বাংলাদেশে নিযুক্ত শ্রীলংকার মান্যবর হাইকমিশনার প্রফেসর সুদর্শন সেনেভিরতে বলেছেন, বাংলাদেশের সমুদ্র অর্থনীতি ও পর্যটন খাত অত্যন্ত সম্ভাবনাময় এবং খাত দুটোর অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে শ্রীলংকার অভিজ্ঞতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এ লক্ষ্যে তিনি দুদেশের একযোগ কাজ করার উপর জোরারোপ করেন।
মঙ্গলবার (০৫ এপ্রিল) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের সাথে সাক্ষাতকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, বাংলাদেশের সেবা এবং উৎপাদন খাত বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অত্যন্ত সম্ভাবনাময়, যেখানে শ্রীলংকার উদ্যোক্তাবৃন্দ বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে পারেন। তিনি জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৬৫.০৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে বাংলাদেশের আমদানি-রফতানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১১৭.৭২ এবং ৪৭.৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ মূলত ঔষধ, তৈরি পোষাক এবং কৃষিকাজে ব্যবহৃত বীজ প্রভৃতি পণ্য শ্রীলংকায় রফতানি করে, বিপরীতে মেশিনারীজ, টেক্সটাইল পণ্য, কেমিক্যাল, খনিজ পদার্থ প্রভৃতি পণ্য আমদানি করে থাকে। দু’দেশের বাণিজ্য আরো সম্প্রসারণে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) দ্রুত স্বাক্ষরের উপর তিনি জোরারোপ করেন এবং সেই সাথে তথ্য-প্রযুক্তি, আউটসোর্সিং, সমুদ্র অর্থনীতি, পর্যটন এবং ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে যৌথ বিনিয়োগের প্রস্তাব করেন।
শ্রীলংকার হাইকমিশনার প্রফেসর সুদর্শন সেনেভিরতে বলেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ ‘অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ)’ স্বাক্ষরের জন্য কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং আশা প্রকাশ করেন অল্প সময়ের দু’দেশে পিটিএ স্বাক্ষর করবে, যা ভবিষ্যতে এফটিএ স্বাক্ষরের সম্ভাবনা তৈরি হবে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী ৫ বছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে। হাইকমিশনার বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের পর্যটন, কৃষি, জাহাজনির্মাণ এবং লজেস্টিক খাতে শ্রীলংকায় বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
ঢাকা চেম্বারের ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি আরমান হক এবং শ্রীলংকান দূতাবাসের ফাস্ট সেক্রেটারি (কমার্শিয়াল) শ্রমালী জয়ারাতে এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply