনা দিয়ে ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচার করেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘২০২০ সালের ২৯ আগস্ট ঢাকায় স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় তিন বহিরাগতকে অস্ত্রাগার পরিদর্শন করানো, অস্ত্রের বর্ণনা দিয়ে ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচারের সুযোগ দিয়েছিলেন খুলনার রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ের পুলিশ সুপার শাহের ফেরদৌস রানা। এ কাজে তাকে সহায়তা করেন পুলিশ পরিদর্শক (সশস্ত্র) গোলাম মোস্তফা, পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) সৈয়দ আনিসুর রহমান, এসআই (নিরস্ত্র) নুর-এ-সরোয়ার রিপন, এসআই (সশস্ত্র)-১২১২৬ আবু সাঈদ মো. ওবাইদুর রহমান এবং এসআই (সশস্ত্র) মানিক খান।’

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ‘পরবর্তীকালে শাহেদ ফেরদৌসের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ অধিদপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয়। পরে তাঁর বিরুদ্ধে রুজু করা বিভাগীয় মামলায় উপস্থাপিত ভিডিওটি সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের বিশেষজ্ঞ দিয়ে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা হয়। এরপর সুস্পষ্ট মতামতসহ প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য বলা হয়। গত ২৪ আগস্ট সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের পাঠানো প্রতিবেদনে উপস্থাপিত ভিডিওটি সম্পাদনা করা হয়নি, অর্থাৎ প্রকৃত মর্মে মতামত দেওয়া হয়।’

অসদাচরণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় গুরুদণ্ড হিসেবে শাহেদ ফেরদৌসকে ‘বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান’–এর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীতে সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শ চাওয়া হয়। গত ১ জানুয়ারি সরকারি কর্ম কমিশন বাধ্যতামূলক অবসর প্রদানের দণ্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার পরামর্শ দেয়। এরপর তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS