মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫, ০২:৫৮ অপরাহ্ন

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় অপহরণ মামলায় আটক ২

রেজাউল ইসলাম
  • আপডেট : বুধবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৩

হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গোতামারী  এলাকায় গরু চোরাকারবারি তৌফিক হাসান তপুর সংঘবদ্ধ দল কর্তৃক নওদাবাস ইউনিয়নের  হোসাইনুর রহমান হিরুকে অপহরণ মামলায় মায়ানুর রহমান পলাশ ও সোহানুর রহমান সোহেল  আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে আটক হয়েছে।

গত ১৭ ডিসেম্বর বিজ্ঞ আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে আটক হন তারা। 

এ অপহরণের ঘটনায় হোসাইনুর রহমান হিরু বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও মামলাটি সেখানে আমলে নেয়নি হাতীবান্ধা থানা পুলিশ পরে আদালতে গিয়ে মামলা করেন হিরু।

অভিযুক্তরা হলেন, পূর্ব বেজগ্রাম এলাকার মৃত মফিকুল ইসলামের পুত্র তৌফিক হাসান তপু (৩৮), কেতকিবাড়ী এলাকার মৃত ইসব আলীর পুত্র মায়ানুর রহমান পলাশ (৪৫), মৃত মান্নানের পুত্র সোহানুর রহমান সোহেল (৪২), আব্দুল আজিজের পুত্র মিলন (৩৮), উত্তর গোতামারী এলাকার মৃত লালু শেখ এর পুত্র লিখন (৪৫), কেতকিবাড়ী এলাকার সুধীর রায়ের পুত্র সোহান (৪১), জাবেদ আলীর পুত্র তরিকুজ্জামান তরিফ (৩৮) ও উত্তর গোতামারী এলাকার একরামুল হকের পুত্র মীর (৪৩)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত মাসের ২৫ তারিখে হোসাইনুর রহমান হিরুকে অপহরণ করেন কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী। অপহরণ করে হিরুকে নওদাবাস ইউনিয়নের মাশানের কুড়া এলাকায় নিয়ে গিয়ে মারধরসহ চাপাতি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাতাড়ি আঘাত করে ও পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। পরে সেখান থেকে উত্তর গোতামারী এলাকার কাটাতারের বেড়ার কাছে মীরের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আবারও হত্যার চেষ্টা করে।

অপহরণকারীদের আঘাতে হিরু আর্তনাদ করলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন পরে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। 

এ বিষয়ে মামলার বাদী হোসাইনুর রহমান হিরু বলেন, অপহরণকারী চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অস্ত্র, চোরাকারবারি, মাদক, ভারতীয় গরু পারাপার, নারী পাচার সহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত। তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। এদের অপকর্ম প্রচার হওয়ায় আমাকে পুলিশের সোর্স মনে করে রাতের আঁধারে আমার চোখ বেঁধে হত্যার উদ্দেশ্যে আমাকে ভারতীয় কাঁটাতারের বেড়ার কাছে নিয়ে যায় এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমার মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করে। পরে মীরের বাড়িতে নিয়ে যায়। তাদের পরিকল্পনা ছিল পিস্তল দিয়ে গুলি করে হত্যা করে ভারতীয় সিমান্তে ফেলে আসবে যাতে এলাকাবাসী মনে করে ভারতীয় বিএসএফ এর গুলিতে নিহত হয়েছে। কিন্তু তাদের প্রহারের যন্ত্রণা ও তাদের কথোপকথন শুনে চিৎকার করলে এলাকাবাসী এসে আমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।

এ ঘটনায় মামলার আসামী তৌফিক হাসান তপু ও মীরের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS