ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জ ভৈরবে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ ভৈরব শাখার দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা ও সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার ২৫ নভেম্বর বিকাল ৫টায় ভৈরব বাজার জামে মসজিদ রোড ভেনিস বাংলা কমিউনিটি সেন্টারে বিএমএস ভৈরব উপজেলা শাখার আহবায়ক কমিটির সভাপতি আসাদুজ্জামান ফারুক এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আপেল মাহমূদ সেন।
সাধারন সভা উদ্বোধন করেন সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরহাদ আহমেদ। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা তালাওয়াত হোসেন বাবলা।
ভৈরবে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ ভৈরব শাখার সদস্য সচিব রফিউল আলম মঈনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের যুগ্ম-মহাসচিব মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া ও মামনুর রশিদ, কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি সারোয়ার আলম মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক জামিল আনসারী প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে আজ আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। দেশ বিরোধী যে কোন ষড়যন্ত্র রুখতে ও বাংলার মানুষের যে কোন সংকটে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।
আলোচনা সভায় অন্যন্যদের সাঝে বক্তব্য রাখেন নবগঠিত কমিটির সহ -সভাপতি নিজাম মাহমুদ জুয়েল, আলহাজ্ব সজিব আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম মামুন।
আলোচনা শেষে গত তিন বছর আগে হওয়া ভৈরব উপজেলা শাখার আহবায়ক কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে আহবায়ক আশাদুজ্জামান ফারুককে সভাপতি ও সদস্য সচিব রাফিউল আলম মামুনকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা দেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আপেল মাহমূদ সেন।
কমিটি ঘোষণার পূর্বে প্রধান অতিথি বলেন, আমি গর্বিত আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আজ আমি যে অবস্থানে আছি তার একমাত্র কারণ আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান। বাংলাদেশে অনেক কমিটি রয়েছে কিন্তু আমাদের লক্ষ্য এক। আমাদের অবস্থান ও ঐক্যবদ্ধতা রাজাকারদের বিরুদ্ধে। এ দেশকে নিয়ে যদি কেউ ষড়যন্ত্র করে কাউকে ছাড়া দেয়া হবে না। আমরা মেনে নিবো না। আমরা কোন রাজাকারের গাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা দেখতে চাই না। মুক্তিযোদ্ধা সন্তানরা কারো কাছে মাথা নত করবে না। আমাদের পতাকাতে খামছি দিতে গেলে তাদের আর ছাড়া দিবো না।
আমার মা আজ অনেক খুশি মুক্তিযোদ্ধা ভাতার টাকা পেয়ে। আমার মা টাকা হাতে মুক্তিযোদ্ধে বাবার অংশ গ্রহণের স্বাদ নেন। আজ আমাদের বাবাদের মুক্তিযোদ্ধা ছিল বলেই দেশ স্বাধীন। তাই তাদের প্রাপ্য সম্মান দিতে হবে।
যারা মুক্তি যোদ্ধাদের সম্মান করেনা তারা রাজাকারদের আত্মার ফসল। মুক্তিযোদ্ধাদের বেচেঁ থাকতে অবজ্ঞা করে মরে গেলে সম্মান দেখতে চাই না। আমরা রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অধিকার আদায় করতে ঐক্যবদ্ধ রয়েছি। আমাদের সৌভাগ্য আমাদের মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের অভিভাবক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমারা মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের চেতনায় রয়েছে মুক্তিযোদ্ধ।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply