নিজস্ব প্রতিনিধিঃ চুয়াডাঙ্গা জেলার একজন সফল উদ্যোক্তা তালিকায় নিজের নামটি উঠিয়েছেন নারী উদ্যোক্তা সালমা খাতুন নিজের তিব্র প্রচেষ্টা আর মেধা সততা দিয়ে জয় করেছেন হাজার হাজার ক্রেতাদের মন জয়।
তিনি পেয়েছেন একাধিক এউয়ার্ড একাধিক পুরস্কার সম্মাননা, তিনি শুধু নিজেকে জানান দেননী, বড় একটি পরিবার চলে তার উপর্জনের টাকায়, হতদরিদ্রের পাশে থেকেও তিনি সমাজে হয়ে উঠেছেন গরিবের বন্ধু, তিন অবহেলিত নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে কাজ করে অনেক বেকার তরুণী কে বেকারমুক্ত করেছেন।
তিনি দৈনিক গড়ব বাংলাদেশ ও এই আমার দেশ পত্রিকার সাক্ষাৎকারে বলেন, আমি অনেক ছোট থেকে যেকোনো কাজ দেখলে মন থেকে দেখি গভীর ভাবে দেখি সেই কাজটা নিজের ভিতর আনার চেষ্টা করি এবং কাজ করতে ভালোবাসি আমি বিয়ের পর একাকীত্ব দূর করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কাজের ভেতরে থাকতাম সেলাই ছোটদের জামা বানানো জামা বানিয়ে সেটা আবার মার্কেটে দিয়ে আসতাম সেলের জন্য বিভিন্ন রকম বুদ্ধি বার করতাম উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য এবং মনের ভিতর সব সময় স্বপ্ন দেখতাম ২০১৪ সালথেকে আমি আমার মতো করে কাপুরের বিজনেস শুরু করি আমার জীবনের ইনকাম করা শুরু হয় দিন দিন ভালোই চলতে থাকে হঠাৎ পারিবারিক সমস্যার কারণে কিছুদিন বন্ধ করে দি মানুষের বুদ্ধি হওয়ার পর থেকে একটাই স্বপ্ন দেখে “জীবনে কিছু করতে/হতে হবে”। এই কিছু করতে হওয়ার পিছনে অনেক কিছু করতে হয়। কিছু বিষয় এমন থাকে যা থেকে অনেক শিক্ষা দেয় , দূর সাহসও শক্তি যোগায়। জীবনে এই “কিছু” করার জন্য নিজের ইচ্ছাশক্তির পর সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন যেটা তা হল “অনুপ্রেরণা”। এই অনুপ্রেরণা মানুষ কোথা থেকে কিভাবে পাবে এটা সে নিজেও জানেনা এই অনুপ্রেরণা পায় মানুষ হোঁচট খেলে বা কষ্ট পেলে কিংবা একটি বাক্য অথবা একটি ছোট গল্প থেকেও পাওয়া যেতে পারে।
দিন যত যাচ্ছে জীবন যাপনের ধরণও পালটে যাচ্ছে পাল্লা দিয়ে। । তাই কখনো কখনো হতাশা ভর করে বসে কাঁধে যেন আর নামতে চায় না। এই সময় যদি সাহস দেয়ার মত কিংবা অনুপ্রেরণা দেয়ার মত বা ‘অনুপ্রেরণার গল্প‘ শুনানোর মত একটা হাত অন্য কাঁধে পাওয়া যায়। তখন ‘হতাশা” নামক অশুভ শক্তি একটি স্বপ্নকে শেষ করতে পাড়ে না প্রত্যেকের জীবনে একটি গল্প থাকে আমাার জীবনেও আছে সেটা আমি কোন কাজকে ছোট করে দেখিনা আমি সবরকম সৎ কাজকে সম্মান করি এবং কাজ করতে পছন্দ করি আমি যখন আমার খাবারের বিজনেস শুরু করি অনেক ধরনের কথা শুনতে হয়েছে আমাকে অনেক ছোট করে কথা বলেছে হাসি ঠাট্টা করেছে আমি বুঝতে পারছি কিন্তু আমি থেমে থাকিনি আমার মত করে আমি আমার কাজ করেগিয়েছে অনেকে আমাকে খোঁচা দিয়েছে স্বামীর ভাত রান্না করে সময় পাইনা আর চুয়াডাঙ্গার মানুষের খাবার রান্না করে মানুষের অনেক ধরনের কথা শুনতে হয়েছে আমি একটার পর একটা কাজ করছি বিভিন্ন ধরনের কাপড়ের বিজনেস পোশাক বানানো থেকে শুরু করে সিজনের ফল আম, খেজুরের গুড়, পাটালি, আচার, মধু, ড্রাই ফুড, ঘি, কুমড়ো বড়ি, আইটেম বারাইছি অনেক বাধা অতিক্রম করেছি অনেকে আমার কাজ করা নিয়ে অনেক ভালোমন্দ কথা বলেছে তারপরও আমি থেমে থাকিনি হতাশ হয়েছি মন কে শক্ত করে নিজের কাজ করে গিয়েছি আজ আমি সফল আমার কাজকে আমি অনেক ভালোবাসছি আনন্দের সাথে কাজ করছি রাত দিন একভেবে কাজ করে গিয়েছি শুধু ভেবেছিলাম রাত বা দিন কি আমি তো ঘরে বসে কাজ করছি আমার এটা নিজের কাজ যতই করি ততই এগিয়ে যেতে পারবো আমি থেমে থাকিনি এখনো থেমে নাই সামনে অনেক কিছু করার ইচ্ছে মনের ভিতর পুষে এগোচ্ছি, বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ্ব এম রাজ্জাক খান রাজ সহ চুয়াডাঙ্গার অনেকেই আমাদের সহযোগিতা করে তাদের ভূলবার নয়।
আজ জয়িতা হয়েছি আলহামদুলিল্লাহ সবাই আমাকে যে সম্মানটা দিয়েছে তার জন্য সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply