রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন

পাঠ্যপুস্তক সংশোধন-পরিমার্জনে ১০ সদস্যের কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৩২ Time View

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রণীত ও মুদ্রিত সব পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জনে ১০ সদস্যের সমন্বয় কমিটি গঠন করেছে সরকার। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলামকে আহ্বায়ক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ইয়ানুর রহমানকে সদস্য সচিব করে এ কমিটি গঠন করা হয়।

সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) বিভাগের সহকারী সচিব (সরকারি মাধ্যমিক-২) মো. ইয়ানুর রহমানের সই করা অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন শিক্ষা গবেষক রাখাল রাহা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন, ঢাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা নিত্রা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আখতার খান, এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান, এনসিটিবি শিক্ষাক্রমের সদস্য অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী এবং এনসিটিবি প্রাথমিক শিক্ষাক্রমের সদস্য অধ্যাপক এ এফ এম সারোয়ার জাহান।

কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে, পাঠ্যপুস্তকে শিক্ষাক্রমের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য প্রতিফলিত হয়েছে কি না, তা যাচাই; প্রণীত পাণ্ডুলিপিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন, সংযোজন ও পরিমার্জন; বিষয়বস্তু, লেখার উদ্দেশ্য, লেখার মান, রচনার পরিমাণ, ভাষা ও অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করে পাণ্ডুলিপিকে প্রকাশযোগ্য ও মানসম্পন্ন করে তোলা; রাষ্ট্রীয় দর্শন, ইতিহাস ও ঐতিহ্য, সামাজিক মূল্যবোধ, ধর্মীয় মতাদর্শ ও নৈতিক মূল্যবোধ যথাযথ আছে কি না, তা যাচাই করা।

এ ছাড়া শিক্ষাক্রমের নিরিখে প্রদত্ত বা নির্দেশিত শিখন-শেখান কৌশলের সঙ্গে পাঠ্যপুস্তকে প্রদত্ত টাস্ক, অ্যাকটিভিটি প্রভৃতির সামঞ্জস্য পর্যবেক্ষণ; পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তু এবং প্রদত্ত ছবি, চার্ট, ডায়াগ্রাম, তথ্য ইত্যাদি সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে স্পর্শকাতর বলে প্রতীয়মান হলে সেগুলো চিহ্নিত করে তার বিপরীতে মতামত প্রদান; পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব কার্যক্রম সমন্বয় করা।

এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর নানা কারণে আলোচিত-সমালোচিত নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নযোগ্য নয় বলে এক প্রজ্ঞাপনে জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে ২০২৬ সাল থেকে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমের আলোকে পাঠদান করানো হবে বলে জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, শিক্ষাবিদ, শিক্ষাক্রম বিশেষজ্ঞ, প্যাডাগগ, মূল্যায়ন বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রশাসক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও অভিভাবক প্রতিনিধিদের সহযোগিতায় ২০২৫ সালে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম চূড়ান্ত করা হবে, যা ২০২৬ সাল থেকে পরিপূর্ণরূপে কার্যকর করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2024 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS