করোনার কারণে ক্ষতিতে পড়া কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের উদ্যোক্তাদের ঋণ দিতে বাংলাদেশকে ৪ কোটি ৬৫ লাখ ডলার দিচ্ছে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি)। এই তহবিল থেকে উদ্যোক্তাদের ঋণ দেওয়া হবে, যার সুদের হার হবে সর্বোচ্চ ৭ দশমিক ১৮ শতাংশ। সরকারের পক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক এই তহবিল ব্যবস্থাপনা করছে।
রোববার (২৭ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংক এই বিষয়ে এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, যেসব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইসলামি ধারার ব্যাংকিং করছে, শুধু তারা এই তহবিল থেকে উদ্যোক্তাদের জন্য অর্থায়ন নিতে পারবেন। এই তহবিল থেকে ঋণ পেতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আবেদন করতে হবে। সে জন্য সময় দেওয়া হয়েছে তিন মাস।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ইসলামি ধারার ব্যাংকিং বিধি মেনে এই অর্থায়ন করা হবে। নতুন সেবা বা পণ্যের জন্য এই ঋণ পাবেন উদ্যোক্তারা। আর যখন থেকে প্রথম ঋণ বিতরণ শুরু হবে, তার দুই বছর পর্যন্ত চলবে এই তহবিল।
কুটির শিল্প খাতের উৎপাদনশীল উদ্যোক্তারা ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবে। আর ক্ষুদ্র শিল্পের উৎপাদনশীল খাতের উদ্যোক্তারা ঋণ পাবেন ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত এবং সেবা খাতের উদ্যোক্তারা পাবেন ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত। ছোট শিল্পের উৎপাদনশীল খাতের উদ্যোক্তারা ঋণ পাবেন দেড় কোটি টাকা পর্যন্ত এবং সেবা খাতের উদ্যোক্তারা পাবেন দুই কোটি টাকা পর্যন্ত। মধ্যম শিল্পের উৎপাদনশীল খাতের উদ্যোক্তারা ঋণ পাবেন ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত আর সেবা খাতের উদ্যোক্তারা পাবেন ৩০ কোট টাকা পর্যন্ত। তবে ব্যবসা বা ট্রেডিংয়ের সঙ্গে যুক্ত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা পাবেন ১০ লাখ টাকা। ছোট ব্যবসায়ীরা ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ঋণে ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ মুনাফা করতে পারবে। ফলে দক্ষ ব্যাংকগুলো চাইলে গ্রাহকদের ৭ শতাংশের কমেও ঋণ দিতে পারবে।
এর আগে, করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কুটির, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি (সিএমএসএমই) খাত। তাদের চলতি মূলধন সুবিধা দিতে ২০ হাজার কোটি টাকা তহবিল গঠন করা হয়। এ ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ, তবে গ্রাহকদের দিতে হচ্ছে ৪ শতাংশ। বাকি ৫ শতাংশ সরকার ভর্তুকি হিসেবে দিচ্ছে। প্রথম দফা শেষে এই তহবিলের দ্বিতীয় দফা ঋণ বিতরণ চলছে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply