শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ১২:২৭ অপরাহ্ন

৮ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৫৩ কোটি ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : সোমবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৩

দেশে ডলার সংকট চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এই সংকট প্রতিনিয়ত আরও বাড়ছে। সংকট মেটাতে রিজার্ভ থেকে ধারবাহিকভাবে ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি মাস ডিসেম্বরের প্রথম ৮ দিনে প্রবাসীরা ডলার পাঠিয়েছেন ৫৩ কোটি ডলারের বেশি। অর্থাৎ দিনে রেমিট্যান্স আসছে গড় ৬ কোটি ৬২ লাখ ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বরের প্রথম ৮ দিনে এসেছে ৫৩ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার। এর মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫ কোটি ৬২ লাখ ১০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১ কোটি ৩২ লাখ ৭০ হাজার ডলার। আর বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৬ কোটি ১৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৩ লাখ ৯০ হাজার ডলার।

আলোচ্য আট দিনে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ১০টি। এর মধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্র মালিকানাধিন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়ীত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব, বেসরকারি কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, আইসিবি ব্যাংক, বিদেশি খাতের ব্যাংক আল-ফালাহ, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।

অন্যদিকে সদ্য বিদায়ী নভেম্বর মাসে মোট ১৯৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রতি ডলার ১০৯ টাকা ৭৫ পয়সা ধরে যার পরিমাণ ২১ হাজার ১৮১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এটি আগের মাস অক্টোবরের চেয়ে প্রায় ৪ কোটি ডলার কম এসেছে। অক্টোবর মাসে এসেছিল প্রায় ১৯৭ কোটি ডলার। তবে গত বছরের একই মাসের চেয়ে ৩৩ কোটে ডলার বেশি এসেছে। গত বছরের নভেম্বর মাসে এসেছিল প্রায় ১৬০ কোটি ডলার।

দেশের মধ্যে ডলার বাজারের অস্থিরতা নতুন নয়। সংকট ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। বৈদেশিক এ মুদ্রার অভাবে আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। সংকট নিরসনে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রিজার্ভ থেকে ডলার সরবরাহ করা হচ্ছে। তবুও কোনো উদ্যোগই কাজে আসছে না।

তবে আশার দিকও রয়েছে। বিজয়ের মাসে আইএমএফ লোনের দ্বিতীয় কিস্তি আর এডিবির লোন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে রিজার্ভ বাড়বে কিছুটা। বিজয়ের মাসে আরও ইতিবাচক হয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার অন্যতম উৎস রেমিট্যান্স। রেমিট্যান্স আসার এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মাস শেষে রেমিট্যান্স দুই বিলয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS